কিছু স্মৃতি ও কিছু ফটোগ্রাফি || ১০% বেনিফিসিয়ারি @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আমি আজ আপনাদের সাথে আমার আজকের বিকালের কাটানো কিছু মুহুর্ত ও কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব
আজ বিকেলে আসরের সালাতের পরে আমি ও আমার ২ বন্ধু মিলে হাটতে বের হই। আজ হাতে সময় খুব একটা ছিল না বলে ভাবলাম আর বেশি দূর যাব না। অল্প কিছু দূর থেকে কিচ্ছুক্ষণ ঘুরে সন্ধার দিকে বাড়ি চলে আসব। তাই সময় মত বেলা ৫ টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে পড়লাম।
আগে এই জায়গাটিতে সমতল মাঠ ছিল। আমরা বন্ধুরা মিলে প্রায় প্রতিদিনই বিকেলে ক্রিকেট খেলতাম। বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল ও খেলা হত অনেক সময়। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত মাঠে তেমন কারো আনাগোনা নেই। মাঠ টা এখন আর আগের মাঠ নেই। ঘাস গুলো বড় হয়ে গেছে। অনেক ঝোপ ঝাড় তৈরী হয়ে গিয়েছে এখান দিয়ে। তার পরে আজ দেখতে পেলাম মাঠে খুব সুন্দর কাশ ফুল উঠেছে। মাঠের সব জায়গায় বিস্তৃত না তবে প্রায় অনেক জায়গায় এরকম কিছু কিছু কাশ ফুল দেখা দিয়েছে। মৃদু বাতাসের সাথে খুব মনোরম লাগছিল পরিবেশ টি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর বন্ধুদের ফোন করলাম এখানে আসার জন্য। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ওরা ২ জন আসল এবং রাস্তার দিকে রওনা হলাম।
মাঠের এমন অবস্থা দেখে আমরা এই মাঠে অতিবাহিত করা আমাদের পুরাতন কিছু স্মৃতির কথা বলতে বলতে পথ চলতে লাগলাম। আসলে করোনা সব কিছুই ওলোটপালোট করে দিয়েছে।
এলাকা থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলতে চলতে দেখলাম একটি মাঠে কিছু ছেলেরা ফুটবল খেলছে। ওদের খেলার উত্তেজনা দেখে আমাদেরও মন চাইলো যেন মাঠে নেমে যাই। কিছুক্ষণ তাদের খেলা উপভোগ করার পর আবার হাটা ধরলাম।
মাঠটি যথেষ্ঠ বড় হওয়ায় আরেক্তু সামনে দেখলাম অনেকে নদীর তিরে বসে আড্ডা দিচ্ছে। কেও বা গরু,ছাগল চড়াচ্ছে মাঠে। এই মাঠটি আমাদের পল্লী কবি জসীম উদ্দীন এর বাড়ির ঠিক উলটো পাশে। এই জায়গাটি জুড়ে ছোটবেলা থেকেই অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আগে প্রতিবছর জানুয়ারির ১২-১৫ তারিখ থেকে টানা ১ মাস মেলা হত।জসীম পল্লি মেলা। এই মেলা টি ফরিপুরের একটি ঐতিহ্য বলা চলে। বছরের এই সময় টার জন্য খুব অপেক্ষা করতাম। বাড়ির থেকে কাছেই হওয়ায় অনেক আসা যাওয়া হত মেলায়। বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-সজন সবাই একত্রে চলে আসতাম মেলায় এবং খুব আনন্দপূর্ণ সময় কাটাতাম। যা এখন শুধু স্মৃতি মাত্র। অনেক বছর ধরে সেই মেলা আর হয় না।
এখানেই চির নিদ্রায় শায়িত আছেন আমাদের পল্লী কবি জসীম উদ্দীন। তার পারিবারিক কবরস্থান এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ছবিটি তুললাম।
এখানে জসীম উদ্দীন ও উনার পরিবারের অনেকেই শায়িত আছেন।
এই স্থান টির ছবি হয়ত আগেও অনেকে দেখেছেন কয়েকবার। আসলে এই এলাকাতে আসলে এই স্থানে না গিয়ে বাড়ি ফিরি না। রেল ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে ভালই লাগে আমার। তাই এইখানে কিছু সময় অবস্থান করি।
দেখতে দেখতে ট্রেন আসার সময় হয়ে গেল। এত কাছের থেকে ট্রেন দেখতে ভালও লাগে আবার একটু ভয় ও হয়।অবশেষে বেলা শেষ করে বাসার দিকে রওনা হই।
সবাই কে এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আবার আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই সুস্থ এবং নিরাপদে থাকবেন।
ডিভাইস | স্যামসাং এ৭০ |
---|
W3W
সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
@labib2000
অনেক ভালো কটিয়েছো তোমার বিকালটা ।দৃশ্যগুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে।প্রতিটা ছবি খুব সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ তোমাকে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন।আমার কাছে মাঠে খেলার মুহুর্ত এবং কাশ ফুল গুলোর চিত্র অনেক বেশি ভালো লেগেছে।শুভ কামনা আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইল।
আপনার কাশফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। তাই আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ার জন্য।
বিকালবেলা আপনার বন্ধুর সাথে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আপনার সুন্দর মূহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য।
আপনি তাহলে পল্লী কবির এলাকার মানুষ। অনেক সুন্দর ছবি তুলেছে এবং বর্ণনা করেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।