পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : উত্তমাশা ক্লাব
নমস্কার বন্ধুরা,
সংকেত ক্লাবের আমেরিকান গভর্নর হাউসের আদলে মন্ডপ দেখে বেরিয়ে চলে গেলাম পুজো পরিক্রমায় আমার পরের গন্তব্য উত্তমাশা ক্লাবের দিকে। উত্তমাশা ক্লাবের পুজো মূলত উত্তমাশা হাই স্কুলের মাঠ ঘিরে করা হয়। সংকেত ক্লাব থেকে অলি গলি দিয়ে মাত্র পাঁচশ মিটার দূরে থাকা উত্তমাশা ক্লাব রাস্তার ঠিক পাশেই পুজো মন্ডপ বানায়। স্কুলের মাঠে পুজো হয় সেজন্য তাদের জায়গার যেমন অভাব নেই তেমনি তাদের পুজোতে ভিড়ও হয় সমানে। সংকেত ক্লাব থেকে হাঁটতে হাঁটতে যখন উত্তমাশা ক্লাবে পৌঁছলাম তখন সেখানে ভিড় অল্পই ছিল। আসলে ঘড়িতে তখন রাত ১০:৩০ বাজে। উত্তমাশা ক্লাবের পুজো কমিটি এবার তাদের পুজোর ভাবনা হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছে, "ফিরে দেখা শৈশব"।
উত্তমাশা ক্লাবটি উত্তমাশা স্কুলের গায়ে লাগোয়া হওয়ার জন্য স্কুলের প্রচ্ছন্ন প্রভাব এবার তাদের পুজোর ভাবনাতে স্পষ্ট ছিলো। আমাদের শৈশবের অনেকটা সময় আমরা স্কুলের সাথে জড়িয়ে থাকি সেই গুলোকেই এবার উত্তমাশা ক্লাবের পুজোতে মূল বিষয়। আমাদের শৈশবে আমদের হাতেখড়ি থেকে শিক্ষার গোড়াপত্তন হয় প্রাইমারি স্কুল থেকে। আর এই বিষয়টিকেই তাদের পুজোর মাধ্যমে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। যেখানে তারা আমাদের শৈশব আবার একবার ফিরে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা আমাদের শৈশবকাল কেমন কাটিয়েছি এবং পড়াশোনার কিভাবে শুরু করেছি সেটারই একটা ধারণা তাদের পুজো মন্ডপ জুড়ে ফুটে উঠেছে।
পুজো মণ্ডপের সামনে অল্প ভীড়ের সাথে গুটি গুটি পায়ে উত্তমাশা ক্লাবের মন্ডপের ভেতরে ঢুকে পড়লাম। মন্ডপের বাইরের সজ্জা তেমন চমকালো না হলেও শৈশবের ঘুড়ি ওড়ানোর দিকটা এবং যেভাবে আমরা পাড়ায় খেলাধুলো করতাম সেটা দিকটা তুলে ধরা হয়েছে। মণ্ডপের বাইরের সজ্জার মতোই মণ্ডপের অন্দর সজ্জার মাধ্যমে শৈশব কালের নানান দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন কবিতার মাধ্যমে শৈশবকালে যেভাবে কাটিয়েছি সেটা তুলে ধরা হয়েছে। আর মন্ডপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টা হলো মণ্ডপের ঠিক মাঝখানে থাকা পাথরের বিশাল মাপের স্লেট। যেটি আমরা প্রায় প্রত্যেকেই কম বেশি ব্যবহার করেছি তবে বর্তমান সময়ে পাথরের স্লেট পরিবর্তে জায়গা নিয়েছে প্লাস্টিকের স্লেট। আমরা পাথরের স্লেটে "অ আ ক খ" বর্ণমালার শিক্ষা পেয়েছি।
পুজোর ভাবনার সাথে মিল রেখে উত্তমাশা ক্লাবে মা দুর্গার প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন জননী রূপে।শৈশবে যেভাবে আমরা মাতৃ কোলে বড় হয়েছি, মায়ের হাত ধরেই হাতেখড়ি দিয়েছি। এখানে মা দুর্গাকে সেই মাতৃরূপেই পূজিত হয়েছেন।
দাদা নমস্কার,
বিগত পোষ্ট গুলো তেও আপনার করা পুজোর পরিক্রমা পর্ব ব্লগ গুলো দেখেছি ৷ আজকে উত্তমাশা ক্লাব এর পুজো নিয়ে শেয়ার করেছেন ৷ সবকিছু ঠিকঠাক ছিল তবে সবচেয়ে ভালো লাগলো মা দুর্গা কে মাতৃরুপে থিম তৈরি করেছে ৷ সবমিলে অনেক ভালো লাগলো দাদা ৷
দাদা আপনি গত বছরের দূর্গা পূজায় তো দেখছি অনেকগুলো ক্লাব ঘুরে ঘুরে পূজার আয়োজন দেখেছিলেন। অন্যান্য পর্ব গুলোর মতো এই পর্বটিও বেশ উপভোগ করেছি। উত্তমাশা ক্লাব বেশ ভালোই আয়োজন করেছে দেখছি। বিশেষ করে তাদের থিমটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। ছোটবেলা পাথরের স্লেটে কতো লিখেছি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
উত্তমাশা ক্লাবের পুজোর এবারের থিম "ফিরে দেখা শৈশব" যেটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো দাদা। বিশেষ করে আমাদের শৈশবের বিভিন্ন স্মৃতি যেমন স্কুল জীবন, ঘুড়ি উড়ানো, পাড়ায় খেলাধুলো করা ইত্যাদি অনেক কিছুই এখানে তুলে ধরা হয়েছে। এই ব্যাপার গুলো অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিল। তাছাড়া উত্তমাশা ক্লাবে মা দুর্গা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন জননী রূপে, যেটা একেবারে ইউনিক মনে হলো আমার কাছে।