আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ (পর্ব ১)
নমস্কার বন্ধুরা,
বিগত বছরে ৪৬ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় গিয়েছিলাম একদম শেষ মুহূর্তে। আসলে ব্যস্ততার মাঝে যাব করে যাব করে শেষ দিনে গিয়ে অবশেষে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। যথারীতি শেষ দিন বলে কলকাতা বইমেলায় খুব তাড়াতাড়ি ঘুরে এবং দু-একটা বইপত্র কিনে নিয়ে বইমেলায় থেকে খুব বেরিয়ে পড়েছিলাম। এবারে তাই আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম যে বইমেলা শুরু হওয়ার প্রথম দিকেই একদিন সময় করে ঘুরে আসব। সেই অনুযায়ী বইমেলা শুরুর দ্বিতীয় দিনের পৌঁছে গেলাম। প্রথমে চিন্তা করেছিলাম যে বিকেলের দিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাবো তাহলে একটু সময় নিয়ে ঘুরে দেখা যাবে। কিন্তু পৌঁছতে পৌঁছতে সেই সন্ধ্যে হয়েই গেল। আর যখন পৌছালাম তখন মেলাতে বেশ ভিড় জমে গেছে।
এবছরে ৪৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার থিম ব্রিটেন। সেজন্য বইমেলায় ঢোকার যে মূল প্রবেশপথ ছিল লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজের আদলে। টাওয়ার ব্রিজের তলা দিয়ে বইমেলায় ঢুকে পড়লাম। তারপর হাটতে হাটতে একদম এক নম্বর গেটের মুখে চলে গেলাম। আসলে বইমেলার ম্যাপ ধরে যদি ভালো ভাবে পুরো বইমেলা ঘুরে দেখতে হয় তাহলে এক নম্বর থেকে শুরু করা সবচাইতে সহজ।
যখন পৌঁছেছি তখন অল্প অল্প সন্ধ্যে নেমে গেছে। আসলে বইমেলায় আমার আসাটা যে একটু দেরিই হয়েছে সেটা বুঝতে বাকি রইল না। বইমেলার প্রথম স্টলটায় যখন পৌঁছলাম তখন সূর্যের আর দেখা নেই। যদিও কলকাতায় সেই সময়টা বেশ কনকনে শীত ছিল তাই কদিন ধরেই খুব তাড়াতাড়ি সুয্যি মামা পাটে চলে যাচ্ছিল। তো যাই হোক। আমার প্রথম গন্তব্য হলো, পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের স্টল। তাদের জায়গা দেওয়া হয়েছে এক নাম্বার গেটের একদম মুখে। মহিলা কমিশনের স্টলে গিয়ে দেখি সেখানে বইপত্রের দেখা নেই তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে।
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুনে বুঝলাম গানের লড়াইয়ে সমানাধিকারের কথাই বলা হচ্ছে। সেটা আবার আঞ্চলিক ভাষায় করে এক মহিলা শিল্পী দর্শকদের দারুণ ভাবে মাতিয়ে রেখেছেন।
বইমেলা ঢাকাতেও শুরু হয়েছে, চলবে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে। আপনি এবার একেবারে মেলা শুরুর দ্বিতীয় দিনেই চলে গিয়েছেন বইমেলায়। হয়তো এ কারণেই বই জমজমাট হয়নি। তবে ভালো লাগলো এ ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে। আমাদের এখানে অবশ্য বইমেলায় এমন অনুষ্ঠান হয় না, তবে বই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা হয়ে থাকে।
আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার প্রথম পর্বটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। অনেক মানুষ বইমেলাতে জড়ো হয়েছে। সব থেকে বেশি সবথেকে বেশি ভালো লাগলো ভিডিওগ্রাফিটি দেখে। আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা সম্পর্কে আরো কিছু জানার জন্য আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম প্রিয় দাদা।
আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার প্রথম পর্বটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। ঢাকাতেও বইমেলা শুরু হয়েছে। আসলে বইমেলায় বই কেনার মজাই আলাদা। বইমেলার দ্বিতীয় দিন বই কিনতে পৌঁছে গেছেন শুনে বেশ ভালো লাগলো। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শীতকালে সূর্য দ্রুত অস্ত যায়।আপনার বই মেলায় যেতে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল।প্রত্যেকবার শীতের সময় বই মেলাগুলো হয়ে থাকে।আমাদের এদিকেও শুরু হয়ে গিয়েছে।এখানে আবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যাবস্থা করা হয়েছে ।ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এই সময় কিন্তু সব জায়গায় বই মেলা বসে। কলকাতাতে আন্তর্জাতিক বই মেলায় গেলেন আপনি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণ মানুষের ভিড় ছিল। আর আপনি যেহেতু সন্ধ্যা বেলায় গেলেন সূর্য তো ডুবে যাবে। বইমেলা মানে জ্ঞান আহরণ করতে যাওয়া। সেখানে ঘুরে ঘুরে অনেক বই দেখা। এবং নিজের পছন্দমত বই কিনে নিয়ে এসে পড়া। এখন আর বই মেলা বলতে সেখানে বইয়ের সীমাবদ্ধতা থাকে না। সন্ধ্যায় আবার অনুষ্ঠান উপভোগ করলেন অসাধারণ ছিল।
বইমেলায় ঘুরাঘুরি করে বই কিনতে আমার খুব ভালো লাগে। দাদা অনেক সময় তাড়াতাড়ি বের হতে চাইলেও দেরী হয়ে যায়। যাইহোক ঢাকাতেও ইতিমধ্যেই বইমেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। ইচ্ছে আছে খুব শীঘ্রই বইমেলায় যাওয়ার। বইমেলায় ঢোকার প্রবেশপথটা এককথায় দুর্দান্ত লেগেছে দাদা। যাইহোক সব মিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই বছর আর আমি বইমেলায় যায়নি, তবে গত বছর গিয়েছিলাম। সাধারণত বেশি ভিড়ের ভিতর যাওয়া আমার খুব বেশি একটা পছন্দ হয় না । বইমেলাতে সন্ধ্যায় খুব বেশি ভিড় হয়ে যায়, যেমনটা তুমি গিয়ে দেখতে পেয়েছিলে দাদা। হয়তো তুমি দিনে গেলে এত বেশি ভিড় পেতে না । যাইহোক, তোমার শেয়ার করা ভিডিওটাও বেশ দারুন ছিল দাদা।