জেনারেল রাইটিং:)- বেশি বাড়লে যা হয়।
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
শুভ সন্ধ্যা 💞
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের আয়োজন শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো জেনারেল রাইটিং:)- বেশি বাড়লে যা হয়। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
আজকে আমি বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করতে চলেছি। বর্তমান সময়ে নেশাগ্রস্ত এবং জুয়ারিদের বেশি দেখা যাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভদ্র পরিবারের ছেলেদের দেখা যাচ্ছে। আসলে এরা সঙ্গ দোষে দিনের পর দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা শহরের ছেলেদের পরিবারের লোকজন এত খেয়াল রাখে না। এ ক্ষেত্রে তারা যা মন চায় তাই করে বেড়ায়। কারন হচ্ছে তারা অনেক বেশি স্বাধীনতা পেয়ে মাথায় উঠে বসেছে। এইতো দুইদিন আগে একটি ঘটনা আমার চোখে পড়লো। একটি ছেলে তার বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলায় বাজি ধরে বেশ কিছু টাকা হেরে যায়। এর পরে তো তার আবার খেলতে ইচ্ছে করে। আসলে যারা এসব বাজি খেলে তারা না খেলতে পারলে মাথা ঠিক থাকে না।
এর পরে ছেলেটি বাসায় এসে তার মায়ের কাছে টাকা চায়। এর পরে তার মা টাকা দিতে চায় না। সেক্ষেত্রে এক কথায় দুই কথায় মা ছেলের সাথে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। আশে পাশের লোকজন বিষয়টি খেয়াল করে। ছেলেটি মাঝে মধ্যে নেশাও করে। হঠাৎ করে ছেলেটি তার মায়ের গায়ে হাত তুলতে যায়। এর পরে পাশে থাকা লোকজন ছেলেটাকে আটকায়। এবার তার মায়ের হাতে ফোন ছিলো সেটা ছুড়ে মারে ভেঙ্গে ফেলে। কোন ভাবে যেনো ছেলেটাকে আটকাতে পারে না। তখন একজন বেশ কিছু ছেলেকে ফোন দেয়। এর পরে কিছুক্ষণ এর মধ্যে প্রায় পঞ্চাশটি বাইক নিয়ে অনেক ছেলে আসে।
বিষয় গুলো ছেলে গুলো শুনতে পায়। এর পরে ছেলেটির মাকে বাকি ছেলে গুলো সবাই সম্মান করে। যখন তার ছেলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করা শুরু করে দিলো। এর পরে সব গুলো ছেলে মিলে ছেলেটিকে বোঝানোর চেষ্টা করলো। ছেলেটি উল্টো পাল্টা কথা বলা শুরু করে দিলো। এবার তো বাকি ছেলে গুলো ভীষণ রেগে যায়। এর পরে এক কথায় দুই কথায় ছেলেটিকে ভীষণ মারধর করে। ছেলেটির মা ভীষণ কষ্ট পেয়েছে তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো। আমার মনে হয় যে মারধর করেছে প্রায় এক সপ্তাহ ঠিক ভাবে হাঁটতে ও পারবে না। দেখা যাক মার খেয়ে ছেলেটা ভালো হয় কি-না। আমার যনে হয় এসব ছেলেরা এত সহজে ভালো হবে না।
এর পরে ছেলে গুলো চলে যায়। আর এদিকে ছেলে টিও তার মায়ের সাথে রাগ করে বাসায় থেকে চলে যায়। আসলে বেশি বাড়লে যা হয় আরকি। আমার কাছে ঘটনাটি ভীষণ খারাপ লেগেছে। এধরনের ঘটনা গুলো প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর সকল মা ভালো থাকুক এই কামনাই করি। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আমি আমার মতো করে ঘটনাটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনাদের মতামত এর অপেক্ষায় রইলাম। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
ডিভাইস | realme 9 |
বিষয় | বেশি বাড়লে যা হয়। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @limon88 |
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টিমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমি এখন বর্তমানে জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকা উত্তরায় থাকি। আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছি এবং পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করে আসছি। আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার তিন বছর। এখন আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আমি সত্যিই গর্বিত আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকতে পেরে। স্টিমিট আর আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে, তাই যতদিন স্টিমিট রয়েছে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথেই থাকবো। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো। আল্লাহ হাফেজ 💞
https://x.com/HouqeLimon/status/1843657055326089242?t=Ng02zkDqiMO3kwqB50kjng&s=19
আসলে ছোটবেলায় যদি শিক্ষা দেওয়া হতো শাসন করা হতো সে ভাবে মানুষ করা হতো তাহলে এমন অভদ্র খারাপ হতো না। ঘরের টাকা বাইরে নিয়ে খেলাধুলা করে নষ্ট করে আবার মায়ের সাথে খারাপ আচরণ মারধোর এগুলো কখনোই করব না। এগুলো পারিবারিক নৈতিক শিক্ষার অভাবের ফল। যত দিন যাচ্ছে পরিবারের নৈতিক শিক্ষা হারিয়ে যাচ্ছে।
একদমই ঠিক বলেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
এধরনের সমস্যাগুলো দিন বেড়েই চলেছে কারন হলো সামাজিক অবক্ষয়। আর এখনকার সময়ে আমরা বাচ্চাদের ঠিকমতো মানুষ করতে পারছিনা, বিভিন্ন কারণে। আর মোবাইলের অতি সহজলভ্যতা আরো বেপরোয়া করে তুলেছে তরুণ সমাজকে। যাইহোক ছেলেটির মায়ের জন্য খারাপ লাগলো।
একদমই ঠিক বলেছেন নৈতিক শিক্ষা প্রয়োজন ধন্যবাদ আপনাকে।
এমন বেয়াদব ছেলে ঘরে ঘরে দেখা যাচ্ছে ভাই। অতিরিক্ত স্বাধীনতা দেওয়ার কারণেই এমনটা হচ্ছে। উঠতি বয়সী ছেলেগুলো আবেগে পড়ে অনেক অনৈতিক কাজের সাথে জড়িয়ে যায়। পারিবারিক শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি,প্রতিটি মা বাবার উচিত ছেলে মেয়েদেরকে এখন চোখে চোখে রাখা। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি।