এলোমেলো আলোকচিত্র

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার,

বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমি বেশ ভালো আছি। আজ আপনাদের সামনে আমি আরো একটি ফটোগ্রাফি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম।

ফটোগ্রাফি নিয়ে ব্লগ আমি বেশ কিছুটা সময় ধরে ধীরে ধীরে করতে হয়। আসলে অনেক দিন ধরে ছবি জমিয়ে তারপরেই সেগুলো ব্লগ আকারে প্রকাশ করি। আজকের ব্লগটাই দেখুন না, আমি আজ যেসব ছবি আজ পোস্ট করছি সেগুলো বছরের নানা সময়ে তোলা। বিভিন্ন সময়ে যা ফটোগ্রাফি করেছি সেগুলোই আজ আপনাদের সামনে ভাগ করে নেবো। ছবি শুরু হয়েছে বর্ষা থেকে একদম শীত পর্যন্ত। আশা করছি আমার আজকের পরিবেশন আপনাদের ভালো লাগবে।



20220717_184551_copy_1107x791.jpeg

আপনাদের সামনে যে ছবিটা প্রথমে ভাগ করে নেবো সেটা শরতের আকাশে খুবই দেখা যায়। বিশেষ করে প্রাক শরতে। তখন সবে সন্ধ্যে বেলায় পায়চারি করার অভ্যেস ধীরে ধীরে তৈরী করছি। হাঁটতে হাঁটতে মাঠের দিকে যেতেই সন্ধ্যের পরিস্কার আকাশে দৃশ্যটি নজরে এলো। আমি তো আকাশ দেখে অবাক! যেন কোনো শিল্পীর হাতের কাজ।


20220805_130052_HDR_copy_764x1070.jpeg

বর্ষার কলকাতায় রাস্তা পারাপার করবার সময় হঠাৎ আমার নজর পড়ে গাছটার উপরে। তখন চারপাশটা সব কিছুই সবুজ। আর সবুজের মাঝে ঠাঁই দিয়ে দাড়িয়ে। দেহে মনে হয় প্রাণ নেই তবুও দাড়িয়ে থাকার অদ্ভূত ইচ্ছে। পিছনে তখন মেঘ ঘনিয়ে আসছে। আসা যদি বেঁচে উঠতে পারে।


PXL_20221225_173232712_copy_1141x815.jpeg

এক্সপো মেলায় গিয়ে এক ঘর সাজানোর দোকানে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। দাড়িয়ে বুঝলাম দোকানের যা কিছু সরঞ্জাম সবই প্লাস্টিকের। তবে বেশিরভাগ জিনিস এতোটাই সত্যি কারের লাগছিলো তা বলে বোঝানো যাবে না। যেমন আমার তোলা এই চন্দ্রমল্লিকা। প্লাস্টিকের অতচ বোঝাবার উপায় নেই।


PXL_20221114_162720666_copy_1034x739.jpeg

গঙ্গার ঘাটে চুপচাপ বসে থাকার আনন্দ আমি অন্য কিছুতে খুঁজে পাই না। ঘাটে আসা সবাই যেন মা গঙ্গার পাশে বসে অদ্ভুত প্রশান্তি খুঁজে পায়। যেমনটা আমি। ঘাটে বসেই মানুষ দেখি, আকাশ দেখি আর দেখি গঙ্গায় বয়ে চলা জল। তেমনি এক বিকেলে বসে আকাশ দেখছি। আকাশ দেখে মনে হলো আকাশ যেন দুটো আলাদা আলাদা রঙে ভাগ হয়েছে। কোথাও নীল আবার কোথাও বা হলদে।


PXL_20221225_182638344_copy_951x850.jpeg

খাবারের মধ্যে প্যাটার্ন তৈরী হলে আমার দেখতে বেশ মজা লাগে। যেমনটা আমার তোলা এই মিষ্টি লবঙ্গে এসেছে। লবঙ্গ খেতে বেশ মজার। প্যাঁচে প্যাঁচে রস লুকিয়ে থাকে যে। কামড় দিলে অল্প রস মুখে আসে আর মুচমুচে ময়দার লেচি। আহা। পাহাড় প্রমান লবঙ্গের পসার দেখে অল্প লোভ লেগেছিলো বটে তবে নিজের ইচ্ছেকে উপেক্ষা করে নিয়েছিলাম। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আমার ইচ্ছের মতো আপনারাও লবঙ্গের পাশে উঁকি মারা গজার থালাকে উপেক্ষা করবেন 😁।


PXL_20220623_175449619_copy_1050x750.jpeg

ব্লগের শুরুটা করেছিলাম সূর্যাস্ত এর ছবি দিয়ে আর শেষ টাও করবো সেই সূর্যাস্ত দিয়েই। তবে শেষের সূর্যাস্তটা শহরে তোলা। শহর বলতে কলকাতা। পাঁচতলার ছাদে দাঁড়িয়ে দেখি অন্য সব হাই রাইসের মাঝ দিয়ে সূর্য্য দিনের মতো পশ্চিমে অস্ত যাচ্ছে। হাই রাইসের ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো ঠিকরে আসছে।শেষ বারের মতো। আবার ফিরে আসা ১২ ঘন্টা পরে।


Device: LGE LM-G850
Location: West Bengal, India



IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Sort:  
 2 years ago 

দাদা আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। সত্যি দাদা গাছটার দেহে প্রাণ নেই, তবু বেঁচে থাকার ইচ্ছে। আসলে দাদা মিষ্টি লবঙ্গ দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। গঙ্গার ঘাটের আনন্দ অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না হা হা হা।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

মিষ্টি লবঙ্গ ছোটবেলায় খুব খেতাম। তাই লবঙ্গ দেখলেই জিভে জল চলে আসে।

 2 years ago 

আপনার এই বিষয়টা ভালো লাগলো প্রতিটা ছবি এক এক করে জমিয়ে রেখেছেন। আসলে বিভিন্ন ধরনের ছবিগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগলো। শরতের আকাশটা দেখতে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। বর্ষাকালের ছবিটার মধ্যে মেঘ গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লেগেছে। এছাড়াও গাছটা আরো বেশি সুন্দর লেগেছে। খাবারের ছবি দেখে তো আরো বেশি খিদে পেয়ে গেল। মনে হচ্ছে একটা খেয়ে দেখি। সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ এলোমেলো ফটোগ্রাফি সাজালেন।

 2 years ago 

আমরাও ইচ্ছে করছিল কিন্তু ইচ্ছেকে দমন করে ছবি তুলেই শান্ত থাকলাম।

 2 years ago 

আপনার ফোটোগ্রাফি দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। একদম আসল ফটোগ্রাফারদের মতো।কী সুন্দর!সব কটা ফটো। কোনটা কোনটার থেকে কম যাচ্ছে না। তবে একটা জিনিস অনেক মজার আবার আপনি সেই এক্সপো মেলার একটা মিষ্টির প্যাটার্ন এর ফোটো তুললেন।সব মিষ্টি জিনিস এর প্রতি আপনার গভীর ভালোবাসা এটা অনেক মজার।

 2 years ago 

প্যাটার্ন দেখতে আমার বেশ লাগে। অনেকটা হিপনোটাইজড হয়ে যাই। হাঃ হাঃ

 2 years ago 

😁😁😁

 2 years ago 

দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে দারুন লেগেছে। আপনি এক এক করে ছবি তুলে জমিয়ে রাখেন, খুব ভাল তো। আজ বেশকিছু ছবি একেক সময়ের শেয়ার করলেন।শরতের সন্ধ্যার আকাশ দারুন লেগেছে।বর্ষার কলকাতা রাস্তা পারাপার করার সময়ের ফটোগ্রাফি ও দারুন লাগলো।আপনি ছবির নিচে বর্ননা তুলে ধরাতে আরো বেশী আকর্ষনীয় লাগলো।বাকি ছবিগুলোও খুব সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

বর্ষা আমার প্রিয়। সে কলকাতার হোক কিংবা গ্রামের। বর্ষা হলেই হলো।

 2 years ago 

দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি অপলক নয়নে তাকিয়ে রয়েছি। এত চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন যেটি দেখে চোখ সরানো যাচ্ছে না। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির এঙ্গেল আবার কালার কম্বিনেশন, সবটাই যথাযথ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ধন্যবাদ নেভলু দা 🙏

 2 years ago 

দাদা আপনি যেমন ছবি জমিয়ে রেখে এক এক করে পোস্ট করেন।আমিও একই কাজ করি আর আমার মনে হয় সবার ক্ষেত্রেই এরকম ব্যাপার।আপনি খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন।প্রতিটি ক্যাপচার জাস্ট অসাধারণ ছিল দেখতে।ধন্যবাদ এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ভালো ছবি তুলতে পারিনা তাই ছবি জমিয়ে রাখি।

 2 years ago 

দাদা আপনার এলোমেলো আলোকচিত্রগুলো যেমন সূর্যাস্ত দিয়ে শুরু হয়েছিল। এবং শেষ ও হয়েছে সূর্যাস্ত দিয়ে। দুটো ফটোগ্রাফি কিন্তু আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।বিভিন্ন সময়ের জমিয়ে রাখা ফটোগ্রাফি গুলো আজ আপনার ব্লগে দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।♥♥

 2 years ago 

সূর্যোদয় দিয়ে শুরু হয়ে সূর্যাস্ত দিয়ে শেষ হলে বেশি ভালো হতো। আসলে সকালে ঘুম ভাঙ্গে না।

 2 years ago 

তাই বুঝি♥♥

 2 years ago (edited)

সবগুলো ছবিই বেশ অসাধারণ দাদা।আমার কাছে প্রথম ছবি বেশ দারুন লেগেছে। আমি চেষ্টা করবো তো এইটার একটা ডিজিটাল আর্ট করতে।কালার টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।এত ছবির মাঝে দাদা খাবারের ছবি লোভ লাগিয়ে দিলেন।আহা আমার এখন খেতে ইচ্ছে করছে😉।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

 2 years ago 

ঠিক তো। দারুন বুদ্ধি দিলেন। ডিজিটাল আর্ট বানানো যায় ওটার। এইবার ডিজিটাল আর্ট করা শিখতে হবে।

 2 years ago 

কোনটা রেখে কোনটার বেশি প্রশংসা করব বুঝতে পারছি না দাদা! প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। শরতের আকাশ, বর্ষার সময় তোলা কলকাতা শহরের প্রাণহীন বৃক্ষ, গঙ্গার অথৈ জলের দৃশ্য সবগুলো ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর করে করেছ । গজার থালার কথা আর আলাদা করে কি বলবো দাদা !এই রাতের বেলায় কমেন্ট করতে গিয়ে খিদে পেয়ে গেছে তোমার এই ফটোগ্রাফিটি দেখে।

 2 years ago 

গজার প্রতি আসক্তি আছে জেনে ভালো লাগলো। গজা খেতে হেব্বি। 😁

 2 years ago 

যত বেশি গজা, ততো বেশি মজা! 🤭

 2 years ago 

ভালই তো আপনার ফটোগ্রাফি দেখে তো আমরা বছরের সবগুলো সময় কে দেখতে পেলাম। আমি তো ছবিগুলো আমাদের জন্যই রেখেছেন বলে মনে হচ্ছে। খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম দাদা।

 2 years ago 

সবগুলো সময়ের স্মৃতি জমে আছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58363.73
ETH 2484.43
USDT 1.00
SBD 2.39