ব্যস্ততাপূর্ণ বুধবার // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
সপ্তাহ ব্যস্ততাপূর্ণ গেলেই যেন বেশি ভালো লাগে। টানা দু সপ্তাহ বাড়ি আটকে থেকে কিছু কাজকর্ম আগে থেকে অনিষ্পন্ন ছিলো। আমি সাধারণত চেষ্টা করি প্রত্যেক সোমবারই বিশেষ বিশেষ কাজকর্ম গুলোকে গুটিয়ে নিয়ে আসার তবে মাঝে ওই ১৫ দিন বসে থাকায় সেটা আর পারা যাচ্ছে না, ওদিকে আবার ওমিক্রন জুজু। যেহেতু কাজ কর্মের মধ্যে থেকে ব্যস্ত জীবন কাটাতে পারলেই বেশি ভালো লাগে তাই কাজের সুযোগ এলে হাতছাড়া করি না। ফলপ্রসূ দিন না কাটালে কেমন একটা খারাপ লাগা থাকে, কোনো কোনো সময় তো মানসিকভাবেই বিপর্যস্ত হয়ে যাই।
পুরোনো একটি কাজের সূত্র ধরে আজ যখন সুযোগ পেলাম ডেঙ্গুর সময়ে আটকে থাকা কিছু কাজ হাত থেকে নামিয়ে ফেলার তাই সারাদিন পথে-ঘাটেই কাটিয়ে দিলাম। আদবে কয়েক মাস ধরে এক ক্লায়েন্ট নিজের জন্য বাড়ি খুঁজছেন। নানান কাজকর্ম থাকার জন্য বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেলেও আমি বাড়িগুলো প্রাথমিক পরিদর্শন করতে পারছিলাম না, আর সে কারণে মঙ্গলবার রাতেই ঠিক করে রেখেছিলাম যে সম্ভব হলে বুধবারই হাতে থাকা সমস্ত কাজগুলো সেরে ফেলা যাবে।
বাড়ি দেখাতো চাট্টিখানি কথা নয়! অনেক সময়সাপেক্ষ তাছাড়া আর্থিক লেনদেন রয়েছে তারপর সরকারি নিয়মাবলী রয়েছে সেসব পালন করতে কমপক্ষে ৩-৪ মাস লেগেই যায়। আর বাড়ি যতদিন ঠিক হচ্ছে না পরবর্তী পদক্ষেপ গুলোর দিকেও এগোনো সম্ভব হচ্ছে না।
আমার কাছে বাড়ি দেখা একদমই নতুন অভিজ্ঞতা ছিলো, পুরোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় আশীষকে সাথে নিয়ে যাই, ওর এই সমস্ত কাজকর্ম করার অভিজ্ঞতা আছে। সরকার ওমিক্রন জুজু দেখাচ্ছে কখন যে লক ডাউন করে বসে তাই অন্তত বাড়ি পছন্দ করার কাজটা এগিয়ে রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
সব মিলিয়ে দুটো বাড়ি দেখা সম্ভব হলো, দুটো বাড়ি দেখতেই ঘড়ির কাঁটা দুপুর থেকে সন্ধ্যেতে গিয়ে ঠেকলো। প্রথম বাড়িটি ছোটখাটো হলেও দ্বিতীয়টি বেশ বড়ো মাপের। যদিও দুটির দামই গগনচুম্বী, দাম কতটা সেটা নাই বা বললাম। দুটো বাড়ি দেখে যখন বেরোলাম সন্ধ্যে পাঁচটা পেরিয়ে গেছে সেটা খেয়ালই করিনি।
আরেক ক্লায়েন্টের দোকানে গিয়ে বসলাম তখন দেখি ঘড়িতে সাড়ে পাঁচটা বাজে। ব্যস্ততায় সময় কোথায় বেরিয়ে যায়।
পরের ক্লায়েন্টের দোকান থেকে বেরোতে বেরোতে রাত্রি নটা বাজলো আর সেটা দেখেই ক্লায়েন্ট হয়তো একটু ইতঃস্তত বোধ করছিলেন তাই এক কাপ চা কপালে জুটলো। আহা! শীতের রাতে অমৃত।
বাড়ি ফেরার পথে একটা অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছিলো সেটা হয়তো সারাদিন কাজ কর্মের মধ্যে ব্যস্ত থাকার জন্যই। কাজই জীবন।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনার মতো আমারও একই দাদা। ব্যস্ততা থাকলেই দিনটা ভালো কাটে। কিন্তু বেশি ব্যস্ততা আবার বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভারতে দেখলাম ওমিক্রন বেশ বেড়েছে বাংলাদেশেও একই অবস্থা। এমন চললে নাকী আবারও লকডাউন দেবে বাংলাদেশে।
ব্যস্ততাই জীবন। যাক অবশেষে আপনার কপালে এক কাপ চা জুটেছিল। শীতের মধ্যে বাইরে থাকা আসলে কষ্ট কর দাদা।
দাদা কোনো কাজে একবার পিছিয়ে পড়লে তা সমাধান করতে অনেকটা সময় লেগে যায় এছাড়া একটি আলসেমি ভাব ও চলে আসে সেই কাজের প্রতি।নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বললাম,আমাদের এখন তো আংশিক লকডাউন চলছে।বাড়িগুলো ভারী সুন্দর, দাম তো আকাশ ছোঁয়া হবেই।😊