আমার পোষা বিড়াল || ১০% বেনিফিসিয়ারি @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে ভাল এবং সুস্থ আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমার গত কোন একটি পোস্টে আমি ২,১ টি বিড়ালের ছবি শেয়ার করেছিলাম। অনেকেরই ছবিগুলো ভাল লেগেছে বলেছিলেন,তাই আজকে আমার পোষা বিড়াল গুলোর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে এসেছি।
আসলে সেই ছোটবেলা থেকেই বিড়াল আমার খুব ভাল লাগত। কোথাও কোন বিড়াল দেখলেই ধরে আদর করার চেষ্টা করতাম। যদিও এরা ধরা খুব কমই দিত।
বর্তমানে আমার তিনটি বিড়াল আছে। একটি কেই পালতাম আগে। কিন্তু এই গত বছর ও আরো ৩ টি বাচ্চা নিয়ে হাজির হয়েছে। মা বিড়াল টা সবসময় আসে না তবে বাচ্চা ৩ টা সবসময় বাড়িতেই অবস্থান করে। এরা এখন আর বাচ্চা নেই যদিও।
ওর নাম টোটন। ইনি খুবই আরামপ্রিয়।
এটা হচ্ছে টিনু। সারাদিন ঘুমানোই ওর কাজ।
ওর নাম কিটো। সারাদিন খাওয়া আর ঘুরে বেড়ানো ওর খুব পছন্দের।
বিড়ালগুলোকে আমি অনেক ভালবাসি এবং এদের অনেক যত্ন সহকারে দেখাশোনা করি। দেশি বিড়াল হওয়ায় এদের খাওয়াদাওয়ার জন্য বাড়তি খরচ করতে হয় না আমাকে। ওদের প্রতিদিন আমাদের খাওয়া শেষের কিছু অংশ দিয়ে দেই। ভাত,মাছ,মাংস,দুধ প্রায় সমকিছুই খায় ওরা।
একবার পেটের ক্ষুদা মিটে গেলে সারাদিন একসাথে খেলাধুলা করে বেড়ায় এদিক সেদিকে। ৩ জনই সুযোগ পেলে কোলে এসে বসে গর গর করে শব্দ করতে থাকে। বেশ ভালই লাগে আমার শুনতে। আমাকে অনেক্ষণ পর দেখতে পেলে এক দোড়ে চলে আসবে কাছে এবং পা এর সাথে ডলাডলি করবে। এরা বাসায় ইঁদুর আসতে দেয় না। কোন কাজ না থাকলে বিড়াল গুলো কে নিয়ে ছাদে চলে যাই। বেশ ভালই একটা সময় কাটে তখন।
অনেক জায়গায় লেখা দেখেছি বিড়াল পালন করলে মানসিক চাপ কম থাকে। আমারও এদের সাথে সময় কাটালে কোন মানসিক চাপ আর থাকে না। অনেকেই দেখি বলে বিড়াল পুষলে হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কম থাকে। এর সত্যতা ঠিক কতটুকু তা আমার জানা নেই। এদের আমি যদিও তেমন ট্রেনিং দেই নি তাও এরা টয়লেট করতে চাইলে নাহয় বাসার বাইরে নাহয় বাথ্রুমে চলে যাবে। বাসা কখনও নোংরা করে না।
বিড়াল এমনেও পরিস্কার প্রাণী। সবসময় চেটে চেটে শরীর পরিস্কার করতে থাকবে এরা। মাঝে মাঝে গোসল ও করিয়ে দেই।
ওরা দিনের বেশির ভাগ সময়ই ঘুমাতে পছন্দ করে এবং রাতে জেগে থেকে আমাকেও ঘুমাতে দেয় না অনেকসময়। তাই বেশির ভাগ দিনই রাতে ঘরে না রেখে ছাদে থাকার জায়গা আছে ওদের অইখানে রেখে আসি। সকালে ডাক দিতেই চলে আসে। আমার আগেও কয়েকটা বিড়াল কুকুরে মেরে ফেলেছিল দেখে এদের সবসময় চোখে চোখে রাখি। আমার বিড়াল গুলোর সাথে সময় কাটাতে অনেক ভাল লাগে এবং অনেক যত্ন সহকারে আমি এদের দেখাশোনা করি।
আশা করি আমার ছোট্ট বন্ধুগুলোর সাথে পরিচিত হয়ে আপনাদের ভালই লেগেছে। আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে সবার সাথে। সবাই সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন।
ডিভাইস | স্যামসাং এ৭০ |
---|
সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।
আবারো একবার টোটন এবং টিনু কে দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার তোলা ছবি এবং আপনার লেখা অনেক সুন্দর হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
বিড়াল আমারো অনেক পছন্দের একটি প্রাণী। আমি নিজেও বিড়াল পুসি এবং তাদের সাথে মজার সময় কাটায়। আপনার বিড়াল নিয়ে লেখা পোস্ট খুব ভাল লাগলো।শুভ কামনা।
ধন্যবাদ আপনাকে মতামত করার জন্য। তবে বানান এর দিকে আরেকটু লক্ষ্য রাখলে ভাল হবে ভাইয়া।
আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। টাইপ মিস্টেক এর জন্য।
সমস্যা নেই ভাই। আমার নিজেরও হয় অনেক সময়।
বিড়াল গুলো দেখতে অনো সুন্দর তার সাথে সুন্দর নাম দিয়েছেন।ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।
বিড়ালের মধ্যে কিউট বিড়াল এটা।ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর হয়েছে।তার গল্পটা বেশ মজার।
খুব সুন্দর হয়েছে ছবিটা।মোমেন্ট টা খুব দারুন ছিল।ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী সেটা আপনার বিড়াল খুব ভালো জানে তাই সে এত ঘুমায়😍।
শুভ কামনা রইলো সুন্দর হয়েছে আপনার পোস্টটি।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই মতামত করার জন্য। শুভকামনা আপনার জন্য।
বাহ,আপনার দেখছি বিড়াল পোষার খুবই শখ।আপনার পোষা বিড়ালগুলি খুব সুন্দর এবং নামগুলো ও ভারী মিষ্টি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিড়ালের সাথে সাথে এর নামগুলোও অসাধারণ।আর তার সাথে ফটোগ্রাফি তো আছেই।শুভকামনা রইলো ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।