কিছুটা ভালো সময়...
নমস্কার বন্ধুরা,
বিগত কয়েকটা দিন অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটছিলো। পারিবারিক সমস্যার জেরে কটা দিন হাঁফ ছাড়ার সময় পাচ্ছিলাম না। প্রয়োজন ঘিরেই হঠাৎ করে আমাকে বাড়ি আসতে হয়েছিল, সেখানে কিছু কাজকর্ম মিটিয়ে নেওয়ার জন্য। কাজকর্ম নিয়েও দৌড়াদৌড়ি লেগেই ছিলো। সেই ব্যস্ততার ফাঁকে কিছুটা মন ভালো করে দেওয়ার মতো শীতের বিকেল কাটালাম, পুরনো এক বন্ধুর সাথে। যদিও এবারে শীতকালে শীত নেই, আবহাওয়া শরৎকালের ন্যায়। মাঝেমধ্যে গরমের চোটে ঘামছি। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় কয়েকদিন ধরে একটু যেন অন্যরকম লাগছিলো। যদিও বাড়ি ফেরার দিনে এসবে কিছুটা পরিবর্তন আসে যখন নিম্নচাপ সারা পশ্চিমবঙ্গের আকাশ ছেয়ে যায়।
বৃষ্টির সুবাদে আবহাওয়ায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে তবে ব্যস্ততা কাটেনি। সেরমই ব্যস্ততপূর্ণ দিন কাটিয়ে হঠাৎ করে রাস্তায অনেক পুরনো এক বন্ধুর সাথে দেখা, প্রায় বছর দশেক পরে। বিপরীত দিকেরাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দুজনেই যখন পাশ কাটিয়ে যাবো সেই সময়েই মুখের দিকে নজর পড়ায় আঁতকে উঠি। যেন মেঘ না চাইতেই জল।
একে অপরকে দেখে দুজনে কিছুটা থ মেরে গিয়েছিলাম। বন্ধুই দুদন্ড বসে গল্প করার প্রস্তাব দেয়। আমি কদিন যাবত প্রচন্ড ব্যস্ততার জন্য মধ্যে কিছুটা হলেও সবদিক থেকে আলগা হয়ে যেতে চাইছিলাম। ভাগ্য যেন সেরকমই কিছু সময় উপহার দিল। দুজনে গিয়ে বসলাম পছন্দের আড্ডার জায়গায়। এত বছর পরে দেখা হওয়ার স্বাভাবিক ভাবে প্রাথমিকভাবে কিছুটা আড়ষ্টতা ছিলো। ধীরে ধীরে গল্পে গল্পে যখন পুরনো স্মৃতি উঠে আসলো তখন দুজনে খোলস ছেড়ে বেরোলাম। অবশ্য বলা যায় আড্ডার পছন্দের জায়গা নদীর পাড়টি দুজনের খোলস ছাড়াতে অনেকটা সাহায্য করেছে।
যাক! এতদিন পরে দেখা হয়েছে কিছু একটা না খেলেই নয়। সেজন্য নিয়েছিলাম আড়াই টাকার সিঙ্গারা যেটা আমাদের কয়েক জন বন্ধুর ছিলো আড্ডার মূল শক্তি। সাইজে ছোটো হওয়ায় মাত্র কুড়িখানা নিয়ে বসা হলো। সিঙ্গারা সাইজে ছোটো হলেও অতন্ত্য স্বাদের। শীতের বিকেলে নদীর পাড়ে পুরনো অনেক স্মৃতি ভেসে উঠলো। গল্পে গল্পে দুজনের জীবনের ভালো-মন্দ দিকগুলো উঠে আসতে থাকলো। কিছু সময় প্রাণ খুলে কথা বলে, কিছুটা হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। সময় বিশেষ হাতে ছিলো না, তাই অল্পতেই আড্ডাতে ইতি দিতে হলো।
বেশ দারুন লেখেছেন দাদা। কিন্তু আমার তো একটাই প্রশ্ন। আড়াই টাকা কি সব গুলো সিঙ্গারা ?নাকি একপিস। আর যদি একপিস হয় তাহলে তো আমাদের এইখান হতে বেশ কম দাম। সব মিলিয়ে ভালোই লেগেছে আপনার ভালো সময়ের পোস্ট পড়ে।
দিদি এক পিসের দাম!! সব গুলো কি আর ২.৫ টাকায় পাওয়া যায়। এগুলো নরমাল সিঙ্গারার এক তৃতীয়াংশ হবে
এত ব্যস্ততার মধ্যে পুরনো বন্ধুকে খুঁজে পেলেন । এটাই তো স্বস্থির খবর। অনেকদিন পর সাক্ষাৎ আবার একসাথে বসে আড্ডা দেওয়া। এই মুহূর্ত টাই সকল ব্যস্ততাকে ভুলিয়ে দিয়েছে। আবার আড়াই টাকার সিংগারা যেটা দেখে লোভ লেগে গেল। ছোট সাইজের সিঙ্গারা গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু। আজকের এই সুন্দর মুহূর্ত দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা।
কিছুক্ষণের আলাপে ব্যস্ততা, মন খারাপ সব ভুলিয়ে দিলো।
পুরনো বন্ধু বান্ধবদের সাথে হঠাৎ করে দেখা হলে সত্যিই অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। যদিও অনেক দিন পর দেখা হওয়ার কারণে, প্রথম দিকে মন খুলে কথাবার্তা না বলতে পারলেও, কিছুক্ষণ পর সেটা ঠিক হয়ে যায়। যাইহোক এতগুলো সিঙ্গারা খেতে খেতে, নদীর পাড়ে পুরনো বন্ধুর সাথে দারুণ সময় কাটিয়েছেন দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পুরোনো সব স্মৃতি উঠে আসতে থাকলো তখন সব বাঁধন ছাড়া।