ভাতিজা যখন চটপটি খাওয়ায়।
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
![]() |
---|
শুভ সকাল 🌅
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের আয়োজন শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। ভাতিজা যখন চটপটি খাওয়ায়। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে চলুন শুরু করা যাক।
গতকাল ছিলো শুক্রবার ছুটির দিন। অফিস বন্ধ ছিলো। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। অফিস বন্ধ পেলে মনে মনে ভাবি আজকের দিনটাতে বেশ কিছু সময় ঘুমাবো। তবে ছুটির দিন গুলোতে কোন ভাবেই যেনো তেমন একটা ঘুম হয়না। খুব সকালেই ঘুম ভেঙ্গে যায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাসায় ছিলাম। জুমার নামাজ আদায় করে বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করে রেষ্ট করলাম। কিছুক্ষণ পর শাশুড়ি ফোন দিলেন যে ওনাকে আব্দুল্লাহপুর থেকে নিয়ে আসতে হবে। এর পরে আমি রেডি হয়ে আব্দুল্লাহপুর এর দিকে রওনা দিলাম। রাস্তা ফাঁকা থাকার কারনে একটু আগেই সেখানে পৌঁছে গেলাম।
এর পরে দেখলাম শাশুড়ি হাতে বেশ কিছু জিনিস রয়েছে। এজন্য আমাকে আসতে বলেছে। এবার আমি ওনাকে নিয়ে অটোরিকশা করে তাদের বাসায় গেলাম। এর পরে আমার ওয়াইফ এর বড় ভাইয়ের ছেলে আসিফ অসলো। মানে হচ্ছে আমাদের ভাতিজা। সে কিন্তু আবার তার দাদার খুব আদরের। প্রতিদিন তার দাদা তাকে ২৫০ টাকা করে দেয় তার পছন্দের খাবার খেতে। পছন্দের খাবার খেতে টাকা না দিলে সে আবার ঝামেলা করে বসে। দাদার আদরের নাতি বলে কথা তাকে তো টাকা দিতেই হবে। এর পরে আসিফ কে সাথে নিয়ে একটু হাঁটতে বের হলাম। বেশ কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করলাম। মাঝে মধ্যে হাঁটাহাঁটি করলে শরীর ভালো থাকে।
![]() | ![]() |
---|
এর পরে রাস্তার পাশে একটি চটপটি এবং ফুচকার দোকান দেখতে পেলাম। এখন আমাকে আসিফ বলতেছে সে নাকি আমাকে চটপটি খাওয়াবে। তার কথা শুনে ভীষণ ভালো লাগলো। আসিফ এর মন অনেক ভালো। বিভিন্ন ভাবে এর আগেও আমি সেটা লক্ষ্য করেছিলাম। এর পরে আমরা দু'টো চটপটি দোকানদার কে দিতে বললাম। কিছুক্ষণ এর মধ্যে তৈরি করে দিয়ে দিলো। অনেক দিন পরে চটপটি খেলাম খেতে বেশ মজা লাগলো। এর পরে দোকানদার কে আসিফ টাকা দিচ্ছে। আমি না করলাম টাকা দিতে এর পরে ও সে টাকা দিয়ে দিলো। এর পরে আমি আসিফ এর হাসি মুখ লক্ষ্য করলাম। তার পরে বাসায় চলে আসি। এবার আমি বাসায় আসার সময় আসিফ কে কিছু টাকা দিয়ে দিলাম নাস্তা খাওয়ার জন্য। তবুও সে নিতে চাইলো না আমি বুঝিয়ে দিয়ে দিলাম। আসিফ এর সাথে সুন্দর মহূর্ত উপভোগ করলাম। আপনাদের সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিলাম। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম।
বিভাগ | লাইফস্টাইল পোস্ট। |
---|---|
ডিভাইস | realme 9 |
বিষয় | ভাতিজা যখন চটপটি খাওয়ায়। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার | @limon88 |
![]() |
---|
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টিমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমি এখন বর্তমানে জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকা উত্তরায় থাকি। আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছি এবং পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করে আসছি। আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার তিন বছর। এখন আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আমি সত্যিই গর্বিত আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকতে পেরে। স্টিমিট আর আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে, তাই যতদিন স্টিমিট রয়েছে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথেই থাকবো। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো। আল্লাহ হাফেজ 💞
https://x.com/HouqeLimon/status/1811937416649068939?t=1mvs937PDUo6pn-t7BjvzQ&s=19
সকাল সকাল এমন চটপটি সামনে দেখলে লোভ সামলানো মুশকিল। যাইহোক শাশুড়ির হাতে তো অনেক জিনিস থাকবে।মেয়ের বাসায় আসবে বলে কথা। ভাতিজা তো অনেক ভালো দেখছি চটপটির দাম দিয়ে দিল।তবে আপনি বাসায় গিয়ে তাকে কিছু টাকা দিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনার ভাতিজা অনেক ভালো দেখছি। আপনাকে ভাতিজা চটপটি খাওয়ালো এবং টাকাও দিয়ে দিল। দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক ভালো মানুষ আপনার ভাতিজা। যাইহোক অনেক দিন পর চটপটি খেয়েছেন মজা করে ভাতিজা সঙ্গে। চটপটি খাওয়ায় অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
আহারে এরকম ভাতিজা যদি আমাদেরও থাকতো। দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনার ভাতিজা একজন ভালো মনের মানুষ। মানুষটা ছোট হলে কি হয়েছে মনটা অনেক বড়। আমিও কিন্তু চটপটি অনেক পছন্দ করি। আপনার চটপটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তবে ভালো লাগলো দেখে। আপনি বাড়িতে গিয়ে আপনার ভাতিজাকেও কিছু টাকা দিয়ে দিয়েছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনার ভাতিজা অনেক ছোট মানুষ।ছোট মানুষ হয়েও আপনাকে চটপটি খাওয়ালো এবং সেই টাকাটি দিয়ে দিল। তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক ভালো। তারপর নাস্তা খাওয়ার জন্য অনেক বুঝিয়ে কিছু টাকা দিয়ে দিলেন আসিফ টাকা নিতে চাচ্ছিল না। ভাতিজার সাথে চটপটি খাওয়ার অনুভূতিটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আসিফ তার দাদার খুবই আদরের বুঝতে পারছি ভাইয়া। তাইতো তার খাওয়ার জন্য বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলেন। দুজনে মিলে খাওয়া-দাওয়া করেছেন আবার অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।