জেনারেল রাইটিং:)- মানিক মিয়া ডাকাতের কবলে।
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
শুভ রাত্রি 🌃
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের আয়োজন শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা নিয়ে। মানিক মিয়া ডাকাতের কবলে। চলুন এবার শুরু করা যাক।
মানিক মিয়া হচ্ছে আমার অফিস কলিকের বড় ভাই। মানিক মিয়া একজন গাড়ি চালক। তিন গার্মেন্টস এর মালামাল এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যান। এইতো প্রায় দু সপ্তাহ আগের ঘটনা। মানিক মিয়া গাড়িতে করে মালামাল নিয়ে রাতে করে এক জায়গায় যাচ্ছিলেন। তিন খুব ভালো করে তার গন্তব্যে পৌঁছে গেলেন। তবে যে ব্যক্তির মালামাল নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন মালামাল পৌঁছে দিলে তাকে প্রায় ছয় লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এর পরে মানিক মিয়াকে বলা হয় যাতে করে টাকা গুলো সাবধানে নিয়ে আসা হয়।
তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে মানিক মিয়ার কাছে যে টাকা থাকবে। এটা কোন না কোন ভাবে ডাকাতের কাছে খবর যায়। আমার কাছে মনে হয় মানিক মিয়া যে ব্যক্তির মালামাল নিয়ে গিয়েছে তার কোন পরিচিত ব্যক্তি টাকার কথাটা বলে দিয়েছে। এর পরে রাতের বেলায় যখন মানিক মিয়া গাড়ি নিয়ে আসতে ছিলো। তখন মাঝ রাস্তায় ১৫-২০ জন ডাকাত গাড়ি আটকিয়ে দেয়। তবে মানিক মিয়া খুব সাহসী ছিলেন। ডাকাত যখন মানিক মিয়াকে ধরে ফেলে এবং মানিক মিয়া কে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখাতে থাকে। এর পরে ও মানিক মিয়া টাকার কথা বলেন না।
অনেক মারধোর করার পরেও মানিক মিয়া টাকার কথা শিখার করেন না। এর পরে শেষ মুহূর্তে যখন ডাকাত আর মানিক মিয়ার সাথে পারলেন না। তবে শেষে মানিক মিয়ার হাতে একটা কোপ দিয়ে যায় এতে করে হাতের মাংস কেটে যায়। তবে মানিক মিয়া এর পরে অনেক কষ্ট করে গাড়ি চালিয়ে একটা বাজারের কাছে আসেন। এর পরে বেশ কিছু লোক মানিক মিয়া কে দেখে তখন মানিক মিয়ার হাতের অবস্থা খারাপ। এর পরে আশেপাশে এক হাসপাতালে ভর্তি করে হাতের ব্যান্ডেজ করানো হয়। এর পরে সকাল বেলায় মানিক মিয়াকে গাড়িতে করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মানিক মিয়া টাকা রেখেছিলেন গাড়ির এক গোপন জায়গায়। মানিক মিয়া আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেলো। আমি দেখতে গিয়ে ছিলাম খুব খারাপ অবস্থা ছিলো। তবে মানিক মিয়ার উচিত হয়নি এত বড় রিস্ক নেওয়া। কারন হচ্ছে টাকা খুব খারাপ জিনিস। যাদের মালামাল টাকা লেনদেন ওরা করবে। ওদের টাকা রক্ষা করতে গিয়ে তো নিজের জীবন চলে গেলে পরিবারের জন্য খুব খারাপ। মানিক মিয়ার একটি ছোট ছেলে বাচ্চা এবং পরিবার রয়েছে। বিষয়টি জানার পর আমার কাছে ভীষণ খারাপ লেগেছে। আশাকরি আপনাদের সবার কাছেও খারাপ লেগেছে। দোয়া করবেন মানিক মিয়া এবং তার পরিবারের জন্য। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আমি আমর মতো করে ঘটনাটি তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
ডিভাইস | realme 9 |
বিষয় | মানিক মিয়া ডাকাতের কবলে। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @limon88 |
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টিমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমি এখন বর্তমানে জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকা উত্তরায় থাকি। আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছি এবং পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করে আসছি। আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার তিন বছর। এখন আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আমি সত্যিই গর্বিত আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকতে পেরে। স্টিমিট আর আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে, তাই যতদিন স্টিমিট রয়েছে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথেই থাকবো। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো। আল্লাহ হাফেজ 💞
https://x.com/HouqeLimon/status/1823731820254593334?t=Zn_0-phv1SXS5aOKQFoOFQ&s=19
আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তবে মানিক মিয়ার পরিবারের কথা চিন্তা করা দরকার ছিল। মানিক মিয়ার একটি ছোট ছেলে ছিল, প্রায় ছয় লক্ষ টাকার মালামাল পৌঁছে দেওয়ার পর হয়তো তার আত্মীয় এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যাইহোক ড্রাইভার মানিক মিয়া আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছেন। এ ধরনের ডাকাত বর্তমানে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। তাই আমাদের সাবধানে থাকা উচিত।
আমারও এটাই মনে হয় ভাই, মানিক মিয়ার এত বড় রিস্ক নেওয়া উচিত হয়নি, যেহেতু উনার পরিবার রয়েছে। আসলে যে ডাকাতরা আক্রমণ করেছিল তারা জেনে শুনে এসেছিল। সুতরাং স্বীকার করলে হয়তো তাকে এরকম আর কোপ খেতে হতো না। তবে পোস্ট পড়ে এতোটুকু বুঝতে পারলাম যে, লোকটা খুবই সৎ ছিল।