প্রাচ্যের ভেনিস এবং আমি (Venice of the East and Me)
নমস্কার বন্ধুরা!,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।
নিম্নচাপের কারনে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে দুই চব্বিশ পরগণা জেলা ভেসে গেছে। সুন্দরবনের মানুষ গুলোর জন্য খুব কষ্ট হয়। প্রতি বছর মানুষের বাড়ি ভেসে যায়, ধানি জমি ভেসে যায়, ভেড়ি-পুকুরের মাছ বেরিয়ে যায়। আর্থিক কষ্ট, মানসিক কষ্ট। এর যেন কোনো অন্ত নেই। ভবিষ্যতে কি আছে জানা নেই তবে খুব একটা সুখকর নয় তা একটা ধারনা হয়।
বিগত কয়েকদিনে এতোটাই বৃষ্টি হয়েছে যে বাড়ির সামনের পুকুরটা জলে থই থই করছে। আজকে সকালেও থামবার কোনোপ্রকার ইচ্ছে নেই। কখন ইলিশে গুঁড়ি, কখন ঝমঝমিয়ে, আবার কখন টিপ টিপ করে। এভাবেই সারাদিন বৃষ্টি হতে থাকলে হয়তো জল উপচে রাস্তায় চলে আসবে।
সকালটা বৃষ্টি দেখে আর গল্পের বই পড়ে কাটিয়ে দিলাম। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের পটাশগড়ের জঙ্গলে। অদ্ভুতুড়ে সিরিজের এই বইটা শুরুতে ভুতের গল্প মনে হলেও, গল্পটা আরো রহস্য আর রোমাঞ্চে ভরপুর। একবার শুরু করে আর ছাড়তে পারিনি এক্কেবারে শেষ করেই দুপুরের খাবারের আগে উঠলাম
খেয়ে দিয়ে কি শখ জাগলো হয়তো বৃষ্টি একটু কম দেখেই ক্লায়েন্ট অফিস ঘুরে আসবার ইচ্ছে হলো। ছাতা মাথায় দিয়ে টুক টুক করে বেরিয়েও পড়লাম। বাস থেকে নামার পরেও বৃষ্টি ছিলোনা বললেই চলে। আরামসে ক্লায়েন্ট অফিসে ঢুকে গেলাম, টুকটাক কিছু পেন্ডিং কাজ করে ফেললাম। একবার মনেও হলো বাড়ি ফিরে আসি, এদিকে আকাশ বেশ খারাপ। ভাগ্যে ড্রেনের জল থাকলে আর কে টলায়। থেকে গেলাম সন্ধ্যে ৭ টা অবধি। ঠিক যখন বেরোবো ঝমঝমিয়ে শুরু হলো বৃষ্টি। টানা ৪০ মিনিট।
বৃষ্টি একটু হালকা হতেই পা গুটিয়ে ছাতা মাথায় দিয়ে বেরোলাম। বেরিয়ে আমি আশ্চর্য, এ যেন ভেনিসে এসে পড়লাম! যদিও কিছুক্ষণ পরেই আমার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো যখন আমাকে উপচে পড়া ড্রেনের জলে নামতে হলো।
বজ্জাত বাইকওয়ালা গুলো গায়ে ড্রেনের জল ছিটিয়ে গেলো। আহা! অনেক পরিশ্রম করেই বাড়ি ফিরলাম। বাড়ি এসে স্নান করে নিলাম। করোনা হলেও মানা যায়, এটা ড্রেনের জল। আরো ডেঞ্জারাস।
আরো ভোট দাও দিদিমনিকে :)
আমি দিইনি। তবে কলকাতার লোক ঠেসে দিয়েছে। মানুষেরও দোষ আছে দাদা। প্লাস্টিক রাস্তায় ফেলে ফেলে মান্ধাতার আমলের ড্রেন গুলো আরো জ্যাম করে দিয়েছে
আমজনতা হলো চূড়ান্ত বেখেয়ালি আর এদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বিন্দুমাত্র নেই, সেই কারণে আমরা সবাই এতো সাফার করছি ।
স্কুল শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। মানুষের বিবেকস্থ সেভাবেই সম্ভব হয়তো