পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : জগৎ মুখার্জ্জী পার্ক
নমস্কার বন্ধুরা,
থিম ভাবনা নিয়ে হওয়া দুর্গাপুজো গুলো শিল্পীদের এক প্রকারের ক্যানভাস বলা যায়। কারণ সব পুজোর নেপথ্যে কারিগর থাকেন হন কোনো শিল্পী, যারা বেশিরভাগ সময় আমাদের চক্ষুর আড়ালে থেকে যান। অথচ প্রত্যেকটা মণ্ডপ গড়ে তোলার পেছনে এই শিল্পীরাই কোনো একটি ভাবনাকে বাস্তবের মাটিতে ফুটিয়ে তোলেন। ৮৭ তম বর্ষে পৌঁছে জগৎ মুখার্জ্জী পার্কের পুজো কমিটি এবার সেইসব পুজোরে আড়ালে থাকা শিল্পীদের কেই সর্বসম্মুখে স্বীকৃতি দিলো। শিল্পীর পাশাপাশি স্বীকৃতি পেলো তাদের শিল্প।
উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী এবং অত্যন্ত সুপরিচিত জগৎ মুখার্জ্জী পার্কের এবারের পুজোর ভাবনা 'ফুলদি'। ফুলদি হলেন একজন পেশাদার মডেল যার আসল নাম সোমা দাশ। তবে তার আসল পরিচয়, উনি কলকাতা আর্ট কলেজের একজন মডেল। তাকে দেখেই নতুন শিল্পীরা আঁকার গভীরতা শেখেন, তুলির টান শেখেন এবং এক সময় হয়ে ওঠেন পরিপূর্ণ শিল্পীতে। সেই শিল্পীদের মধ্যে যারা খুব নাম করেন তাদের হাতের কাজ আমরা দেখি অথচ ফুলদি আড়ালেই থেকে যান। জগৎ মুখার্জ্জী পার্ক ৮৭ তম বছরে পদার্পণ করে তাদের পুজোর ভাবনাতে সমাজের সেই মানুষদের গল্পই ফুটিয়ে তুলেছে। পুজো কমিটি সেই সমস্ত ফুলদিদের সন্মান জানিয়েছে যারা সারাটা জীবন আমাদের চক্ষুর আড়ালেই থেকে যান।
টালা প্রত্যয়ের পুজো দেখে বেশ খানিকটা অভিভূত হয়ে পৌঁছে গেলাম জগৎ মুখার্জি পার্কে। শুরুতে বেশ কিছুটা খোঁজাখুঁজির পরে শেষমেষ ম্যাপের শরণাপন্ন হয়ে মন্ডপে ঠিক সামনে পৌঁছে গেলাম। মন্ডপের মূল প্রবেশপত্র দেখে প্রথমে বুঝতেই পারেনি যে মন্ডপে ভেতরে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে।
ভিড়ের মধ্যে ধীরে ধীরে যখন মূল মণ্ডপের অন্দরে ঢুকে পড়লাম তখন রং বেরঙের ক্যানভাসে চোখ ধাঁধিয়ে গেলো। মণ্ডপের প্রথম অংশে যেমন বাঁশের কারুকার্য ছিল তার সাথে ছিল ফুলদির বিশাল বড় পোর্ট্রেট। পুরো মন্ডপ জুড়েই ফুলদির জীবন কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মণ্ডপের অন্দর সজ্জা রঙ-তুলির নানা পোর্ট্রেট দিয়ে সেজে উঠেছে। সেখানে জায়গা পেয়েছে রাজা রবি বর্মা হেমেন্দ্রনাথ মজুমদারের মতো বিখ্যাত শিল্পীদের আঁকা পোর্ট্রেটের অনুকরণ।
মণ্ডপের মধ্যিখানে বহু পোট্রেটের মাঝে জগতজননী মা বিরাজিত হয়ে আছেন।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আসলেই দাদা আমরা অনেক সময় শিল্পীদের শিল্পের সৌন্দর্য দেখে থাকি, কিন্তু শিল্পীদের দেখতে পাই না। তারা আড়ালেই রয়ে যায় দিনের পর দিন। যাইহোক জগৎ মুখার্জ্জী পার্কের থিমটা দারুণ লেগেছে। থিম অনুযায়ী তারা খুব সুন্দরভাবে পুরো মন্ডপটা সাজিয়েছে। ফটোগ্রাফিগুলো বেশ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।