নাটক রিভিউ:)- আগন্তুক।

নাটক রিভিউ:)- আগন্তুক।

নাটক প্রেমিকদের কে স্বাগতম "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

_{"ছবিটি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া"}

শুভ সকাল 🌅

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলকেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। নাটক রিভিউ:)- আগন্তুক। ফ্রি সময় নাটক দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আশাকরি আপনাদের সবার নাটকটি ভালো লাগবে চলুন শুরু করা যাক।

নাটকটির কিছু তথ্য:-

নাটক	আগন্তুক।
গল্প ও পরিচালনা:	মাহমুদুর রহমান হিমি।
অভিনয়ে:	ফারহান আহমেদ জোভান, কেয়া লায়েল, মনিরা আক্তার আর ও অনেকেই।
প্রচার নকশা:	নাহিদ ইসলাম।
ডিজিটাল ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা:	সফিকুল আলম (আরিফ)
নির্বাহী প্রযোজক:	সিরাজুল ইসলাম রুবেল।
প্রযোজক:	এমডি কামরুজ্জামান।
প্রযোজনা:	কেএস ফিল্মস।
প্রোডাকশন:	কেএস এন্টারটেইনমেন্ট ।
ধরন:	সামাজিক ও শিক্ষা মূলক।
দৈর্ঘ্য:	৪৫ মিনিট।

নাটকটির সংক্ষিপ্ত কাহিনী:-

নাটকটিতে চাকরির সুবাদে জোভান ঢাকা শহরে থাকে। আর কেয়া পায়েল থাকে গ্রামে।‌ জোভানের প্রথম এবং শেষ মেয়ে বন্ধু। আজকে ঢাকায় আসতেছে। জোভান রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। তখন একটি ছোট মেয়ে ফুল বিক্রি করে। জোভান কে মেয়েটি জোড় করে একটি ফুল দেয়। এবং মেয়েটিকে টাকা দিয়ে জোভান খুশি করেন। এর পরে কেয়া পায়েল আসে। কেয়া পায়েল কে দেখে তো জোভান মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। এর পরে তাদের মধ্যে কথা হয়।

এর পরে তারা বাসায় চলে আসলো। কিছুক্ষণ পর বাসার বাড়িওয়ালা ভদ্রমহিলা হাজির। যদিও প্রথমের দিকে কেয়া পায়েল কে থাকতে দিতে চায়নি। তবে কেয়া পায়েল বিষয়টিকে অনেক সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলে। এর পরে কেয়া পায়েল কে থাকতে দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়। এর পরে বিকেল বেলায় সবাই মিলে বেশ জমিয়ে আডডা দেয়। এর পরে থেকে জোভান এবং কেয়া পায়েল পাশাপাশি থাকতে শুরু করে।

এর কয়েক দিন পর। হঠাৎ করে জোভান একটা ফার্মেসী তে যায়। তখন দেখতে পারে কেয়া পায়েল একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলতেছেন। তার পেটের সন্তান নষ্ট করার জন্য। এর পরে ডাক্তার বলে গার্জিয়ান নিয়ে আসতে। আর এদিকে তো জোভান সব শুনে ফেলে। এর পরে কেয়া পায়েল জোভান কে সব বলে যদিও জোভান ভীষণ রাগ হয়েছিল তাকে বলে নি দেখে। কেয়া পায়েল একটি ছেলের সাথে প্রেম করতো। এর পরে ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে বলে ধোঁকা দেয়। এর পরে জোভান কেয়া পায়েল এর সব দেখা শোনা করে।

কিছুদিন পর বাসার সবাই মিলে কেয়া পায়েল কে খুশি করার জন্য কেক আনে। এবং সবাই মিলে ভীষণ মজা করে। এর কিছুদিন পর আবার কেয়া পায়েল অসুস্থ হয়ে পরে। তখন সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলে কেয়া পায়েল কে অপারেশন করতে হবে। এর পরে অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর পরে কেয়া পায়েল কে অপারেশন করানো হয়। এবং কেয়া পায়েল এর বাচ্চা সন্তান হয়। এর পরে তো সবাই খুশি। এর পরে কেয়া পায়েল এর ক্যাবিন এর পাশে জোভান বসে থাকে। তখন একটা ফর্ম পূরণ করতে জোভান কে বলে হয়। জোভান সব কিছু পূরণ করে। পরে দেখতে পারে বাচ্চার বাবার নাম নেই। এর পরে কেয়া পায়েল নিয়ে জোভান এর নাম লিখে দেয়। এর পরে জোভান দেখতে পায় তার নাম। জোভান তো ভীষণ খুশি হয়। এর পরে কেয়া পায়েল কে জোভান আরো বেশি আদর করতে শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পর জোভান এবং কেয়া পায়েল তাদের বাচ্চা কে নিয়ে চলে আসে। আর এখানেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।

ব্যাক্তিগত মতামত:-

আগন্তুক নাটকটি ছিলো একটি ভিন্ন রকম গল্প। ভিন্ন রকম গল্পের নাটক গুলো দেখতে একটু বেশি ভালো লাগে। নাটকটির মধ্যে একটি ছেলে মেয়েটিকে ভীষণ ভাবে ভালোবাসতো। আর এদিকে মেয়েটি একটি ভুল ছেলের প্রেমে পরে যায়। এবং তার জীবনের সব কিছুই হারিয়ে ফেলে। এর পরে মেয়েটি তার বন্ধু সেই ছেলেটির কাছে আসে। এবং একসময় সব কিছু খুলে বলেন। এর পরে ও তাকে ছেলেটা মেনে হয়। কারন ছেলেটা মেয়েটাকে ভীষণ ভাবে ভালোবাসতো। নাটকটি কে আমি আমার মতো করে গুছিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আপনারা যারা নাটক প্রেমিক রয়েছেন। অবশ্যই নাটকটি দেখবেন আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি। আল্লাহ হাফেজ 💞

ব্যাক্তিগত রেটিং:-১০%৯.৫%