এলোমেলো ফটোগ্রাফি 📸

২৪জৈষ্ঠ্য , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।

শুভ রাত্রি ❤️ প্রতিদিনের মতো আজ আবার একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে। আজকে সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার ফুলবাগান থেকে নেয়া। এবং শেষে আমার প্রিয় পাখি মিঠুর একটি ফটোগ্রাফি ও এখানে যোগ করেছি। একটা বাড়ির আঙিনায় একটি ফুলের বাগান মানে বাড়ির সৌন্দর্য বহুবনে বাড়িয়ে দেয়া। বাড়ির আঙিনায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্যই মূলত ফুল বাগানটা করেছিলাম সেই অনেক আগে। যদিও সময় সুযোগের অভাবে এখন আর ফুলবাগানের তেমন যত্ন নেয়া হয় না। তবে বসন্তকালে সব ধরনের ফুলের ব্যবস্থাই করা হয় ফুলবাগানে। আর কিছু ফুলের গাছ রোপন করা রয়েছে যেখান থেকে সব সময় ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এর মধ্যে অন্যতম হলো পাঁচ রকমের জবা ফুল নয়ন তারা রঙ্গন হাসনাহেনা আরো অন্যান্য ফুল রয়েছে। যাইহোক ফুলবাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিনিয়তই চেষ্টা করে যাই। চেষ্টা করি যখন কোনো ভালো ফুলের গাছ দেখি সেটা করায় করে বাগানে রোপন করার জন্য। উপরে দেখতে পাচ্ছেন আপনারা সাদা জবা ফুলের সৌন্দর্য। সাদা জবা ফুল কিন্তু বারো মাস ফুটে। পাঁচটা পাপড়ি এবং শীষ এর মূল সৌন্দর্যের কারু কাজ। আশা করছি উপরের দুটি ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

ফুল যদি সৌন্দর্যের বা ভালোবাসার প্রতীক হয় তাহলে কিন্তু এর মধ্যে রঙ্গন ফুল অন্যতম। গাছের প্রতিটা শাখা প্রশাখায় ঝোপা ঝোপা ফুল ফুটে থাকে। আরেকটি টোকাই কিন্তু ছোট ছোট দু তিন পাপড়ি যুক্ত অনেক ফুল ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ফুটে থাকে। কাণ্ড এবং পাতা সবুজ হলেও ফুল কিন্তু রক্তের মত টকটকে লাল। আর সব থেকে বেশি ভালো লাগার কারণ হলো সবুজ পাতার আড়ালে এই ফুলগুলো দারুন ভাবে ফুটে থাকে। তাছাড়া এই ফুল কিন্তু বছরের সবসময়ই ফুটে।

উপরের ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি মিষ্টি জবা ফুলের সৌন্দর্য। আমার বাগানে কিন্তু পাঁচ রকমের জবা ফুল রয়েছে এর মধ্যে সাদা লাল এবং এই মিষ্টি কালারের জবা ফুল অন্যতম। আজকের ফটোগ্রাফি পোষ্টের মধ্যে আমি দুটি সাদা ফুল এবং এই একটি মিষ্টি জবা ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। এই ফুলে মোটামুটি সুগন্ধি রয়েছে সেই সাথে এই ফুলে মধু থাকে খুব। এর জন্য প্রায় সব সময়ই এই ফুলে পিপড়া লেগে থাকে। যার কারণে ফুল ফুটে বেশিদিন থাকতে পারে না পিঁপড়া এটা আবার খেয়ে ফেলে এবং নষ্ট করে দেয়। যদিও মাঝে মাঝে পিঁপড়ার ওষুধ স্প্রে করে ফুলের সৌন্দর্য টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে থাকি। যাইহোক আশা করছি এই ফটোগ্রাফিটি ও আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

উপরে যে ফুলের ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন একচুয়াল নাম বলতে পারব না তবে আমাদের গ্রাম্য ভাষায় এটাকে মরিচ ফুল বলা হয়। মরিচ গাছের মতো গাছ তবে হেবি সুন্দর ঝাপটি থাকে। চারিপাশ ভিড়িয়ে কান্ড শাখা প্রশাখা দ্বারা বেষ্টন করা থাকে। যখন ফুল ফোটে প্রতিটা আগায় একটা দুটি করে সাদা ফুল তিন পাপড়ি যুক্ত সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেয়। আমার এই ফুল গাছের সবথেকে ভালো বিশেষত্ব হচ্ছে এই গাছের মধ্যে প্রায় সাত আটটার টুনটুনি পাখির বাসা রয়েছে। আর এটা কখনোই আমি ভাঙ্গি না বা এদের কোনো রকম ডিস্টার্ব করিনা।

নয়নতারা ফুল আমাদের সবারই পরিচিত। নয়নতারা ফুল বেশ কয়েক রকমের কালার হয়ে থাকে। আমার বাগানে রয়েছে এই পিংক কালারের নয়ন তারা। যদিও পুরোপুরি পিং কালার না সেন্টার পয়েন্ট সিগন্যাল রেড যুক্ত। পাঁচটা পাপড়ি যুক্ত এই ফুলের সৌন্দর্য সত্যি অসাধারণ। আমার বাগানে প্রায় চার পাশ দিয়েই এই ফুল দিয়ে বেষ্টন করা রয়েছে। তাছাড়া বাগানের ভেতর ঢুকতে পথের দু পাস দিয়ে ও এই ফুলের চারা রোপন করা রয়েছে সবসময়ই ফুল ফুটে থাকে।

সর্বশেষ দেখতে পাচ্ছেন আমার প্রিয় পাখি মিঠুর ফটোগ্রাফি। যখন বাগানে ফুলের ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন সেও বাগানে ছিল। কোত্থেকে যেন উড়ে এসে খাঁচার উপর বসে নিজের শরীরের যত্ন নিতে শুরু করল। তার দিকে ক্যামেরা ধরতেই অন্যরকম একটা ভঙ্গিতে তাকিয়ে রইল। আমিও ঠিক সেই সময়টাতেই একটি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। আপনারা হয়তো জানেন এই পাখিটি আমার খুব প্রিয় এর আগেও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি। বলতে পারেন সে এখন আমাদের পরিবারের একজন সদস্য। যাইহোক এরই মধ্য দিয়ে আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট এর ইতি টানছি। আশা করছি আমার পোষ্টের সবগুলো ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।