ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি ||১০% বেনিফিসিয়ারি @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। কেমন আছেন সকলে? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন সবাই। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি সেয়ার করতে যাচ্ছি। যদিও রেসিপি টি অনেক কমন আর প্রায় সকলেই জানেন। তবুও সেয়ার করলাম। রেসিপি টি হচ্ছে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানানোর।
অনেকেই বিভিন্ন ভাবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করে থাকেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় আলু বাইরে দিয়ে ভাল মুচমুচে এবং ভেতর টা ভাল সফট হয় না। কিন্তু এই পদ্ধতিতে ট্রাই করে আমি ভালই ফলাফল পেয়েছি তাই সেটি আপনাদের সাথে সেয়ার করছি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আলু | বড় সাইজের ৩ টি |
পানি | ঠান্ডা ও গরম উভয়ই পরিমাণমত |
তেল | পরিমাণমত |
লবণ | ১ চা চামচ |
প্রস্তুতপ্রণালী
প্রথমে ৩ টি বড় সাইজের আলু নিয়েছি। কারণ আলু বড় হলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর আকার টাও ভাল হয়। আলুগুলো ভাল করে ধুয়ে একটি প্লেটে নিয়েছি।
আলুগুলো ছুলে নিয়ে আবারো ভাল করে ধুয়ে নিয়েছি। এবার লম্বাটে সাইজ করে কেটে নিতে হবে। একটি বাটিতে ঠান্ডা পানি প্রস্তুত রেখে দিয়েছি আগের থেকেই।
এবার আলু গুলো আরো কয়েকবার ভাল করে ধুয়ে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে প্রায় ১৫ মিনিট। এতে করে আলু তে থাকা বাড়তি স্ট্রাচ বের হয়ে যাবে।
ঠিক ১৫ মিনিট পরে আলুগুলো ঠান্ডা পানি থেকে বের করে রাখি।
এখন একটি কড়ই এ পানি ঢেলে চুলা জালিয়ে দেই পানি গরম হওয়া পর্যন্ত। পানিতে ঠিক ১ চা চামচ লবণ দিয়ে সামান্য নাড়িয়ে নেই।এখন আলুগুলো কে প্রায় ৮০% করতে হবে ৩ থেকে ৪ মিনিট ধরে। খেয়াল রাখতে হবে যেন এর চেয়ে বেশি সিদ্ধ না হয়ে যায় তাহলে আলু গুলো ভেংগে যাবে এবং ফ্রাই খুব একটা ভাল হবে না। ৩ মিনিট সিদ্ধ করার পর পানি ভাল করে ছাড়িয়ে নিব একটি কিচেন টাওয়াল বা টিস্যুর সাহায্যে।
এখন গরম তেলে ছেড়ে আলু গুলো ভেজে নিতে হবে ৩ মিনিট এর মত।
৩ মিনিট ভাজার পর অতিরিক্ত তেল মুছে নিয়ে একটি বক্সে বা যিপলক ব্যাগে ভরে ফ্রোজেন করার জন্যে ফ্রীজে রেখে দিতে হবে অন্তত্য ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা। এভাবে ফ্রোজেন করে রেখে দিয়ে খাওয়া যাবে প্রায় ২,৩ মাস।
ঠিক এক ঘন্টা পরে আলু গুলো গরম তেলে দিয়ে দিয়ে হবে। তেল আগের থেকে ভাল করে গরম করে নিতে হবে যেন আলু গুলো ঢালার সাথে সাথে তেল ঠান্ডা হয়ে না যায়। হালকা লাল হয়ে না আশা পর্যন্ত ভাজতে হবে।
ঠিকমত হয়ে গেলে অতিরিক্ত তেল ছাড়িয়ে নিয়ে একটি প্লেটে নিতে হবে। উপর দিয়ে সামান্য বিট লবণ ছিটিয়ে দিলেও মন্দ হয় না। এখন সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করার পালা।
ডিভাইস | স্যমসাং এ৭০ |
---|
আশা করি আপনাদের রেসিপিটি পছন্দ হয়েছে। ফ্রাই গুলো কিন্তু বাইরে যেমন মুচমুচে, ভেতরে তেমনই সফট হয়েছিল। নিজেরাও বাড়িতে ট্রাই করে দেখতে পারেন। সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।
সবাই সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। শীঘ্রই আবার দেখা হবে।
ধন্যবাদ
@labib2000
আপনার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি টা খুবই ভালো হয়েছে।আমি এভাবে ট্রাই করে দেখবো।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ। ট্রাই করে দেইখেন কেমন হয়!!
রেসিপিটি খুবই চমৎকার হয়েছে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
এটি খুবই সুস্বাদু এবং আপনি অতন্ত্র সুন্দরভাবে পরিবেশন করেছেন আমার খুবই ভালো লাগলো
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এটা কিছুটা সহজ এবং সময়ও কম লাগে, কিন্তু সবার প্রিয় বিনাবাক্যে। এখনতো সব শিশুরাও এগুলো পছন্দ করেন। অনেক সুন্দর ফ্রাই করেছেন আপনি।
জি। ছোট, বড় সবারই পছন্দ প্রায়। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
এটি আমার পছন্দের খাবারের মধ্যে একটি। খুব ভালোভাবে রেসিপি টি উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত করার জন্য। শুবেচ্ছা নিবেন।
আমার ছেলে এগুলো ভীষণ পছন্দ করেন, তবে তার সাথে সাথে আমিও টেষ্ট করার সুযোগ নেই। এখনতো এগুলো আমাদের সংস্কৃতিতে ঢুকে গেছে। সহজ বাংলায় আমরা আলু ভাজা বলে থাকি। রেসিপিটি সুন্দর উপস্থাপন করেছেন, এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামত সেয়ার করার জন্য। ঠিক বলেছেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর থেকে আলু ভাজা নামটাই বেশি পরিচিত বেশির ভাগ জায়গায়😁