শৈশবের মজার কিছু মুহূর্ত।
"আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম।" |
---|
হ্যালো বন্ধুরা 💞
আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের আয়োজন শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। সব সময়ই চেষ্টা করি আপনাদের কে ভালো কিছু উপহার দেওয়ার জন্য। আজকের আয়োজন আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
লোকেশন:- উত্তরখান,ঢাকা, বাংলাদেশ।
এক টানা তিনদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে বৃষ্টির মধ্যে চলা ফেরা করা খুব কষ্টকর হয়ে যায় সবার জন্য। আজকে শুক্রবার ছুটির দিন। যদিও সকাল বেলায় থেকে বাসা থেকে বৃষ্টির কারনে বের হইনি। তবে বিকেল বেলায় যখন দেখলে কিছুটা বৃষ্টি কমেছে। এর পরে বাসায় থেকে একটু হাঁটাহাঁটি করার জন্য বের হলাম। এর পরে বাজারের দিকে আসলাম। পরিচিত এক অটোরিকশা চালক এর সাথে দেখা হয়ে গেলো। তিনি আমাকে ঢেকে অটোরিকশাতে উঠালেন। এর পরে বলতেছেন তিনি নাকি তেরমুখ ব্রিজ এর দিকে যাবেন। এজন্য আমাকে নিয়ে যাবেন। আমিও বললাম তাহলে চলেন ঘুরে আসি।
লোকেশন:- উত্তরখান,ঢাকা, বাংলাদেশ।
কিছুক্ষণ এর মধ্যে আমরা গিয়ে তেরমুখ ব্রিজ এ পৌঁছালাম। সেখানে গিয়ে তো চমৎকার দৃশ্য দেখতে পেলাম। মনে হচ্ছিলো যেনো শৈশবের সোনালী দিন গুলো চোখের সামনে ভাসতেছে। নদীতে বেশ কিছু ছেলেরা গোসল করতেছে। আবার অনেক ছেলেরা মিলে তেরমুখ ব্রিজ এর উপরে থেকে নদীতে লাফ দিচ্ছে। সত্যি বলতে জাস্ট অসাধারন মুহূর্ত। এই তেরমুখ ব্রিজ এর উপরে থেকে আমিও প্রায় পাঁচ বছর আগে লাফ দিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিলো যেনো কিছু সময়ের জন্য হলেও শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম।
লোকেশন:- উত্তরখান,ঢাকা, বাংলাদেশ।
আজকে আমার মনটা এত বেশি ভালো হয়ে গিয়েছে যে আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। তাই আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এবং আপনাদের কে দেখানোর জন্য ছোট করে একটা ভিডিও করে নিলাম। নিচে ভিডিও লিংক শেয়ার করলাম। অবশ্যই দেখবেন আশাকরি আপনাদের সবার ভীষণ ভালো লাগবে। সত্যি বলতে সময়টা সুন্দর কেটেছে। মাঝে মধ্যে যখন শৈশবের মজার সৃষ্টি গুলো মনে পড়ে মনের অজান্তেই হাসি চলে আসে। কতই না দুষ্টামি মজা করেছি সবাই মিলে। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
ভিডিও লিংক:-
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টিমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমি এখন বর্তমানে জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকা উত্তরায় থাকি। আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছি এবং পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করে আসছি। আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার তিন বছর। এখন আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আমি সত্যিই গর্বিত আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকতে পেরে। স্টিমিট আর আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে, তাই যতদিন স্টিমিট রয়েছে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথেই থাকবো। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো। আল্লাহ হাফেজ 💞
তের মুখ ব্রিজে গিয়ে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন।সেখানে গিয়ে আপনার শৈশবের সোনালী দিনগুলো কথা মনে পড়ে গেল জেনে অনেক ভালো লাগলো। কারণ কিছু কিছু মুহূর্ত আছে শৈশবে সোনালী দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। নদীতে ছেলেগুলো গোসলও লাফালাফি করছিল দেখে অনেক ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল এবং ভিডিওটাও দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/HouqeLimon/status/1839682454250287140?t=ak9FZJslWDRnxTPFACaH9w&s=19
তোমার পোস্ট পড়ে ছোট্ট বেলায় হারিয়ে যাচ্ছিলাম।
আমিও এভাবে গাছ থেকে পুকুরে কত লাফ দিয়েছি।
তবে তেরমুখ ব্রিজটা অনেক উপরে, ওখান থেকে লাফ দেয়া বিপদজনক ব্যাপার। যাইহোক ভিডিওটিও সুন্দর ছিল।
আমি একবার তেরমুখ ব্রিজ থেকে লাফ দিয়েছিলাম। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
নদীতে বেশ কিছু ছেলেদের গোসল করতে দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমিও শৈশবে নদীতে গোসল করে অনেক মজা করেছিলাম। কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে শৈশবের দিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেল। অবশেষে ভিডিওটি দেখে খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলা গাছের ডাল থেকে পুকুরে লাফিয়ে পড়েছি। অনেক বড় পুকুর মূহুর্ত্তের মধ্যে সাঁতার দিয়ে পার হয়ে গিয়েছি। এখন এগুলো দেখলে সেই সোনালী শৈশব সেই ছোটবেলা মনে চলে আসে। আহ কী চমৎকার সেই দিনগুলো ছিল। দারুণ লাগল আপনার পোস্ট টা ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
সত্যি ভাই সেই দিন গুলো অনেক মিস্ করি ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে কিছু কিছু ঘটনা দেখলে আমাদের চোখের সামনে শৈশবের স্মৃতি গুলো ভেসে উঠে। ছোটবেলায় অনেক ছেলেদেরকেই দেখতাম ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে পানিতে পড়তে। তবে আমি সাঁতার জানতাম না বলে এই ধরনের অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।