ডেঙ্গুর ভয়াবহতা || ১০% বেনিফিসিয়ারি @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল এবং সুস্থ আছেন।আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছি।
এই এতদিন করোনা মহামারীর ভয়ংকর প্রকোপে ছিল পুরো পৃথিবী। আমাদের দেশেও করোনা কম জালায় নি। প্রায় প্রতি দিনই বাস্তবে এবং নিউজ এর হেডলাইনে দেখতে হয়েছে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু। কেবল যেই না করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি একটু শিথিল হতে শুরু করছে,ঠিক এরই মাঝে নতুন এক মহামারী মাথা চারা দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। এটি আর কোন রোগ নয়, এটি হচ্ছে ডেঙ্গু। বাংলাদেশে প্রায় বছর ২,৩ ধরে ডেঙ্গুর অবস্থা অনেকটাই খারাপ। প্রায় প্রতি বছরের এই সময়টা তে ডেঙ্গুর প্রকোপ টা যেন বেড়ে যায়। প্রতি বছরই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। এবারও তার ব্যাতিক্রম নয়। ইতমধ্যেই অনেক মানুষ এই রোগের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। তবে এ বছর বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে একটি বাড়তি ভয় কাজ করছে। ডেঙ্গুর আক্রমণ বেশি দেখতে পাই আমরা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে। বিশেষ করে ঢাকায় এর প্রভাব টা বেশি লক্ষ্য করা যায়। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ১ম দিকে মানুষ তেমন গ্রাহ্য করে না। এ ব্যাপারে মানুষ আগে থেকে তেমন সুরক্ষা অবলম্বন করতে একেবারেই অনিচ্ছুক। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণ এর বাইরে চলে গেলেই মানুষ তখন উদ্বিগ্ন হতে শুরু করে। অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ার আগেই যদি আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গুলো নিতে পারি তাহলে আর এইরকম ভয়াবহ অবস্থা দেখতে হয় না। সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই আমাদের উচিত নিজেদের এগিয়ে আসা এবং যথাসম্ভব প্রস্তুতি গ্রহণ করা। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গুলো যদি আমরা আগে থেকেই নিয়ে ফেলতে পারি তাহলে আমাদের বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতি তে পড়তেই হবে না। আমাদের সকলের উচিত একসাথে কাজ করা এবং একটি ব্যাধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই সেটিকে প্রতিহত করা। আসুন দেখে নেই কি কি পদক্ষেপ আগে থেকে নিতে পারলে ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভয়াবহ রুপ থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব।
ডেঙ্গু রোধে আমরা যা যা করতে পারি:
১:- কোথাও ৩,৪ দিনের বেশি পানি জমে থাকতে না দেওয়া।
২:- বাসা বাড়ির ছাদ, উঠান ইত্যাদি সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
৩:- প্রতিনিয়ত ড্রেন,খাল,পুকুর সরু গলি ইত্যাদি জায়গায় মশা নিধন কর্মসূচি চালানো।
৪:-রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা ও সবসময় সতর্ক থাকা যেন কোথাও মশা বাসা বাধতে না পারে।
আশা করি এই পদক্ষেল গুলো এবং আরো কিছু পদক্ষেপ আগে থেকে নিতে পারলে আমরা এই ব্যাধি অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারব। কথায় আছে রোগ চিকিৎসার অপেক্ষা রোগের প্রতিরোধ করা ভাল।
সবাই কে অনেক ধন্যবাদ এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য। আজ এই পর্যন্তই। শীঘ্রই আবার দেখা হবে। সবাই সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন।
ছবির সোর্স:- pixaby
আবারো ধন্যবাদ সবাইকে।
অবশ্যই আমাদেরকে সতর্কতার সাথে থাকতে হবে নিরাপদে থাকতে হলে এই সময় একটি উপকারী পোস্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই মন্তব্য করার জন্য। শুবেচ্ছা রইল ভাই।
দিন দিন দেশে ডেঙুর প্রকোপ বাড়ছে।আমাদের কে এই ডেঙ্গু থেকে সচেতন এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।খুব সুন্দর ভাবে সচেতন মুলক একটি পোস্ট করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই সময় নিয়ে পোস্ট টি পড়ার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বর্তমানে ডেঙ্গু বাংলাদেশের ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমাদের সকলের উচিত ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করা এবং সবসময় নিজের ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা। আপনার সুন্দর একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।।
জি ভাইয়া। আমাদের সবসময় উচিত যথাসম্ভব সচেতনতা অবলম্বন করা। আপনাকে ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোস্ট টি পড়ার জন্য।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হতে পারে ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণের উপায়।আমাদের সকলের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপরে নজরদারি রাখা উচিত।অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মতামত করার জন্য। সাথেই থাকবেন।
আপনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচনার আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আমাদের সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাড়ির আশপাশ কোন জায়গায় যদি পানি জমে থাকে তাহলে তা জমতে দেওয়া যাবে না। আমাদের সবসময় মশারি টাঙ্গিয়ে শুতে হবে। বাড়ির আশপাশে জঙ্গল থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে। খুবই ভাল একটি টপিক আলোচনা করেছেন।অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ছিল আপনার পরিবেশনাটি আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই ভাল একটি মন্তব্য করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল।
অবশ্যই ভাই আমাদের প্রত্যেককে আগে থেকে সচেতন হওয়া উচিত যাতে আমরা এরকম একটা পরিস্থিতিতে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি এবং সবাই যাতে ভাল এবং সুস্থ থাকতে পারি। সেইসাথে বাচ্চাদের কেউ খুব সাবধানের সাথে রাখা উচিত কারণ এই রোগে সাধারণত বাচ্চারা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি মারা যাচ্ছে বেশি। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার সমসাময়িক অতি প্রয়োজনীয় ইনফরমেশনের জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই সময় নিয়ে পোস্ট টি পড়ার জন্য।
ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে বিশেষ করে ঢাকা শহরে এটি বিস্তার লাভ করেছে বেশি পরিমানে! যেখানে সেখানে পরিত্যক্ত জিনিস পত্রে বৃষ্টির পানি জমে অথবা রাস্তার পাশে থাকা ড্রেনের মধ্যে মশারা ঝাকে ঝাকে বিস্তার লাভ করেছে। আমাদের সকলের উচিত সতর্কতা অবলম্বন করা। আপনার পোস্ট টি পড়ে আমরা অনেক বিষয় জানতে পারলাম। আশা করি সবাই আমরা সতর্ক হয়ে যাবো।
ঠিক বলেছেন আপনি। সময় থাকতে আমাদের সতর্ক হতে হবে।
ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন মূলক এমন পোস্ট করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। যার মাধ্যমে আমরা অল্প কিছু হলেও কিছু শিখতে পারলাম
পোস্টটি যে পড়ে উপকৃত হয়েছেন শুনে ভাল লাগলো। শুবেচ্ছা নিবেন ভাই।
ভালোবাসা অবিরাম ভাই
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আপনি আলোচনা করেছেন ।সত্যি আমাদের দেশে বর্তমানে একটি ভয়াবহ রোগ ডেঙ্গু।আমাদের সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে ,সচেতন হতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
সত্যিই বর্তমানে করোনা মহামারীর পাশাপাশি আবার ডেঙ্গু ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।আমাদের সাবধানে থাকতে হবে।খুব ভালো বিষয় তুলে ধরেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।