চলমান শীতকালীন সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফী প্রতিযোগীতায় আমার অংশগ্রহণ❤️ 10% লাজুক শেয়ারের জন্য❤️
২০মাঘ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
০৩ফেব্রুয়ারী , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
৩০জমাদিউল সানি, , ১৪৪৩ হিজরী
বৃহস্পতিবার।
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
❤️❤️❤️❤️
শীতকালীন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফী কনটেস্ট টি চালু হওয়ার পর থেকেই দেখেছি আমাদের কমিউনিটির সবাই দারুন দারুন ফটোগ্রাফি কালেক্ট করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে আমাদের মাঝে। সত্যিই এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি উপভোগ করেছি যা এর আগে কখনো করতে পারেনি শীতকালের সৌন্দর্যের ।এজন্য অবশ্য দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ,😍যে তিনি এত সুন্দর একটি কনটেস্ট আমাদের জন্য রান করেছেন। তেমনি আমিও আজকে শীতকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। সকাল থেকে নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত শীতকালীন সৌন্দর্য আমি যে ভাবে উপভোগ করি সেই ফটোগ্রাফি গুলাই আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ সবাইকে। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক । |
---|
সূর্যোদয়
লোকেশন:
https://w3w.co///waterfront.mishap.watchmaker
শীতকালে সূর্য উদয় হওয়ার মুহূর্ত অনেকেই খুব মিস করে। কারণ ঘুম থেকে সবাই একটু দেরি করেই উঠে। এ দুটি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করেছি আধারের বুক চিরে এবং সকালের ঘন কুয়াশা ভেদ করে সূর্য ওঠার দৃশ্য। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে । |
---|
কুয়াশার চাদর
লোকেশন:
https://w3w.co///waterfront.mishap.watchmaker
শীতকালে শিশির বিন্দু ঝরবেই আর শিশিরবিন্দু নিয়ে পূর্বে লেখা হয়েছে অনেক কাব্যগ্রন্থ কবিতা নাটক ও গল্প আমাদের সবারই জানা। উপরের তিনটা ফটোর মাধ্যমে আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করেছি সকালের কুয়াশা আচ্ছাদিত দৃশ্য ।এবং ঘাসের ডগায় জমে থাকা বিন্দুবিন্দু শিশির ।আপনারা উপরের দৃশ্য লক্ষ করলে উপভোগ করতে পারবেন। নদীর ঘাটে বেঁধে রাখা কয়েকটি নৌকার দৃশ্য যা প্রায় দূর থেকে কুয়াশায় দেখা মিলছে না। |
---|
শীতে বসে ফুলের মেলা
লোকেশন:
https://w3w.co///subside.khaki.wisely
শীতকালে চারি দিকে তাকাইলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সুন্দর সুন্দর ফুল। বিশেষ করে এখন গ্রামের বাড়ি গুলর চারপাশে এবং গেটের সামনে লাগানো বাহারি রকমের ফুলের দেখা মেলে আমাদের এদিকে। ফুলে করছেন মৌমাছি ভনভন, করছে মধু সংগ্রহ, ছরিয়ে দিচ্ছে সুবাস। দেখলে জুড়িয়ে যায় নজর। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই ফুল দুটি আজ সকালে আমার বাগান থেকে ফটোগ্রাফি করেছি ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। |
---|
মাছ শিকার
লোকেশন:
https://w3w.co///crudest.rumpled.nasally
কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য দু তিনদিন ধরে আমি ফটো কালেক্ট করতে ছিলাম ।গতকাল সকালে হালকা কুয়াশা ছিল। যখন আমি নদীর ধার দিয়ে হাটতে ছিলাম তখন আমি সকালে মাছ শিকার করা পাখিদের কিছু ফটোগ্রাফি করি ।যার মধ্যে দুটি ফটো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। মানুষ যেমন সকালে উঠেই তার রিজিকের জন্য চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তেমনি পাখিরাও তাদের খাবারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ওত পেতে থাকে তাদের শিকারের জন্য ।উপরের ছবিটিতে আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন একটি মাছরাঙ্গা তার ঠোঁটে মাছ শিকার করে ধরে আছে খাওয়ার জন্য ।ঠিক সেই মুহূর্তেই আমি ফটোটা তুলে নেই। আরেকটি ছবিতে আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন একটি সাদা বক হাঁটুপানিতে হাঁটাহাঁটি করছে তার শিকারকে ধরার জন্য। |
---|
শীতের কৃষিকাজ
লোকেশন:
https://w3w.co///crudest.rumpled.nasally
এখন চলছে রবি মৌসুম ।বিশেষ করে কৃষক খুবই ব্যস্ত সময় পার করছে ।আমি খুব সকালে উঠে যখন নদীর ধারে যাই তখন আমি লক্ষ করে দেখতে পাই যে, তারা জমি চাষ করছে ধান লাগানোর জন্য। শীত কুয়াশা উপেক্ষা করেই তারা তাদের কাজ করে যাচ্ছে আপন গতিতে ।উপরের দুটি ছবিতে আপনারা লক্ষ্য করলে এটি উপভোগ করতে পারবেন। |
---|
শীতের অতিথি পাখি সাইবেরিয়া থেকে আগত
লোকেশন:
https://w3w.co///partake.overbuilt.modifiable
এই ফটোগ্রাফি দুটি করেছি আমি পদ্মা নদীর কোল ঘেঁষে বয়ে চলা তারই একটি শাখা নদীর পানি থেকে। এখন অবশ্য পদ্মার সাথে তার কোনো সংযোগ নেই ।উপরের ছবিতে আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন অনেকগুলা পাখি। হাঁসের মতো পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে আর ডুব দিয়ে মাছ ধরে খাচ্ছে। যে পাখিগুলা কে আমরা বলে থাকি অতিথি পাখি ।এই পাখিগুলো সাইবেরিয়া থেকে আগত। সাইবেরিয়া এখন প্রায় বরফে ঢাকা এজন্য পাখিগুলো ওখানে থাকতে পারে না। তাই প্রায় আড়াই মাস ধরে উড়ে উড়ে চলে আসে এই বাংলায়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এসে হাজির ।আবার যখন গরমের সময় চলে আসবে তারা উড়াল দিয়ে চলে যাবে তাদের আপন ঠিকানায় ।শীতে এই অতিথি পাখি দেখার জন্য বিকেলে অনেক মানুষের সমাগম হয় নদীর পাড় দিয়ে। সবাই ফটোগ্রাফি করে এবং এখানে এসে সুন্দর সময় পার করে। |
---|
কৃষকের বাড়ি ফেরা
লোকেশন:
https://w3w.co///partake.overbuilt.modifiable
ছোটবেলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদ্মা নদী নিয়ে লেখা একটি কবিতায় পড়েছিলাম, আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে ,ঠিক ঋতুর আবর্তনের ফলে এখনই আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে চলা ছোট নদীতে ঠিক কবিতার সাথে মিলে যায় হাঁটুপানি ।আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন পানির উপর পড়েছে গোধূলির আলো ।কৃষক কৃষি কাজ সেরে ফিরতে বাড়িতে। তারা পানিতে নেমে হাত মুখ পরিষ্কার করছে ।এবং ছোট নদী পাড়ি দেওয়ার জন্য নৌকায় উঠছে। |
---|
সূর্যাস্ত
লোকেশন:
https://w3w.co///subside.khaki.wisely
বিকেল হলে রোদের তাপমাত্রা একটু কমতেই চারি দিকে তাকালেই কুয়াশা লক্ষ করা যায়। উপরের দুইটি ছবিতে আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করেছি সূর্য ডোবার দৃশ্য । ☀️ ডোবার ঠিক আগমুহূর্তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কুয়াশা ঝরছে উপর থেকে। আশা করছি আপনারা ফটো দুটি সুন্দর ভাবে উপভোগ করবেন। |
---|
শীতের সকালে খেজুরের রস খাওয়ার মজা
লোকেশন:
https://w3w.co///unbuckle.cook.coffeehouse
শীত এলেই চারিদিকে ধুম পড়ে যায় খেজুরের রসের। খুব ব্যস্ত সময় পার করে গাছিরা। খেজুরের রস দিয়ে গুড় এবং পাটারি তৈরি করে তারা ।এগুলো গঞ্জের হাটে বিক্রি করে। এমনকি শহরেও রপ্তানি করা হয় ।আর শীতের সকালে খেজুরের রস খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম ।যেমন রসের সুগন্ধ এবং ঠান্ডা রস মুখের মধ্যে পড়লে যেন সারা গায়ে কাঁপুনি দিয়ে ওঠে ।আজকে সকালে আমি ফটো তুলেছি এবং আজ সকালে খেজুরের রস খেয়েছি। আমাদের গ্রামে অনেকেই এই খেজুরের রস সংগ্রহ করে ।আজকে সকালে হাঁটতে হাঁটতে রহিম চাচার বাড়ি গিয়ে এই রস খেয়েছি। খুব ভালো লেগেছে। এবং রস খাওয়ার পরে অনেকটা কাঁপছিলাম শীতে। শীতকালের মজাটাই উপভোগ করা যায় না তাইতো মাঝেমধ্যেই ছুটে যায় রহিম চাচার বাড়িতে খেজুরের রস খাওয়ার জন্য। |
---|
❤️❤️❤️❤️
এই ছিল শীতকালীন প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফী কনটেস্ট এ আমার অংশগ্রহণের জন্য সংগ্রহকৃত ফটোগুলো ।আমি বেশ কয়েকদিন ধরে ফটোগুলো সংগ্রহ করেছি। এবং সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। |
---|
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
ওয়াও আপনার সব ফটোগ্রাফির গুলো তো অসাধারণ ছিল। আমার কাছে তো প্রত্যেকটা এই ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ লাগলো। বিশেষ করে অনেকগুলো অতিথি পাখি মাছ ধরার ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় লাগলো। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল 🤗🤗
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামত তুলে ধারার জন্য।। 🌹🌹
শীতকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপলক্ষে প্রতিযোগিতা আপনার অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ। আপনি খুব সুন্দর চমৎকার কিছু ফটো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সেই সাথে সুন্দর বর্ণনা করেছেন। অতিথি পাখির ফটোগ্রাফি গুলো আমার বেশ ভাল লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামত তুলে ধারার জন্য।। 🌹🌹
সত্যি ভাইয়া অসাধারন ফটোগ্রফি করেছেন একবারে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের মতো করে তুলেছেন সব ছবি। আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে পাখিটি মাছ খাচ্ছে এই ছবিটি। যাইহোক ভাইয়া আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল এই শীতকালীন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামত তুলে ধারার জন্য।। 🌹🌹
ভাই আপনি এমন ছবি তুলেছেন সেগুলো কোনোটাকেই আমি খারাপ শব্দ টার সাথে উচ্চারণ করতে পারবোনা। প্রত্যেকটা ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আর আপনি যে খেজুরের রসের অনুভূতির কথা বললেন সেই অনুভূতির সাথে আমার কখনোই পরিচয় হয়নি। আমি কখনোই খেজুরের রস খাই নি । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে দাওয়াত রইল আমাদের কুষ্টিয়ায় খেজুরের রস খাওয়ার জন্য।।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
আমার মনে হয় ভালো রুচি আর উন্নত কাজের মান না হলে ভাল ব্লগার হওয়া যায়না। আপনার ছবিগুলোতেই আপনার কাজের মান এবং রুচির প্রতিফলন ঘটেছে। দারুন সুন্দর সুন্দর এই ছবিগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া ❤️❤️
অসাধারণ সব ফটপোগ্রাফি নিয়ে আপনি অংশগ্রহণ করছেন, প্রতিটা ফটো অনেক অনেক সুন্দর ছিল যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল আশা করি ভালো কিছু হবে।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ❤️❤️
আপনার ফটোগ্রাফিগুলো অনেক ভালো লাগলো। প্রতিটি ফটোগ্রাফিতে প্রকৃতির ছোঁয়া ছিলো। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফ অনেক ভালো লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে সত্যি মন জুড়িয়ে গেলো।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া ❤️❤️❤️
https://twitter.com/MdLiton82465447/status/1489085954878951425?t=mbj_KKimRYZyBHJx6ebd4g&s=19
আপনি খুব সুন্দর ও খুবই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, সেই সাথে সুন্দর বর্ণনা করেছেন। আমার কাছে ও সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে অতিথি পাখির ফটোগ্রাফি গুলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমার ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুব খুশি হলাম ধন্যবাদ ❤️❤️❤️