শৈশবের বেয়ারিং গাড়ি চালানোর মধুর স্মৃতি।
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
|---|
 |
|---|
শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশাকরি আপনারা সকলকেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। শৈশবের বেয়ারিং গাড়ি চালানোর মধুর স্মৃতি। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।
আপনারা টাইটেল দেখেই আশাকরি বুঝতে পারছেন কি নিয়ে লিখতে চলেছি। শৈশবের স্মৃতি গুলো কোন কোন ভাবেই মনে পড়ে যায়। আজকে আমার শৈশবের বেয়ারিং গাড়ি চালানোর মধুর স্মৃতি গুলো মনে পড়েছে তাই তো ভাবলাম আপনাদের সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেই। আপনাদের সাথে শেয়ার করলে ভীষণ ভালো লাগে। বেয়ারিং গাড়ি কথাটি শুনলেই মনে পড়ে যায় সেই ছোটবেলায় কথা। রিকশা বা ভ্যানের পুরানো বেয়ারিং দিয়ে ছোটবেলায় আমরা কাঠ দিয়ে তিন চাকার বেয়ারিং গাড়ি বানাতাম।
গ্রামের ঐতিহ্যবাহী খেলা হচ্ছে বেয়ারিং গাড়ি খেলা। যদিও এখন কালের বিবর্তনে সব কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। বেয়ারিং গাড়িতে উঠার জন্য আমরা বন্ধুরা মিলে লম্বা সিরিয়াল ধরে থাকতাম। আর মনের মধ্যে কেমন খুব আনন্দ হতো এই তো আর কিছুক্ষণ পরে আমি বেয়ারিং গাড়িতে উঠবো। বেয়ারিং গাড়িতে উঠার জন্য সকলে মিলে প্রতিযোগিতাও তৈরি হতো। এমনও হতো যে বেয়ারিং গাড়িতে উঠার জন্য আমাদের মধ্যে মারামারি ও হতো।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলো এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় সব হারিয়ে যাচ্ছে। এমন কি মানুষ ভুলে যাচ্ছেন অনেক খেলার নাম। বেয়ারিং গাড়ি খেলাটি আমার খুব ফেভারিট একটি খেলা ছিলো। আমরা সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেয়ারিং গাড়ি চালিয়েছি। এমন কি রাতের অন্ধকারে ও বেয়ারিং গাড়ি চালিয়েছি। বেয়ারিং গাড়ি চালানোর জন্য মায়ের হাতে বেশ কয়েকবার মাইর খেয়েছিলাম।
দুরন্ত শৈশব কেটেছে আমাদের। গ্রামের বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলা করতে আমার ভীষণ ভালো লাগতো। তবে বর্তমানে সময়ে শিশুরা অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমন কি তারা এসব খেলার নাম জানে না। তবে আমাদের শৈশবের স্মৃতি গুলো ছিলো মধুর। সত্যি যখন মনে পড়ে শৈশবের স্মৃতি গুলো তখন মনে মনে ভাবি ইশ্ যদি ফিরে পেতাম আবারো শৈশব। কত না আনন্দ হতো।
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। শৈশবের বেয়ারিং গাড়ি চালানোর মধুর স্মৃতি। আশাকরি আমার পোস্ট পরে আপনাদের শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে পড়বে। আশাকরি আপনাদের সবার পোস্ট ভিজিট করে ভালো লেগেছে। কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আশাকরি আপনারা সকলকেই পাশে থাকবেন ইনশাআল্লাহ। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
| বিভাগ | জেনারেল রাইটিং। |
|---|---|
| ডিভাইজ | realme 9 |
| বিষয় | শৈশবের বেয়ারিং গাড়ি চালানোর মধুর স্মৃতি। |
| লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
| রাইটিং | @limon88 |
আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য
💞 ধন্যবাদ 💞
💞 ধন্যবাদ 💞
 |
|---|
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টীমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো।
[("অন্যকে সাহায্য করুন তার স্বপ্ন ছুঁতে দেখবেন আপনি আপনার স্বপ্ন এর কত কাছে চলে গেছেন")]
https://steemitwallet.com/~witnesses VOTE @bangla.witness as witness OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/HouqeLimon/status/1682618833658576896?t=ZmfpAJiQoctXjXrfyX4-PA&s=19
কি একটা স্মৃতি বিজড়িত পোস্ট করলেন ভাই।
আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
আমিও ছোটবেলায় এরকম আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে একটা বেয়ারিং এর গাড়ি বানিয়েছিলাম এবং স্কুল টাইমের পড়ে প্রতিদিনই চালাইতাম।
আহা ফেলে আসা সেই দিনগুলো এখনো মনের মধ্যে নাড়া দেয় ইচ্ছে করে আবার যদি যেতে পারতাম ফেলে আসা আমার সেই শৈশবে।
চমৎকার বলেছেন ভাইয়া বেয়ারিং গাড়ি চালানোর মজাই ছিলো আলাদা। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আমি ছোটবেলায় এরকম আমাদের গ্রামের ছেলেদেরকে দেখতাম বেয়ারিং গাড়িগুলো চালাতে রাস্তার উপর। আপনার তো দেখছি অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই বিয়ারিং গাড়িগুলো নিয়ে। আসলে এরকম স্মৃতিময় মুহূর্ত মনে পড়লে ইচ্ছে করে আবারও শৈশবে ফিরে যেতে। এখনতো এরকম খেলার ঐতিহ্য একেবারেই নেই। খুবই কম দেখা যায় এই ধরনের খেলা। আপনার স্মৃতিময় পোস্ট টি পড়ে ভালো লাগলো।
জি আপু এধরনের খেলা এখন দেখা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে।
শৈশবে বেয়ারিং চালিয়ে ভাই কত পড়েছি এবং অনেক সময় পায়ের চামড়া পর্যন্ত উঠে গিয়েছে। সে সময় গুলো অনেক মজারও ছিল। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনাই করি।
😭😭ভাই আমাকে আপু বানিয়ে দিলেন।🤣😭😭😭
আপু হলে সমস্যা কি ভাই । আপু হচ্ছে সব থেকে আদরের ডাক তাই হয়তো আপনাকে আপু বলে ফেলেছে ভাইয়া।
হাহাহাহ।।।তাই নাকি🤣🤣
আপনার শৈশবের স্মৃতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। যদিও আমরা গ্রাম অঞ্চলে এরকম দেখতাম। তবে নিজেরা কখনো এরকম খেলা খেলিনি।ধন্যবাদ ভাইয়া সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন শৈশবের বেয়ারিং গাড়ি চালানোর মধুর স্মৃতি। আসলে ভাই আমিও ছোটবেলায় বেয়ারিং গাড়ি বানিয়েছিলাম আসলে সেই গাড়িতে চড়ে আবার স্কুলে যেতাম এই স্মৃতি আমার কাছেও বেশ মধুর। আপনার পোস্টে পড়ে সত্যিই ছোটবেলার স্মৃতির কথা আমারও মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একদম ছোটবেলার সেই স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ভাই। আমরা দুই ভাই মিলে এই কাজটা খুব বেশি করতাম। বিয়ারিং পেলে গাড়ি বানিয়ে ছাড়তাম। একদম প্রথমকালে স্মৃতি মনে হলে যেন আনন্দ লাগে। কারণ তখন আমাদের রাস্তা পাকা ছিল না ধুলার মধ্যেই চালাতাম।