একটি ভালোবাসার গল্প।
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
![]() |
---|
শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আশাকরি আপনারা সকলকেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। একটি ভালোবাসার গল্প। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।
রোকন আর রিয়া দুজন হচ্ছে চাচাতো ভাই বোন। রোকন এর বয়স হচ্ছে ২২ বছর। আর রিয়ার বয়স হচ্ছে ১৭ বছর ৬মাস। তারা দুজন গ্রামে বেরে উঠে। ছোটবেলায় থেকে দু'জন দু'জনকে ভীষণ পছন্দ করে। খেলাধুলা থেকে শুর করে স্কুলে যাওয়া সব তারা এক সাথে করে। এভাবে চলতে চলতে যখন তারা বড় হয়ে যায়। তাদের মধ্যে একটা অন্য রকম অনুভুতি কাজ করে। হঠাৎ করে একদিন রোকন রিয়াকে তার জমানো ভালোবাসার কথা বলে ফেলে। আর এদিকে রিয়া মনে মনে ভীষণ খুশি। যে রোকন কে আমিও ভীষণ পছন্দ করি। সে আজকে আমাকে তার মনের সব কথা খুলে বলেছে। এভাবে চলতে চলতে তারা চুটিয়ে প্রেম করে প্রায় দুই বছর।
এর পরে আস্তে আস্তে তাদের দুজনের প্রেম ভালোবাসার কথা গ্রামে অনেকই জানতে পারে। তার পরে হঠাৎ একদিন কে জানি রিয়ার বাবার কাছে দু'জনের ভালোবাসার কথা বলে দেন। রিয়ার বাবা ভীষণ রাগি মানুষ। সেদিন তো রিয়াকে ভীষণ মারধোর করেন। আর বলে আমি কোন ভাবেই তোদের ভালোবাসা মেনে নিবো না। এর পরে পরের দিন এসব কথা রিয়া রোকন কে বলে। রোকন মনে মনে ভীষণ কষ্ট পায়। তার চাচা হয়েও তার মেয়ের সাথে এমন করলো। কিছুদিন যাওয়ার পরে তারা দুজন মিলে একটা সিদ্ধান্তে আসলো।
তারা দুজন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে। না হলে রিয়ার বাবা কখনো মেনে নিবে না। কিছুদিন পরে দুজনে মিলে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। আর এদিকে রিয়ার বাবা মানুষদের কথা শুনে রোকনের নামে কেস-মামলা করেন। এর পরে পুলিশ কিছুদিন পরে তাদের দুজনকে খুজে বের করেন। পুলিশ সব কিছু কাগজ দেখে তার পরে দেখে মেয়ের এখনও ১৮ বছর হতে ছয় মাস বাকি। যদিও ছেলেটা সব কিছু ঠিক থাকায় পুলিশ এর কাছে থেকে ছাড়া পায়। তবে রিয়া পুলিশ এর কাছে থেকে ছাড়া পায়না। ছয় মাসের জন্য রিয়াকে থানায় থাকতে হবে।
কিছু না বুঝে রিয়া সেটা মেনে নিলো। আর রোকন কে বললো ভালো ভাবে সাবধানে থাকতে। আর আমি কিছুদিন পরে তোমার কাছে ফিরে আসবো। রিয়া থানায় থাকা সত্ত্বেও তার বাবা একবার ও আসেনি। এখন শুধু রোকন আর রিয়া ছয় মাসের অপেক্ষায় থাকে। এভাবে চলতে চলতে ছয় মাস হয়ে যায়। রিয়া আর রোকন এখন একসাথে আছে। তাদের পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ নেই।
তারা দুজন এখন একটা রুম ভারা করে আছে। এবং দুজনেই চাকরি করে। অনেক সুন্দর ভাবে তারা দুজন সংসার করছেন। তাদের দুজনের ভালোবাসার গল্পটি যখন শুনলাম আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে ও ভালো লেগেছে। একজন মেয়ে কতটুকু ভালোবাসলে একজন ছেলের জন্য থানায় ছয় মাস থাকতে পারে। আসলে ভালোবাসা গুলো অদ্ভুত। একেক জনের ভালোবাসার গল্প একেক রকম। দোয়া করি পৃথিবীর সকল ভালোবাসার মানুষ গুলো তাদের ভালোবাসার মানুষটির কাছে ভালো থাকুক। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
বিভাগ | গল্প। |
---|---|
ডিভাইজ | realme 9 |
বিষয় | একটি ভালোবাসার গল্প। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
রাইটিং | @limon88 |
আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য
💞 ধন্যবাদ 💞
💞 ধন্যবাদ 💞
![]() |
---|
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টীমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো।
[("অন্যকে সাহায্য করুন তার স্বপ্ন ছুঁতে দেখবেন আপনি আপনার স্বপ্ন এর কত কাছে চলে গেছেন")]
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/HouqeLimon/status/1653575929229352960?t=ITQr7ZNdvAN1WxnnXxsaqg&s=19
অল্প বয়সের এই ভালোবাসা গুলো এমনই হয়, প্রথমে না মানলেও পরে একটা অকারেন্স ঘটলে তারপরে দুই পরিবারই মেনে নেয়।। তবে মাঝে অনেক ঝড় ঝাপটা বয়ে যায় পুলিশ কে স তো রয়েছেই।।
তবে গল্পের শেষ অংশটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে এখন দুজন খুব সুখে আছে জানতে পেরে ভালো লাগলো।।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
মিতা, রিয়া ও রোকনের ভালোবাসার মধুর পরিণতি শুনে খুবই ভালো লাগলো। দীর্ঘ ছয় মাস থানায় অতিবাহিত করে অবশেষে তারা দুজনে একসাথে হয়েছে। দুজনে চাকরি করে স্বাবলম্বী হয়েছে। রিয়া ও রোকনের গল্পটি সত্যিই দারুন ছিল। বিশেষ করে রিয়ার ভালোবাসার জোর দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন মিতা আমিও শুনে মুগ্ধ হয়েছিলাম। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছে কিন্তু এ ধরনের ভালবাসার গল্পগুলো বেশ ভালোই লাগে। আমার গল্পপি পড়ে প্রথমে খারাপ লাগলেও পড়ে রিয়া আর রোকনের মিলন দেখে বেশ ভালো লাগলো। যদিও একটি দূর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে তাদের কে ৬ মাস জেল খাটতে হয়। তবুও তো তারা এখন সুখে দিন কাটাচ্ছে।
জি আপু তারা দুজন এখন অনেক ভালো আছে।
রোকন এবং রিয়ার এরকম মিষ্টি ভালোবাসার গল্প শুনে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছেও। তারা দুইজন চাচাতো ভাই বোন ছিল। ছোটবেলা থেকে দুইজন দুইজনকে পছন্দ করতো। রোকন যখন তার ভালোবাসার কথা রিয়াকে বলে তখন রিয়া অনেক খুশি হয়। রিয়া তার ভালোবাসার জন্য ৬ মাস পর্যন্ত থানায় ছিল। ভালোবাসার মাঝে অনেক বাধা আসে যেগুলোকে পেরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। এখন তারা একসাথে আছে জেনে খুশি হলাম। এবং কি তারা দুজন চাকরি করে এটা জেনেও ভালো লাগলো।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
রোকন এবং রিয়া দুজনে চাচাতো ভাই বোন ছিল। তারা ছোটবেলা থেকে একে অপরকে পছন্দ করতেন। যখন বড় হয়েছিল তখন বলেছিল রোকন রিয়াকে তার মনের প্রত্যেকটা কথা। তাদের ভালোবাসা খুবই সুন্দর ছিল এবং তারা বেশ জুটিয়ে প্রেম করেছিল। তাদের কথা গ্রামের কয়েকজন মানুষ জেনে যায় এবং রিয়ার বাবার কানে ও কথাটি যায়। যার কারনে তাকে অনেক মারধর করে। এরপর তারা দুজন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পালিয়ে যাবে। তারা পালিয়ে বিয়ে করেছিল ঠিকই কিন্তু তাদেরকে পুলিশ জেলে নিয়ে গিয়েছিল রিয়ার বাবা মামলা করার কারণে। রোকনের বয়স ঠিকঠাক থাকার কারণে তাকে পুলিশ ছেড়ে দেয় কিন্তু রিয়ার বয়স ৬ মাস কম হওয়ার কারণে তাকে ছয় মাসের জন্য পুলিশের কারাগারে রেখেছিল। ছয় মাস পরে তারা দুজন আবার একসাথে হয়েছে এবং সুখে আছে এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগছে। সম্পূর্ণ গল্পটা বেশ ভালো লিখেছেন পড়ে ভালো লাগলো
রোকন এবং রিয়ার প্রেমের গল্পটি পড়ে খুব ভালই লাগলো। যদিও তারা দুইজন চাচাতো ভাই-বোন। যেহেতু দুইজনকে দুইজন ছোটকাল থেকে পছন্দ করত ।এই কারণে রোকন প্রেমের অফার দেওয়ার সাথে সাথে রিয়া রাজি হয়ে গেল। আসলে প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে সবসময় জামিলা হয়। চুরি করে বিয়া করার কারণে তাদেরকে আরো জামিলা পড়তে হয়। রিয়া ছয়মাস জেয়াল খাটলেও তার প্রেমটি সফল হয়েছে শুনে ভালো লাগলো। এবং একসাথে সংসার করতেছে এখন।
আমার মনে হয় ভালো যেমন সবাই বাসতে পারে না, আবার ভালোবাসা সবাই রাখতেও পারে না। দুটোর জন্যই যোগ্যতা প্রয়োজন। আর এই গল্পের নায়ক নায়িকার মত অনেকেই আছেন বাস্তবে যারা ভালোবাসার মানুষটিকে পাশে রাখার জন্য মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লড়াই করে যায়। আর ঈশ্বর এদের পাশে থাকেন সব সময়। খুব ভালো লাগলো লিমন ভাই লেখাটা পড়ে। ভালোবাসার জয় হোক সর্বত্র এটাই চাওয়া।
চমৎকার কিছু কথা বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
রিয়া ও রোকনের ভালেবাসার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি ভালোবাসার মানুষকে যদি পাওয়া যায় তাহলে আর কিছুই লাগে না। রিয়া শুধু তার ভালোবাসার জন্য ছয় মাস জেলে থাকতে রাজি হলো।সত্যি ভালোবাসার জন্য মানুষ সব কিছুই করতে পারে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।