ভাগ্নিকে নিয়ে ঘোরাঘুরি পর্ব:- ১
গ্রীন ভিউ রিসোর্ট অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার লিমিটেড। |
---|
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। কেমন আছেন সবাই? প্রথমেই সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি। আশাকরি আপনারা সকলকেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। ভাগ্নিকে নিয়ে ঘোরাঘুরি পর্ব:- ১ চলুন শুরু করা যাক।
গতকাল শুক্রবার অফিস ছুটি ছিলো। ভাগ্নি ফারিয়া কে অনেক সুন্দর সময় পার করেছি। ছুটির দিন তাই একটু ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। হঠাৎ করে ভাগ্নি এসে মামা মামা বলে ডআকতএছএ। আমার ভাগ্নিটা আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝতে না। আমাকে দেখলে সে ভীষণ খুশি হয়। অফিস থেকে আসার সময় অনেক দুরে থাকলেও জানালা দিয়ে দেখলে অনেক চিৎকার করে ঢাকতে থাকে মামা মামা। সত্যি ভাগ্নিটা ও আমার ভীষণ আদরের।
ফারিয়া আজকে বায়না ধরেছে সে ঘুরতে যাবে। খুব ভালো আমিও ঘুরতে ভীষণ পছন্দ করি। এবার ফারিয়ার আম্মুকে বললাম ফারিয়াকে একটু রেডি করে দিতে। কিছুক্ষণ পরে ফারিয়া রেবা। এবার মামা ভাগ্নি বাসায় থেকে বের হয়ে বাজারে আসলাম। ভাগ্নিকে কিছু চিপস কিনে দিলাম। সে খাচ্ছে তার পরে অটোরিকশা নিলাম। আমাদের বাসায় থেকে ১৫ মিনিট এর রাস্তা একটা পার্ক রয়েছে। গ্রীন ভিউ রিসোর্ট অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার লিমিটেড। সেখানে গেলাম তার পরে একটা ১০০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটলাম। এবার দু'জনে মিলে পার্কের ভিতরে প্রবেশ করলাম।
যদিও আমি এই পার্কে ভ্রমণ করতে একবার এসেছিলাম। তবে ভাগ্নিকে নিয়ে ভীষণ আনন্দ হবে। প্রথমেই দেখতে পেলাম বিশাল বড় একটা ঈগল পাখি বানিয়ে রেখেছে হলুদ রঙের কারনে দেখতে অসাধারন লাগতেছে। এবার ভাগ্নিকে ছেড়ে দিলাম। সে তো এদিকে ওদিকে যাওয়া শুরু করলো। ভাগ্নি তো ভীষণ খুশি। একটু ভিতরে যাওয়ার পর দেখলাম অনেক গুলো মাছ বানিয়ে রেখেছে। মাছের ভিতরে দিয়ে পানি পরার সিস্টেম করে রেখেছে। দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। ভাগ্নিটা কাছে গিয়ে দেখতেছে। ছোট ভাগ্নিকে নিয়ে ছবি তোলা মুশকিল।
এবার পাশেই দেখলাম মাছের খেলনা। ফারিয়া খেলনা মাছটিকে দেখে গিয়ে বসে পরলো। কিছুক্ষণ বসে ছিলো তার পরে উঠে হাঁটা হাঁটি শুরু করলো। পার্কের ভিতরে সব কিছু সবুজে ঘেরা। সবুজ প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। চমৎকার ভাবে পার্টিকে সাজিয়েছে।
তার পরে ভাগ্নিকে নিয়ে আর একটু সামনে গেলাম। দেখতে পেলাম পুকুরের পাশে বিশাল বড় একটা বাগান বিলাস ফুলের গাছ। ভাগ্নিকে সাথে নিয়ে বাগান বিলাস ফুলের কিছু ছবি তুললাম। আজকে এই পর্যন্তই রইলো। খুব তাড়াতাড়ি পরের পর্ব নিয়ে হাজির হবো। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। ভাগ্নিকে নিয়ে ঘোরাঘুরি পর্ব:- ১ কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন? আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
বিভাগ | ভ্রমন। |
---|---|
ডিভাইজ | realme 9 |
বিষয় | ভাগ্নিকে নিয়ে ঘোরাঘুরি পর্ব:- ১ |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার | @limon88 |
আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য
💞 ধন্যবাদ 💞
💞 ধন্যবাদ 💞
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টীমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো।
[("অন্যকে সাহায্য করুন তার স্বপ্ন ছুঁতে দেখবেন আপনি আপনার স্বপ্ন এর কত কাছে চলে গেছেন")]
https://steemitwallet.com/~witnesses VOTE @bangla.witness as witness OR
ঘোরাঘুরি করতে আমার খুব ভালো লাগে বিশেষ করে বাচ্চাদের সাথে নিয়ে ঘুরতে আরও বেশি ভালো লাগে তারা অদেখাকে দেখে বিভিন্ন কৌতুহল নিয়ে বিভিন্নভাবে প্রশ্ন করে থাকে যেমন আমার ছোট ভাইকে নিয়ে ঘুরলে আমার অনেক ঝামেলায় পড়তে হয় প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমি ক্লান্ত হয়ে যাই।।
আপনার ভাগ্নিকে নিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন আসলে সবুজে মোরানো এমন জায়গা দেখতে কার না ভালো লাগে।।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রতিটা পরিবারে কিছু ছোট ছেলে বা মেয়ে থাকে এবং ওই পরিবারের কিছু মানুষ থাকে যাদেরকে ওই ছোট ছেলে বা মেয়ে অনেক ভালোবাসি এবং তার কাছে ছাড়া অন্য কারো কাছে সেভাবে যেতেও চায়না। ঠিক তেমনি আপনার ভাগ্নি ফারিয়া। যেমন সে আপনাকে ছাড়া কোন কিছুই বুঝতে চায় না। আপনি আপনার ভাগ্নিকে নিয়ে পার্কে খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। যদিও এগুলো সম্ভব হয়েছে গতকাল শুক্রবার ছিল বলে। তা না হলে আপনাকে তো অফিসে থাকতে হতো। তবে পার্কের ভেতরে খুবই সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখা যাচ্ছে ভাই। প্রথম পর্বটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভাগ্নির জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
পার্কটি আসলেই খুব সুন্দর। প্রকৃতির ছোঁয়া যেখানে আছে, তা সুন্দর না হয়ে কি পারে।ভাগ্নি ফারিয়াকে নিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া।১০০ টাকা টিকিট কেটে নিয়ে ঢুকতেই বড় একটা ঈগল ফারিয়া দেখে খুব খুশি হয়েছে আশাকরি। অনেক ভাল লাগলো ভাগ্নিকে নিয়ে ঘোরাঘুরির অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনি তো দেখছি আপনার ভাগ্নিকে নিয়ে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। আপনার ভাগ্নি সত্যিই খুবই মিষ্টি দেখতে। এর আগেও কয়েকবার আপনার ভাগ্নিকে নিয়ে কাটানোর কয়েকটি মুহূর্ত শেয়ার করেছিলেন আমাদের মাঝে ভীষণ ভালো লেগেছিল। সে বেশ ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছে দেখে বুঝতে পারছি। প্রথম পর্ব পড়ে ভালো লাগলো দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম তাহলে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
https://twitter.com/HouqeLimon/status/1636903057979244544?t=yE8HKk4hf-8f4_T3yW34ag&s=19
ভাগিনা-ভাগ্নিরা মামাদের প্রতি একটু বেশি আকর্ষণ ফিল করে। আপনার ভাগ্নিও তেমন আপনাকে অনেক ভালো ভালোবাসে। আপনি ভাল কাজ করেছেন ভাগ্নিকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে পার্কে চলে গিয়েছেন। ছোট বাচ্চারা পার্কে গেলে খুব মজা করে। আপনার ভাগ্নিও পার্কের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে অনেক মজা করেছে দেখে বোঝা যাচ্ছে। দোয়া রইল আপনার ভাগ্নির জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ফারিয়া মামনিকে দেখতে কিন্তু ভারী মিষ্টি লাগছে। এই তো সেদিন দেখলাম কত ছোট্ট ছিল। এখন অনেকটা বড় হয়েছে। আসলে ছোট পিচ্চি গুলো বড় হতে একদমই সময় লাগে না। মামণিকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার ভাগ্নির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
জি আপু বড় হয়ে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
১০০ টাকার টিকেট কেটে ছোট ফারিয়াকে নিয়ে তো বেশ ভালই প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ালেন। ফারিয়া মনে হচ্ছে বেশ খুশি হয়েছে। বাচ্চাদের সাথে ঘুরে বেড়ালে নিজের মনটা বেশ ভালো হয়ে ।যায়
ঠিক বলেছেন আপু। আমিও ছোটদের সাথে মিশতে পছন্দ করি। ধন্যবাদ আপনাকে।