নাটক রিভিউ:- রোমান্টিক নাটক মনের মানুষ।

রোমান্টিক নাটক মনের মানুষ।

নাটক প্রেমিকদের কে স্বাগতম "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

_{"ছবিটি ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া"}

শুভ সকাল 🌅

আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম ❣️ হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলকেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।

নাটকটির সংক্ষিপ্ত তথ্য:-

নাটক:-	মনের মানুষ।
রচনা ও পরিচালনা:-	হাসিব হোসেন রাখী প্রধান।
সহকারী পরিচালক:-	শাহেদ হাসান ইমো।
অভিনয়ে:-	তৌসিফ মাহমুদ, কেয়া পায়েল আর ও অনেকেই।
ভাষা:	বাংলা।
দেশ:-	বাংলাদেশ।
প্রযোজনা:-	সিনেমাওয়ালা।
ধরন:-	সামাজিক ও শিক্ষা মূলক।
মুক্তিপায়:-	১৫-১০-২০২৩।
দৈর্ঘ্য:-	৫৭ মিনিট।

নাটকটির সংক্ষিপ্ত কাহিনী:-

নাটকটিতে কেয়া পায়েল এবং তৌসিফ এর বাবা হচ্ছেন বন্ধু। কেয়া পায়েল এবং তৌসিফ হচ্ছে দুজনেই বেস্ট ফ্রেন্ড। তবে আবার কেয়া পায়েল তৌফিকে মনে মনে ভীষণ ভালোবাসে। যদিও সেটা এখনো তৌসিফ বুঝতে পারেনি। তৌফিক রাস্তা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে আসতেছে হঠাৎ করে কেয়া পায়েল গিয়ে সাইকেল এর সামনে দাড়ায়। আর বলে তৌসিফ কে সাইকেল চালানো শেখার জন্য। এর পরে তারা একটি মাঠে যায়। বেশ কিছুক্ষণ সাইকেল চালানোর পরে এবার তৌসিফ কেয়া পায়েল কে ছেড়ে দেয়। এবার তো কেয়া পায়েল সাইকেল সহ পরে গিয়ে ব্যাথা পায়। এর পরে তৌসিফ চলে যায় এবং কেয়া পায়েল বাসায় চলে আসে।

এর পরে কয়েকদিন পর। কেয়া পায়েল সবাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যায় এবং বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা দেখে। পরের দিন তার বাবার সাথে শিক্ষক এর দেখা হয়। এবং বলে কেয়া পায়েল স্কুলে টাকা জমা দেয়নি। এর পরে কেয়া পায়েল এর বাবা বাসায় এসে টাকার কথা বললে। কেয়া পায়েল বানিয়ে একটা গল্প বলে। বলে যে তৌসিফ এর বাবা অসুস্থ ছিলো এজন্য সে কান্না করছিলো। তাকে আমি টাকা দিয়েছি। এসব কথা শুনে তো কেয়া পায়েল এর বাবা খুশি হয়। এর পরে তার বাবা তার মাকে বলে পরের দিন তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখে আসতে। এবার তো তৌসিফ এর বাসায় গিয়ে কেয়া পায়েল এর মা দেখে তার বাবা সুস্থ। এসব কথা তৌসিফ এর বাবা জানতে পারে। তিনি ভাবেন আমার কথা আমার ছেলে বলে বেরিয়েছে। এর পরে তৌসিফ কে তার বাবা ভীষণ মারে।

তার পরে কিছুদিন পর আবারো তৌসিফ আর কেয়া পায়েল এর মিল হয়। আসলে কেয়া পায়েল একটু দুষ্টুমি করতে পছন্দ করে। সে বিভিন্ন ভাবে দুষ্টামি করে বেরার। এর পরে হঠাৎ করে কেয়া পায়েল এর বাসায় তার ফুফু তার ছেলে কে নিয়ে আসে। এবং তার জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেন। বাসার সবাই বিয়ের জন্য যদিও রাজি হচ্ছিল না। তবে সবাই রাজি হয়ে গেলো। এর পরে কেয়া পায়েল তার মায়ের কাছ থেকে জানতে পারে তার বিয়ের কথা। এবার তো কেয়া পায়েল তৌসিফ এর কাছে ছুটে যায়। এর পরে ভালোবাসার কথা খুলে বলে এবং তৌসিফ কে বিয়ে করতে চায়। তৌসিফ দুষ্টামি ভেবে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না।

কেয়া পায়েল তৌসিফ কে বিভিন্ন ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে। তবুও তৌসিফ বুঝতে চায় না। এর পরে কেয়া পায়েল তৌসিফ কে বলে আমি এখানে থেকে গেলে আর কিন্তু আমাকে পাবে না। তখন কিন্তু আমার থেকে তুমি বেশি কষ্ট পাবে। একথা বলে কেয়া পায়েল চলে যায়। কয়েকদিন পরে কেয়া পায়েল এর বিয়ে। এবার তো তৌসিফ আস্তে আস্তে বুঝতে পারে যে সে ও কেয়া পায়েল কে ভীষণ ভালোবাসে। এর পরে কেয়া পায়েল এর বিয়ে হয়ে যায়। আর এদিকে তৌসিফ দেশের বাইরে চলে যায়। নাটকটি এখানেই পরিচালক শেষ করেন।

ব্যাক্তিগত মতামত:-

সত্যি বলতে আমি সব সময়ই মনে করি ভালোবাসা গুলো অদ্ভুত। এই নাটকটির গল্প আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। তবে নাটকটির শেষের দিকে খুব খারাপ লাগলো। কেয়া পায়েল তৌসিফ কে ভীষণ ভালোবাসতো। তবে তৌসিফ এর একটু বুঝতে দেরি হয়ে গেছে। না হলে দুজনের মিল হলে ও হতে পারতো। আসলে প্রিয়জন হারানোর ব্যাথা হচ্ছে সব থেকে বড় ব্যাথা যা কখনো ভুলার মতো না। চেষ্টা করেছি নিজের মতো করে নাটকটি কে সাজিয়ে রিভিউ করার জন্য। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। অবশ্যই চাইলে নাটকটি দেখতে পারেন। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।

ব্যাক্তিগত রেটিং:- ১০%/৯.৫%