সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের মধ্যেই রয়েছে মানসিক প্রশান্তি।
২২চৈত্র , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
০৫এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৫রমজান ১৪৪৫ হিজরী
শুক্রবার।
বসন্তকাল।
আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
একজন মানুষ যদি জীবনের সফলতার একদম চূড়ায় পৌঁছে যায় আর তার মধ্যে যদি মানসিক প্রশান্তিটা না থাকে তাহলে তার জীবনের সমস্ত সফলতায় অর্থহীন মনে হবে। একজন মানুষের আপন বলতে কিছুই নেই নিজের জীবন বলুন আর আত্মীয় স্বজন বলুন। যখনই একজন মানুষ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে তখন তার সবকিছু মূল্যহীন হয়ে যায়। উপার্জন করা কোটি কোটি টাকা বাড়ি গাড়ি আদরের পরিবার পরিজন সবই যেন তার থেকে অনেক দূরে সরে যায়। পার্থক্যটা এতোটুকু , যারা পৃথিবীতে জীবিত আছে তারা অক্সিজেন গ্রহণ করছে আর কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করছে। আর যে লোকটা মাটিতে শায়িত আছে সে শুধু অক্সিজেন টা গ্রহণ করতে পারছে না। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পর দেখা যায় দু-তিন ঘন্টার মধ্যে মৃত ব্যক্তিকে বাড়িছাড়া করা হয়। এবং এটা করার জন্য খুব তাড়াহুড়া করা হয়। কেননা সবাই তখন তাকে অনেক ভয় পায়। তাহলে একবার ভেবে দেখেছেন আমার আপনার মূল্যটা কোথায়। সারা জীবন এতটা পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করলেন যাদের জন্য তারাই দেখবেন আপনাকে হয় চিতায় না হয় মাটিতে দাফন করবে। একজন মৃত মানুষকে দেখলেই আমরা বুঝতে পারি আসলে এরকম আমাদেরও হতে হবে এবং তার মতো আমাদের জীবনে মূল্যহীন হয়ে পড়বে শুধুমাত্র দেহে থেকে প্রাণটা বের হয়ে গেলেই।
এজন্য জ্ঞানীরা বলে থাকেন মানুষের কিসের এত অহংকার। যার শুরু অপবিত্র পানি দিয়ে এবং শেষ মৃতৃকায়। আসলেই আমরা কি জীবন নিয়ে কখনো ভেবে দেখি। আমাদের জীবনের মূল্য টা কোথায়। জীবনের মূল্যটা টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের কি করা উচিত?? জীবন থাকতে সময় থাকতে আর এখন আমরা কি করে সেই সময়টা অতিবাহিত করছি?? রাতে যখন বিছানায় ঘুমাতে যাবেন একটু নিরিবিলি মাথার নিচে হাতটা দিয়ে যদি ভেবে দেখা হয় আসলে আমরা পৃথিবীতে কি জন্য এসেছি কোথায় ছিলাম পূর্বে আর মৃত্যুর পরে আমাদেরকে কোথায় যেতে হবে। আমাদেরকে কেনইবা সৃষ্টি কর্তা পৃথিবীতে পাঠালেন নিশ্চয়ই তো উনার একটা পরিকল্পনা ছিল। তাহলে ওনার পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কি পৃথিবীর সময়টা অতিবাহিত করছি। আপনি যখন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে যাবেন দেখবেন আপনি যাদের জন্য এত পরিশ্রম করছেন সবকিছুই মূল্যহীন হয়ে পড়বে। জীবনের হিসাবটা মিলান দেখবেন যোগফল শূন্য। শুধু সবার জন্য করেই গেলেন নিজের জন্য কি জোগাড় করলেন যেটা নিয়ে সৃষ্টিকর্তার সামনে উপস্থিত হবেন।
পৃথিবীতে সবচেয়ে চিরন্তন একটি সত্য যা কেউ কখনো অস্বীকার করার ক্ষমতা রাখেনা সেটা হলো আমাদের মৃত্যু। মানুষ যেখানেই থাক যে অবস্থায় থাক যত সেফটির সাথেই থাক না কেন মৃত্যু হবেই। এজন্যই তো বলা হয়েছে জন্মিলে মিনিট মরিতে হইবে। মরতে তো হবে অবশ্যই কিন্তু জীবন থাকতে আমাদের যে কাজগুলো করার দরকার সেগুলো কি আমরা করছি। ওইযে প্রথমেই বললাম আত্মার শান্তি বা মানসিক প্রশান্তি আজ আমাদের মধ্যে নেই বললেই চলে। আমাদের এম্বিশন বা টার্গেট একটাই কিভাবে আরো বেশি টাকা আরো বেশি সম্পদের মালিক হওয়া যায়। কিন্তু এগুলো করতে গিয়ে যে আমরা নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি একটু ভেবে দেখেছি কখনো। মানসিক প্রশান্তি বা আত্মার শান্তি একমাত্র সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্ট অর্জনের মাধ্যমেই পাওয়া যায়। আপনি হতাশ হচ্ছেন হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই যত পাপ করি না কেন পাপ করে সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি পাপ ক্ষমা করে দেবেন এবং তিনি আরো বেশি খুশি হবেন।
আমরা মূলত রংয়ের এই পৃথিবীর মায়ায় আবদ্ধ হয়ে পড়েছি। শুধু পৃথিবীকে নিয়েই আমরা চিন্তা ফিকিরে মগ্ন। আমাদের যে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে এটা আমরা ভুলতেই বসেছি। অথচ এই রঙের পৃথিবীতে যে কেউই চিরস্থায়ী নয় এটা কখনোই ভাবি না। একটু ভেবে দেখুন তো পৃথিবীতে আসার একটা সিরিয়াল আছে কিন্তু পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার কিন্তু কোন সিরিয়াল নেই। একটা নিশ্বাস ছেড়ে দিচ্ছেন পরবর্তী নিশ্বাসটা টেনে তুলতে পারবেন কিনা এরও কিন্তু কোন গ্যারান্টি নেই। অথচ আমরা এই পৃথিবীকে নিয়েই সব সময় ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করি। ওই যে বললাম রঙের মায়ায় পড়ে গিয়েছি। জীবনকে রাঙিয়ে তুলছি পৃথিবীর সাজ সজ্জায়।
অথচ পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকার দরকার সব সময়। কেননা কখন যে পর পরের ডাক চলে আসবে শেষ নিঃশ্বাসটা ত্যাগ করে ফেলব। এজন্য আসুন আমরা ভাল কাজ করি ভাল পথে চলি। গরিব দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে থাকি। সৃষ্টিকর্তার দেখানো পথ অনুযায়ী চলি। সর্বাবস্থায় চেষ্টা করি তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। কেননা একমাত্র তার সন্তুষ্টি আমাদেরকে মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারে। সৃষ্টিকর্তা সন্তুষ্টিতে যেমন পৃথিবীতে ভালো থাকতে পারবো তেমনি পরপারেও ভালো থাকতে পারবো। এই পৃথিবীটা ধোঁকা ধোকায় পরিপূর্ণ আর আমরা প্রতিটা সময় ধোকা নামক মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে রয়েছি। তাই আসুন আমরা সৃষ্টিকর্তাকে ভালবাসি তিনি যা বলেছেন সেটা করি এবং যেটা থেকে দূরে থাকতে বলেছে সেখান থেকে বেঁচে থাকি। তাহলে দেখবেন পৃথিবীতেও ভালো থাকব পরপারে গিয়েও সুখে থাকতে পারবো।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মানুষের মধ্যে যদি মানসিক প্রশান্তি না থাকে তাহলে সে মানুষটার সফলতা অর্থহীন হয়ে যাবে ।মানুষের এত টাকা পয়সা বড় বড় গাড়ি দালান কোটা সবকিছু একদিন ত্যাগ করে চলে যেতে হবে। তাই মানুষের সবসময় প্রশান্তি খোঁজার চেষ্টা করতে হবে ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিক এই বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি যেভাবে মানুষের মধ্যে মানসিক শান্তিটা আসবে।
ধন্যবাদ আপনাকে পোষ্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর একটি টপিকস ছিল পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আমরা যে যাই করি না কেন সবকিছুর প্রতি সৃষ্টিকর্তার কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে হয়। সৃষ্টিকর্তা যা করেন সবকিছুই আমাদের মঙ্গলের জন্য করেন। আমরা যখন ভালো থাকি সেটাও আমাদের মঙ্গলের জন্য করেন। যখন আমরা খারাপ থাকি সেটাও আমাদের মঙ্গল জন্য করেন। তাই এত সুন্দর দুনিয়াতে আমাদেরকে সৃষ্টিকরে পাঠিয়েছেন। জন্ম যখন হয়েছে একদিন আমাদেরকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। কিন্তু এই দুনিয়াতে বেঁচে আছি প্রতিটি মুহূর্তের শুকরিয়া আদায় করতে হবে। যত বেশি আমরা শুকরিয়া আদায় করব তত বেশি মানসিক প্রশান্তি মিলবে।
যে কাজটাই করি না কেন যদি সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি না থাকে তাহলে কিন্তু আমাদের মধ্যে মানসিক প্রশান্তি টা আসবে না।
আমাদের উচিত সবসময় সঠিক পথে থেকে ভালো কাজ করে জীবনটা পরিচালনা করা।