অবশেষে মানসিক শান্তি||১০% বেনিফিসিয়ারী @shy-fox
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা। সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। আমিও মোটামুটি ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আসলে কথায় আছে শারীরিক সুস্থতার চেয়ে মানসিক সুস্থতা থাকা বেশি জরুরি। মানসিক ভাবে চাপ বা দুশ্চিন্তা থাকলে শরীর ভেঙ্গে পরতে বেশি সময় নেয় না। এমনই একটি ঘটনা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
অনেকেই হয়ত জানেন আমার ৩ টি পোষা বিড়াল রয়েছে। আসলে বিড়াল আমার ছোটবেলা থেকেই অনেক পছন্দের একটি প্রাণী। দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে শখের বশত বিড়াল পালন করি আমি। এতদিনের সফরে প্রচুর আঁচড়, খামচির দাগ বা স্মৃতি হয়ত পথের সঙ্গী হয়েছে। তবে আমার কামড় খাওয়ার তেমন কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। প্রায় ৩৫-৪০ দিন আগে আমি নিজের ভুলবশতই হাতে কামড় খেয়ে বসেছিলাম। এরা অবলা প্রাণী হলেও আমি মোমে করি এদেরও সব সময় মন মেজাজ একরকম থাকে না।
সেদিন হয়ত তার মন মেজাজ ভাল ছিল না। তাও জোরজবরদস্তি করে আদর করতে যাওয়ায় হাতে কামড় খেতে হয়। তবে ব্যাপার টা আমি খুব সাধারণ ভাবেই নিয়েছিলাম। কেননা ঘরের বিড়াল, সাথে সাথে হাত ধুয়ে ফেলায় সমস্যা হবার কথা না। তবে ৫-৬ দিন পর হঠাৎ ফেসবুকে স্ক্রল করতে করতে একটা রেবিস সংক্রান্ত ডকুমেন্টারি চোখে পড়ে। তার পর পরই মনে একটা ভয় বা দুশ্চিন্তা ভর করে বসে। কিছু দিন দেরি করে ফেলার ফলে মানসিক চাপে শরীর বেশ খারাপ হয়ে যায় একদিনের মাঝেই। জ্বর, দুর্বলতা, গলা ব্যথা শুরু হয়ে যায় ১ দিন যেতে না যেতেই। মানসিক প্রেসার যে কিভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ শরীর দুর্বল করে তোলে তা বুঝতে পারলাম সেদিন। মনের সন্দেহ দূর করতে ভাবলাম রেবিস শট গুলো নিয়েই ফেলি। একেবারে বাদ দেয়ার চাইতে দেরিতে হলে কোর্স শুরু করলেও খারাপ হয় না। হসপিটাল থেকে জানালো মোট চারটি ডোজ নিতে হবে। সেদিন থেকেই শুরু করে দিলাম টিকার কোর্স।
শেষ ডোজের জন্য সিরিঞ্জ কিনার সময় আজ। দুদিন পর পর এক ডোজ করে ৩ ডোজ কমপ্লিট হবার দীর্ঘ এক মাস পর আজ চতুর্থ এবং সেজে ডোজ নেয়ার পালা।
প্রথম দিন বেশ ভয় করলেও ৩ বার নেয়ার পর এখন খুবই স্বাভাবিক লাগছে।
Location
তবে একটা জিনিস খুব ভাল লাগল সরকারি হাসপাতালে রেবিস এর টিকা বিনামূল্যে দেয়া হয়। কারণ গিয়ে দেখলাম বেশ কয়েকজন ছোট ছোট শিশু কুকুরে কামড় এর শিকার। টিকা গুলো নিজ অর্থে কিনে নিতে হলে হয়ত এদের পক্ষে অনেক কস্টকর হয়ে পড়ত। তবে জলাতঙ্ক নিরোধক টিকা বিনামূল্যে করতে অনেক গরীর এবং অসহায় মানুষ দের সমস্যা বেশ লাঘব হয়েছে।
আসলে হায়াতের মালিক আল্লাহ। তবুও বেঁচে থাকা কিংবা সুস্থতা লাভ করার জন্য উসিলা হিসেবে মানুষ কে চেষ্টা করে যেতে হয়। নিজের জন্য না হলেও বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা মার কথা চিন্তা করে হলেও এতদিন বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে আলহামদুলিল্লাহ আজ মানসিক ভাবে বেশ ভাল লাগছে। কিছুদিন আগে হাঁচি ,ঠান্ডা সেরে ওঠায় শরীর ও বেশ ভাল আছে এখন। এতদিন মনে মনে একটি ভয় বা দুশ্চিন্তা থাকায় শরীর ১০০% সুস্থ লাগে নি একটি বারের জন্যও। কিন্তু আজ মানসিক ভাবে সুস্থ থাকায় দিনটা উপভোগ করছি আবার। তবে একটি জিনিস বুঝতে পেলাম ভাল ভাবেই, শারিরীক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই মানসিক ভাবে প্রশান্তি থাকা জরুরি।
সকালে আবার পরীক্ষা আছে। আজ এখানেই ইতি টানছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং সকলে সুস্থ এবং নিরাপদে থাকবেন। আবার দেখা হবে।
তবুও ভালো লাগছে যে আপনি সচেতন ছিলেন। আসলেই ভাইয়া,মানষিক প্রশান্তি আপনাকে অনেক টায় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মানষিক অশান্তি একটা সুস্থ মানুষকেও অসুস্থ করে ফেলে। সুন্দর অনুভূতির সাথে ফটোগ্রাফিও দারুন ছিলো। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো ভাইয়া আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
আপনার পোস্টটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি আপনার টিকার চারটি কোর্স সম্পন্ন করেছেন ।এখন যেন আপনি মানসিক প্রশান্তির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক ভাবেও সুস্থ থাকেন সেই কামনা করি।পরবর্তীতে সাবধানে থাকবেন,নতুবা আবারও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন। পরীক্ষা মনোযোগ সহকারে দিবেন ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনি খুবই ভালো কাজ করেছেন যে দেরীতে হলেও টিকার ডোজ গুলো কমপ্লিট করেছেন। এতে ইনশাআল্লাহ আপনার আর পরবর্তীতে কোন সমস্যা হবে না। তারপরও আপনি এরপর থেকে বিড়ালের সঙ্গে সাবধানে থাকবেন। একবার কামড় দিয়েছে আবারো কামড় দিতে পারে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে মুল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।