আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ : পর্ব ১২
নমস্কার বন্ধুরা,
আমেরিকান স্টল ভালো না হলেও রাশিয়ার স্টল আমাকে বেশ উৎফুল্ল করে তুলেছিল। তার ঠিক উল্টো পাশে যে স্টলটিতে গেলাম সেটা শুধুমাত্র বিদেশি স্টল গুলোর থেকে একদম ভিন্ন নয় সেটা আসলে অনন্য ছিলো। সেই স্টলটি ছিলো ইতালির। কলকাতা বইমেলায় তারা যে তাদের সাংস্কৃতিক দিকটা তুলে ধরতে এসেছে এবং তা যে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব সেটা স্টলে ঢুকে বুঝতে পারলাম। রাশিয়ার স্টল থেকে বেরিয়েই উল্টো পাশে ইতালির স্টল দেখে প্রথমে যাবো কিনা ভাবছিলাম। কারণ প্রায় সবকটি বিদেশি স্টলে গিয়ে নিরাশ হয়েছি তার উপর বাইরে থেকে ইতালির স্টলের ভেতরটা ফাঁকা লাগছিলো। দনামনা করে শেষ পর্যন্ত ঢুকেই পড়লাম। এবং আমার সেই কয়েক মুহূর্তের ডিসিশন ইতালি স্টলের ভিতরে সঠিক প্রমাণ হলো।
বইমেলায় এতক্ষণ পর্যন্ত যতগুলো স্টল দেখেছিলাম তার থেকে ইতালির স্টলটা ছিল একদমই আলাদা। যেখানে বইমেলায় দেশের স্টলগুলোতে বই ছিলো, যে কারণে বইমেলা। সেখানে বিদেশি স্টলগুলোতে ছিল সেখানে পড়তে যাওয়ার বিজ্ঞাপন এবং তাদের ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞাপন। ইতালি তথাকথিত বইয়ের স্টল বা বিজ্ঞাপন থেকে নিজদের আলাদা করেছে। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি মাইক্যালঞ্জেলোর দেশ ইতালির স্টল ছিলো সম্পূর্ণ ছবিতে ভর্তি। ছবিগুলো আর কিছুই নয় বিভিন্ন বইয়ের ইলাস্ট্রেশন।
পুরো স্টল জুড়েই টাঙানো রয়েছে বইয়ের ইলাস্ট্রেশন। সেখানে নানান ইতালিয়ান লেখকদের দ্বারা রচিত ভারত সংক্রান্ত নানান বইয়ের চিত্র এবং গল্পের কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে। যেটা আসলেই অত্যন্ত ইউনিক। কারণ বইমেলায় যেমন বইও দেখলেন এবং বই সম্পর্কে আপনার একটা ছোট ধারণাও হলো। তার সাথে উপরি পাওনা হিসেবে দেখতে পেলেন খুব সুন্দর ইলাস্ট্রেশন।
৪৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এতগুলো স্টলের মধ্যে ইতালির স্টলটাই ছিল অন্য ধারার। যেটা অন্যান্য সব বিদেশি স্টল গুলোকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
বাহ্! তাহলে এতো দেশের স্টল ঘুরাঘুরি করে নিরাশ হয়ে, শেষ পর্যন্ত ইতালির স্টল দেখে আপনার মনটা ভরে গিয়েছে দাদা। আসলে বইমেলার মূল উদ্দেশ্য তো এটাই। সেটা না করে বিভিন্ন দেশের স্টল গুলোতে শুধু সেই দেশের ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞাপন আর বিজ্ঞাপন। ইতালির স্টলটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো দাদা। বিভিন্ন বইয়ের ইলাস্ট্রেশন বেশ উপভোগ করলাম। সবমিলিয়ে দারুণ লাগলো এই পোস্টটি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।