মায়ের হাতের পিঠা পার্সেল 🦊(১০%পে আউট লাজুক খ্যাকের জন্য)🦊
★ ২০পৌষ।
★ ১৪২৯ বাংলা।
★ বুধবার।
★মায়ের হাতের পিঠা।
আসসালামু-আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন, আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আমি @kosto আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে চলে আসলাম।আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি গান থেকে আসা আমাদের জন্য পিঠা নিয়ে কিছু কথা ও ফটোগ্রাফি।
প্রথমে আমার পরিচয়টা আমি দিয়ে দিতে চাই। আমার নাম মোঃ তৌফিকুল ইসলাম।আমার স্টিম আইডি(@kosto)আমার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলা, কুমারখালী থানা,উত্তর যদুবয়রা ইউনিয়নে।আমার বাবা একজন কৃষক ও পাশাপাশি ছোট্ট একটা ব্যবসা করেন এবং মা গৃহিণী।আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা,ফতুল্লা থানা একটি গার্মেন্টসে জব করি।ঈদের পর থেকে প্রায় ছয় মাস হল গ্রামের বাড়িতে যেতে পারিনা কাজের প্রেসারে।বাবা-মা প্রতিদিনই প্রায় ফোন করে গ্রামে যাবার জন্য বলেন।আমি সময় করে উঠতে পারি না।আমার গ্রামে এক পরিচিত বন্ধু বা ভাই তার নাম হচ্ছে সোহানুর রহমান সোহাগ। সোহাগ ভাই তার ব্যক্তিগত কিছু কাজের জন্য গ্রামের বাড়িতে যান। সে সময় গ্রাম থেকে মা আমার জন্য কিছু পিঠা তৈরী করে পাঠিয়ে দেন সোহানুর রহমান ভাইয়ের কাছে।সেই পিঠাগুলো নিয়ে এবং পিঠার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে আজকে শেয়ার করতে যাচ্ছি।ছোটবেলা থেকে আমার আপু ও আমি পিঠা খেতে অনেক ভালোবাসি।কমবেশি আমরা সকলে পিতাকে অনেক ভালোবাসি। বিশেষ করে যখন এই শীতের মৌসুম আসে তখন পিঠা-বানানোর আনন্দ প্রতিটা ঘরে ঘরে মেতে ওঠে। এখন শহরে প্রায় সব জায়গাতেই বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে বিক্রি করছেন দোকানিরা।কিন্তু গ্রামে তৈরি মায়ের হাতের পিঠা গুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন।মায়ের হাতের পিঠার কোন তুলনা হয় না।যখন গ্রামে থাকতাম তখন মা ভাপা পিঠা বানাতো আর আমি পাশে বসে গরম গরম ভাপা পিঠা খেতাম।অনেক গল্প করতাম এটা খেতে খেতে অনেক আনন্দ করতাম। সেই দিনগুলো আবার কবে ফিরে পাবো জানিনা। এই ব্যস্ত শহর ব্যস্ত জীবন সবকিছু থেকে আলাদা করে দেয়।পিঠা গুলোর ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি।
আপনার দেখতে পাচ্ছেন অনেকগুলি ভাপাপিঠা পাঠিয়েছেন মা আমার রুমমেটরা অনেকেই আছেন প্রায়ই পাঁচজন। তাই তাদের জন্য কিছু পরিমাণ বাড়িয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আপনারা যে পিঠাটি দেখতে পাচ্ছেন এই পিঠাটি নাম আমাদের ওইদিকে বলে সরা পিঠা বা ভিজানো পিঠা। দুধ ও রসের মধ্যে ভেজানোর আগে বলে সরা পিঠা আর দুধ ও রসের মধ্যে ভেজানোর পরে বলে ভিজানো পিঠা বলে প্রচলিত। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের নাম হয়ে থাকতে পারে।
এখন দেখতে পাচ্ছেন রুটি পিঠা ও দেশি মুরগির গোস রান্না।রুটি পিঠা রাতে বানিয়ে সকালে খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম।যারা রুটি পিঠা পছন্দ করেন তারাই ভালো জানেন বাসি রুটি খাবার কেমন মজা।
মায়ের হাতের পিঠা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এই শীতের রাতে সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে শেষ করছি আজকের ব্লক।
🌹সকলকে ধন্যবাদ🌹
সমস্ত ছবির | তথ্য |
---|---|
লোকেশন | বাংলাদেশ 🇧🇩 |
ক্যামেরা | স্যামস্যাং এম ২১ |
ক্যামেরাম্যান | @kosto |
w3words | https://w3w.co/cassettes.entire.spun |
একেই বলে মা। কাজের ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘ ছয় মাস বাড়িতে যেতে পারেননি। আর সেজন্যই মা কষ্ট করে হলেও আপনার জন্য পিঠা পার্সেল করে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমাদের এলাকাতেও এই পিঠাটিকে সারা পিঠা বলা হয়।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
আসলে মায়ের মত কেউ হয় না তাইতো আপনার মা আপনি অনেকদিন বাড়ি যান নেই বলেই এত খাবার একসাথে আপনার জন্য একসাথে পাঠিয়েছে। খুব মজার মজার পিঠা আপনার জন্য আপনার মা তৈরি করে পাঠিয়েছে। আমাদের সাথে আপনার মায়ের হাতের বানানো মজাদার পিঠাগুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন আপু মায়ের মত কেউ হয়না। দীর্ঘ ছয় মাস বাড়িতে না যাওয়াই। মা অনেক কষ্ট করে এগুলো পার্সেল করে দিয়ে দিয়েছেন। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
মায়ের হাতে যে কোন পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। অনেক মানুষ আছে যারা কাজের জন্য বাড়ি থেকে বাইরে থাকে। তবে আপনার মা আপনার জন্য দারুন পিঠা বানিয়ে সোয়ানুর রহমান ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেন। তবে ছোটবেলা আমরাও যখন আমাদের মা পিঠাগুলো বানাতে আমরা পাশে বসে গরম গরম খেতাম। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিকই বলেছেন আপু ছোটবেলাই মায়ের পাশে বসে পিঠা খেতাম আর কতই না গল্প করতাম। বড় হয়ে ভুল হয়ে গেছে দেখছি হাহাহাহাহা ছোট থাকায় ভালো ছিল মায়ের আঁচলের নিচে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার মা খুব দারুণ করে পিঠা পার্সেল বানিয়েছেন। মায়ের কোন তুলনাই হয় না। আপনি ঢাকায় থাকেন বিধায় আপনার মা আপনার জন্য শীতকালের পিঠা বানিয়ে একটি লোকের কাছে পাঠিয়েছেন। সত্যি আমরাও যখন ছোট ছিলাম শীতকালে যখন পিঠাগুলো বানাত আমরাও গরম গরম বসে খেতাম। এই সময় গুলো আর কখনো আসবেনা। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক কথা বলছেন ভাই মায়ের সাথে কখনো কারোর কোন তুলনা হয় না। মায়ের হাতের পিঠা গুলো বেশ দারুণ হয়েছিল।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।