গল্প রিভিউ|| অর্কিড যখন মৃত্যুর হাতছানি দেয়||১০% বেনিফিসিয়ারী @shy-fox

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

হ্যালো বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

রহস্যগল্প মোটামুটি কার না পছন্দ। আর সেটা যদি হয় গোয়েন্দা রহস্য গল্প তাহলে তো কথাই নেই। কিছুদিন আগেই @rme দাদা আমাদের সাথে চমৎকার একটি গোয়েন্দা রহস্য গল্প শেয়ার করেছেন।

photo source pixabay

গল্পের নাম: অর্কিড যখন মৃত্যুর হাতছানি দেয়।
লিখেছেন: @rme দাদা।

১২ পর্বের এই গল্পটি এককথায় অসাধারণ ছিল। প্রতিটি পর্বে ছিল চমৎকার রহস্যে ঘেরা এবং শেষ হতো দারুন উত্তেজনার কিছু মুহূর্ত দিয়ে। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি পর্বই অত্যন্ত আনন্দের সাথে পড়েছি। মোট বারোটি এপিসোডের পরে অবশেষে আমরা রহস্য ভেদ করতে পেরেছি। গল্পটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে আমি দারুন ভাবে উপভোগ করেছি। এবং দাদার দেওয়া কনটেস্ট অনুযায়ী খুনি কিভাবে ধরা পড়েছিল এই তথ্যটি জানার চেষ্টায় আরো তিন চার বার পড়া হয়েছে আমার গল্পটি। গল্পটির কল্পকাহিনী আমি সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

অর্কিড যখন মৃত্যুর হাতছানি দেয়

গল্প টি শুরু হয় সকাল সকাল লালবাজার হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টে একটি ফোন কলের মাধ্যমে। স্থানীয় থানার বড়বাবু একটি রহস্যমৃত্যুর কেস নিয়ে প্রচন্ড হিমশিম খাচ্ছেন কারণ 24 ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরেও তিনি কিভাবে খুন হয়েছে তার কোনো হদিস খুঁজে পাচ্ছিলেন না। মৃত ব্যক্তি ভিআইপি হওয়াতে কেসটা গিয়ে পড়ে ইন্সপেক্টর মিত্রর হাতে। খুন হয়েছেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস বোটানিক্যাল গার্ডেনের সাবেক কিউরেটর ডক্টর প্রফুল্ল কুমার সেন। রহস্যজনক মৃত্যু হওয়াতে মিডিয়ার ভিড় অনেক। ভিড় ঠেলে ফ্ল্যাট এর ভিতর প্রবেশ করলেন ইন্সপেক্টর মিত্র এবং বড়বাবু। ভেতরে ঢুকতেই তারা ফ্ল্যাটের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিলেন যেন তদন্তে কোনো বাধা না আসে। ফ্ল্যাটে শুধু প্রফুল্ল সেন এবং তার ভৃত্য হরিসাধন থাকাতে প্রথম সন্দেহ গিয়ে পড়ে হরিসাধন এর উপর। তাই ইন্সপেক্টর মিত্র তাকে দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। কিউরেটর এর চাকরি থেকে কর্ম বিরতি নিয়ে প্রফুল্ল সেন চলে গিয়েছিলেন ব্রাজিলের সাও পাওলোতে অর্কিড নিয়ে গবেষণা করার জন্য। ৩/৪ বছর পর দেশে ফিরে একটি ফ্ল্যাট কিনে সেখানে উঠে যান তিনি। মোটামুটি ভালই অর্থের মালিকও ছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ চিন্তা করে ইন্সপেক্টর মিত্র হরিসাধন কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলেন মৃত্যুর দিনের সকল ঘটনা নিয়ে। জিজ্ঞাসাবাদের মাঝে বড়বাবু হরিসাধন কে ভয় দেখাতে লাগলেন। তাকে থামিয়ে দিয়ে ইন্সপেক্টর মিত্র আবারও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইন্সপেক্টর মিত্র খুনের তেমন কোনো হদিস পাচ্ছিলেন না।বড়বাবু বললেন তিনি বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছেন কেননা মৃত্যুর পর তার মুখে ফেনা দেখা দিয়েছিল। প্রফুল্ল সেন এর পাশের ফ্ল্যাটে থাকার ডাক্তার সাহেব নিজেই চেক করে পুলিশ খবর করতে বলেছিলেন। একথা শুনে ইন্সপেক্টর মিত্র হরিসাধন এর কাছ থেকে আরও বিস্তারিত জানতে চাইলেন। হরিসাধন ইন্সপেক্টর মৃত্যুর প্রশ্ন অনুযায়ী বিস্তারিত বর্ণনা করতে থাকেন এবং এরই মাঝে বড়বাবু দু-একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে থাকেন। এরই মাঝে বড়বাবু ডক্টর সেন এর খুনের দায় হরিসাধন এর উপর চাপিয়ে দিতে চাওয়াতে হরিসাধন কেঁদে দিলেন। তবে কোন প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে এরেস্ট করতে পারছিলেন না তিনি। বড়বাবুকে থামিয়ে দিয়ে ইন্সপেক্টর মিত্র আবার তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। হরিসাধন বলেন কোন নার্সারি থেকে ডক্টর সেন এর জন্য ফোন কল এসেছিলেন এবং কোন ক্যাটালগ আসে কিনা সে ব্যাপারে তিনি হরিসাধন কে লক্ষ রাখতে বলেছিলেন। বেলা দশটার দিকে ক্যাটালগ টি রিসিভ করে হরিসাধন ডক্টর সেনকে পৌঁছে দিয়ে রান্না ঘরে চলে যান এবং ২০ মিনিটের ভিতরেই দেখতে পান তিনি মারা গিয়েছেন। পাশের ফ্লাটের ডাক্তার সাহেব মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে সিকিউরিটি দিয়ে পুলিশ কল করান। তদন্ত চালিয়ে যেতে থাকেন ইন্সপেক্টর মিত্র। তবে একটি কথা শুনে উনি বেশ অবাক হন। ডাক্তার সাহেবের কথা অনুযায়ী হত্যার এক ঘন্টা পরেই ডক্টর সেন এর রাইগার মর্টিস অথবা পেশী সংকোচন হতে শুরু হয়ে গিয়েছে। এই কথাটি বড়বাবুর পছন্দ হয়নি বলে তিনি এটি ফাইলে উল্লেখ করেননি। কেননা রাইগার মর্টিস শুরু হতে কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা প্রয়োজন। বড়বাবু সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখেছিলেন মৃত্যুর দিন ডক্টর সেন বাইরে কোথাও যায়নি এবং বাইরে থেকেও তার ফ্ল্যাটে কেউ প্রবেশ করেনি একমাত্র হরিসাধন ছাড়া। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইন্সপেক্টর মিত্র খুন হওয়ার রুমটি পরিদর্শন করতে থাকেন। পরিদর্শন শেষে ইন্সপেক্টর মিত্র আবার হরিসাধনের কাছে ফিরে আসেন মৃত্যুর দিনের ঘটনা গুলো একদম খুঁটিনাটি বর্ণনা করতে যেন কোনো তথ্য বাদ পড়ে না যায়। হরিসাধন কিছুক্ষণ চিন্তা করে উত্তর দিতে থাকে। হরিসাধনের থেকে ক্যাটলক সম্পর্কে জানতে পেরে ইন্সপেক্টর মিত্র বড়বাবুকে সেটি বাজেয়াপ্ত করতে বলেন। ক্যাটালগ টির নাম ছিল Carla Porto (কার্লা পোর্তো)। ডক্টর সেনের টেবিলে বাইরে থেকে আসা এই ক্যাটালগ টি সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করেননি ইন্সপেক্টর সেন এবং এটিকে ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে পাঠাতে বলেন। তিনি আন্দাজ করেছিলেন ক্যাটালগ তে পড়তে পড়তেই ডক্টর সেন মৃত্যুবরণ করেছেন তাই ক্যাটালগে কোন গোপন ব্যাপার লুকায়িত থাকতে পারে। তারপর ইন্সপেক্টর মিত্র ডক্টর সেনের মৃত্যুর স্থানে গিয়ে ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে ভালো করে পরীক্ষা করতে থাকেন এবং কিছু একটা পেয়ে দ্রুত সেটি খামে ভরে ফেলেন। এরপর টি-টেবিল পরীক্ষা করে তিনি স্টাডি রুমে যেতে চাইলেন। স্টাডি রুমের টেবিলের ড্রয়ারে ইন্সপেক্টর তিন-তিনটি ডাইরি খুঁজে পান এবং সেগুলো বাজেয়াপ্ত করেন। আবারো তিনি ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে পরীক্ষা করতে থাকেন এবং আবারো কিছু পেয়ে সেটি খামে ভরে ফেলেন। এরপর স্টাডি রুম থেকে বের হয়ে ইন্সপেক্টর ও বড় বাবু অর্কিড দেখতে গেলেন ব্যালকনিতে। অর্কিড গুলো দেখতে পেয়ে তারা রীতিমত অবাক হয়ে যায় ,কারণ এত সুন্দর সুন্দর ফুল তারা এর আগে কখনো দেখেননি। ইন্সপেক্টর মিত্র সবগুলো অর্কিডের অনেক গুলো ছবি তুলে নেন। এরই মাঝে বড়বাবুর রসিকতা করে একটি ফুল নিতে চাইলে ইন্সপেক্টর তাকে বারণ করেন। অবশেষে তিনি সেই খামটি বড়বাবুর হাতে তুলে দিয়ে সেগুলোর ডিএনএ ম্যাচ করাতে বলেন। এরপর ইন্সপেক্টর মিত্র আড়ালে হরিসাধন কে কিছু প্রশ্ন করেন। এরপর ইন্সপেক্টর মিত্র বড়বাবুর থেকে ডক্টর সেনের গত সাত দিনের কল রেকর্ড বের করতে বলেন। দুদিন পর ক্যাটালগের ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে ইন্সপেক্টর মিত্র জানতে পারেন খুবই মারাত্মক একটি বিষ এর মাধ্যমে জনাব প্রফুল্ল সেন কে হত্যা করা হয়েছে। আর বিষ টি হচ্ছে সম্পূর্ণ অজানা। আর এই বিষ এখানে পাওয়া যায় না। এটি পাওয়া যায় সেই সুদূর দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলে। আমাজন জঙ্গলের অধিবাসীরা এই ধরনের বিষ ব্যবহার করে শিকার করে থাকেন। তবে এই বিষ সেটির সাথে সম্পূর্ণ এক নয়। এই কথাগুলো বলতে বলতে এসপি সাহেব ইন্সপেক্টর মিত্রর হাতে ক্যাটালগের ফরেনসিক রিপোর্টে তুলে দেন। পরদিন সকাল সকাল বড়বাবু মোবাইলে ফোন আসে ইন্সপেক্টর মিত্র হতে। তিনি তাড়াতাড়ি তাকে একটি জায়গায় আসতে বলেন। চিনাবাজারে এসে বড়বাবু জায়গাটি চিনে ফেলেন কেননা এখানে আগে বড় মাপের আফিম ব্যবসা চলতে। হংকংয়ের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীরা এই চক্র চালাত। এখান থেকে গাড়িতে করে ইন্সপেক্টর মিত্র এবং বড়বাবু পৌঁছে যান Carla Porto (কার্লা পোর্তো) নামক নার্সারিতে। নামটি দেখেই বড়বাবু চিন্তিত হয়ে যান কেননা সেই নামটি তিনি আগে কোথাও দেখেছেন। নার্সারিতে ঢুকে ম্যানেজারের সাথে ইন্সপেক্টর মিত্র জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। ইন্সপেক্টর ম্যানেজার এর কাছ থেকে একটি ক্যাটালক চাইলেন। এই নার্সারিতে দুই ধরনের ক্যাটালগ পাওয়া যায় ।একটি রেগুলার অন্যটি এ প্লাস ক্যাটাগরির। ইন্সপেক্টর সাহেবে এ প্লাস এর একটা চাইলেন। তিনি জানতে পারেন এ প্লাস ক্যাটাগরির অর্কিড গুলোর প্রচুর দাম। তবে তিনি জানতে পারেন প্রফুল্ল কুমার এই নার্সারির নিয়মিত কাস্টমার ছিলেন। খুব শীঘ্রই তার এক লক্ষ টাকা দামের একটি অর্কিড ডেলিভারি দেওয়ার কথা। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ইন্সপেক্টর মিত্র জানতে চান গত কয়েকদিনের ভিতরে কেউ কি এ প্লাস ক্যাটাগরির নিতে এসেছিল নাকি। একজন নিতে এসেছিল ফোনে তার শারীরিক বিবরণ জানতে চাইলেন ইন্সপেক্টর মিত্র। ম্যানেজার কিছুটা বিবরণ দিতে সক্ষম হন। আরো কিছু তথ্য জানার পর ইন্সপেক্টর মিত্র তার জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেন। এরই মাঝে ইন্সপেক্টর এর হাতে প্রফুল্ল সেনের গত সাত দিনের কল রেকর্ড চলে আসে। কল লিস্ট টা এনালাইসিস করে তিনি সাইবারক্রাইম কে পাঠিয়ে দিলেন কিছু ইনফরমেশন জানার জন্য। প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন নিয়ে তিনি এয়ারপোর্ট পুলিশ স্টেশনে যোগাযোগ করেন। কল হিস্টোরি এবং বিভিন্ন ইনফরমেশন থেকে ইন্সপেক্টর মিত্র আন্দাজ করতে পারছেন খুনি এখনো তাদের হাতের নাগালেই আছে। তবে আর বেশি দেরি করলে হয়তো হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। এরপর খুনের মোটিভ এর কথা চিন্তা করতে করতে ইন্সপেক্টর প্রফুল্ল সেন এর ডাইরি টা পড়তে থাকেন। এমন সময় ইন্সপেক্টরের মোবাইল বেজে ওঠে এবং তিনি জানতে পারেন খুনি আগামীকাল রাত ১১.৪৫ এরদিকে কলকাতা ছাড়ার চেষ্টা করবেন। এ কথা জানতে পেরে ইন্সপেক্টর মিত্র সতর্ক হয়ে যান এবং বড়বাবু এবং বাড়তি পুলিশ সদস্য নিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে সন্ধ্যার থেকেই এয়ারপোর্টে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন খুনীর জন্য। ঠিক ৯.৪০ এর দিকে ট্যাক্সি থেকে একজন যুবক নেমে ডিপারচার এর গেট দিয়ে এগিয়ে সিকিউরিটির হাতে পাসপোর্ট এবং বোর্ডিং পাস জমা দেয়ার মুহূর্তেই ইন্সপেক্টর মিত্র তাকে গ্রেফতার করেন। খুন করেছেন বিকাশ সাঁতরা নামের ৩০ বছরের এক যুবক। বড়বাবু অনেক উদ্বিগ্ন জানার অপেক্ষায় যে কিভাবে ইন্সপেক্টর মিত্র খুনীকে ধরতে সক্ষম হলেন। সাধারণভাবে খুনের কোন সূত্র পাওয়া না গেলেও খুনী একাধিক সূত্র খেলে গিয়েছিল বললেন ইন্সপেক্টর মিত্র। এরপর খুনী কোথায় কোথায় সূত্র রেখে গিয়েছিল এগুলো একে একে পয়েন্ট আউট করতে থাকেন ইন্সপেক্টর মিত্র। তিনি বলেন ডক্টর সেন এর দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস ছিল। তাই বিকাশ সাঁতরা জেনেশুনেই ক্যাটালগে বিষ মিশিয়ে ছিলেন যাতে করে ক্যাটালগ টি পড়ার সময় ডক্টর সেন মুখে হাত দেবেন এবং সেই বিষ তার শরীরে প্রবেশ করে তিনি মারা যাবেন। ইন্সপেক্টর সেন খুনের প্রথম সূত্র পান সিসিটিভি ফুটেজ হতে। কারণ তিনি দেখতে পান একমাত্র ক্যাটালগ ডেলিভারি ম্যান এবং হরিসাধন ছাড়া বাইরে থেকে কেউ আসেনি । তিনি আন্দাজ করতে পারছিলেন খুনি ইনস্পেক্টর সেন এর আগের পরিচিত কেননা সে তার দাঁত দিয়ে নখ কাটার ব্যাপারে অবগত ছিল এবং অ্যাড্রেস ও ফোন নম্বর বাইরের কোন মানুষের জানার কথা নয় কেননা ডক্টর সেন তেমন কারো সংগে মিশতেন না। এবং যেহেতু ক্যাটালগ টি মাত্র ১০ দিন আগে প্রিন্ট করা হয়েছে তাই ইন্সপেক্টর আন্দাজ করতে পারছিলেন খুনি কার্লা পোর্তো এর ভিতরের কেউ। এই নার্সারির দুজন এজেন্ট ছিল ব্রাজিলের সাও পাওলোতে। ম্যানেজারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ও এজেন্ট দুজনের একজনের শারীরিক বিবরণ খুনির সঙ্গে মিলে গিয়েছিল। এভাবেই ছড়িয়ে থাকা সকল তথ্যগুলো একত্র করে ইন্সপেক্টর মিত্র এই খুনের রহস্য ভেদ করতে সক্ষম হন এবং খুনিকে গ্রেফতার করে ফেলেন। তবে বিকাশ সাঁতরার মতে জানা যায় তাদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ছিল বলেই সে ডক্টর সেন কে হত্যা করেছে। এভাবেই ইন্সপেক্টর মিত্র কেস টি সফল ভাবে সলভ করতে সক্ষম হন।

গল্পটি এককথায় অসাধারণ ছিল। প্রতিটি পর্ব যেমন ছিল রহস্যে ঘেরা তেমনি আনন্দের ও উত্তেজনাপূর্ণ। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই উপভোগ করেছি গল্পটি।
আমার পার্সোনাল রেটিং=১০/১০

আশা করছি @rme দাদা এরকম আরো অসংখ্য সুন্দর সুন্দর গল্প আমাদের উপহার দিয়ে যাবেন। আর সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

@labib2000

20211003_112202.gif

Sort:  
 3 years ago 

খুব চমৎকার লাগলো আপনার রিভিউটি। একটি পত্রের মাধ্যমে দাদার সবগুলো সিরিজ কে খুব সুন্দর ভাবে তুলে নিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ চমৎকার করে রিভিউটি তৈরি করার জন্য।

 3 years ago 

ধন্যবাদ।

 3 years ago 

ভাইয়া আপনি তো মনে হয় ডিটেকটিভ!!!
কত সুন্দর করে বর্ণনাটা দিলেন।
খুব বেশি ভালো লেগেছে, সত্যিই আমি আমি সম্পূর্ণটাই পড়েছি। খুবই গুছিয়ে লিখেছেন।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।

 3 years ago 

খুবই ভালো লাগলো, মনে হলো গল্পটা আবার পড়লাম।খুবই সুন্দর রিভিউ হয়েছে।ধন্যবাদ।সুন্দর একটি রিভিউ শেয়ার করার জন্য ।

 3 years ago 

অনেক ধন্যবাদ মতামত শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago (edited)

একটি পত্রের মাধ্যমে দাদার সবগুলো সিরিজ কে খুব সুন্দর ভাবে তুলে নিয়েছেন। খুব চমৎকার লাগলো আপনার রিভিউটি। খুবই সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য।

 3 years ago 

বাহহ ভাই আপনি অনেক সুন্দর ভাবে দাদার লেখা গল্পটিকে সবার সামনে উপস্থাপন করেছেন।এতে অনেকের গল্পটা ক্লিয়ার হয়ে গেলো।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ মতামত করার জন্য।

 3 years ago 

খুব ভালো রিভিউ হয়েছে আবার নতুন করে সবকিছু চোখের সামনে ভেসে উঠলো। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর একটি রিভিউ করার জন্য।

 3 years ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।

খুব চমৎকার লাগলো আপনার রিভিউটি। সত্যি মনে হলো গল্পটা আবার পূনরায় পরলাম। সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন‍্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 years ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.29
TRX 0.11
JST 0.033
BTC 63901.15
ETH 3133.40
USDT 1.00
SBD 4.05