পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টি দুর্গা পুজা কমিটি
নমস্কার বন্ধুরা,
মধ্য কলকাতার প্রধান তিন দুর্গাপুজো দেখে নিয়ে উত্তর কলকাতার দিকে এগিয়ে গেলাম। আদপে পুরো উত্তর কলকাতা জুড়ে নানান ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং সেগুলো দেখতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে তাই পঞ্চমীর রাত বাড়ার আগেই মধ্য কলকাতা পুজো পরিক্রমা শেষ করে উত্তর কোলকাতার পুজো পরিক্রমা শুরু করে দিলাম। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো দেখে সোজা চলে আসলাম মানিকতলার মোড়ে। সেখান থেকে অল্প হেঁটেই পৌঁছে গেলাম মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টির দুর্গা পুজা কমিটির পুজোতে।
প্রয়োজন ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার তাগিদে মানব জাতি অনেক সামগ্রী আবিষ্কার করেছিল যা আমাদের সাবলীল জীবন ধারণ করতে অত্যন্ত সাহায্য করে। নিজ মেধা কাজে লাগিয়ে মানবজাতির সেই আবিষ্কার আজ অনেকটাই অবলুপ্তির পথে। আসলে আমরা ধীরে ধীরে গ্রাম থেকে শহরকেন্দ্রিক হয়ে পড়ার জন্য যে সকল জিনিসপত্র আমাদের গ্রাম্য জীবন যাপনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল আজ তা অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ছে। বর্তমানে যারা দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় প্রজন্ম শহরে বসবাস করছে তারা গ্রামের জীবনে সেই সব অবিচ্ছেদ্য সামগ্রী গুলোকে ভুলে গেছে। সেই অজানা জিনিস গুলোকে সবাইকে চেনানোর জন্যই এবার চালতাবাগান লোহাপট্টির মূল ভাবনা। সেই থেকে ৮১ তম বছরে পদার্পণ করা ঐতিহ্যবাহী মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টির থিম "অজানা কে জানা"।
মানিকতলার মোড় থেকে হেঁটে যখন চালতাবাগান লোহাপট্টিতে পৌঁছলাম তখন দূর থেকে গুটি কয়েক মানুষের ভিড় মনে হয়েছিলো কিন্তু কাছে যেতে সেই ভুল ভেঙে গেল। মণ্ডপে ভিড়ে রীতিমতো দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না, শুধুমাত্র আলোকসজ্জার জন্য ভিড় নজরে আসছিল না। মন্ডপের কাছে যেতে পুজোর থিম সম্পর্কে ধারণা পরিস্কার হলো। মন্ডপ বানানো হয়েছে শোয়ানো ঢাকের মতো। আর তার সজ্জা হয়েছে কুলো দিয়ে। মণ্ডপের আশপাশ গ্রামবাংলার বিভিন্ন ধরনের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ভেতরের কাজ হয়েছে রংবেরঙের গরুর গাড়ির চাকা ব্যবহার করে।
সবের মাঝে জগতজননী মা দুর্গা, যিনি রয়েছেন ঘরের মেয়ে রূপে। তিনি লুপ্তপ্রায় অজানা অতীতকে আবার আমাদেরকে চিনিয়ে দিচ্ছেন।
দাদা আপনি ঠিকই বলেছেন, বর্তমান প্রজন্মের সকলে ধীরে ধীরে গ্রাম থেকে শহরকেন্দ্রিক হওয়ার কারণে গ্রামীণ জীবনের ঐতিহ্যকে ভুলতে বসেছে। আর সে দিক থেকে মানিকতলা চালতা বাগান লোহা পট্টি দুর্গাপূজা কমিটি গ্রামীণ জীবনের ঐতিহ্যকে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। যা দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা, পুজো পরিক্রমায় মানিকতলা চালতা-বাগান লোহা পট্টি দুর্গাপূজা কমিটির সুন্দর এই আয়োজনটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
যারা শহরেই জন্মেছে তাদেরকে গ্রাম্য জীবনের সম্পর্কে জানা উচিত, সেটাই করেছে লোহাপট্টির পুজো।
দাদা আপনার পুজোর পোস্ট পড়তে গিয়ে কতশত পুজো মন্ডবের নাম যে শুনলাম। যাক তবুও আপনার মাধ্যমে বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি তো দেখতে পেলাম। সেই সাথে জানতে পারলাম অনেক অজানা তথ্য। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আরো জানতে পারবেন দিদি!! তবুও কতো যে মন্ডপ বাদ গেছে তার ইয়ত্তা নেই।
দাদা এবারের দুর্গা পূজাতে আপনি বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন পূজা দেখতে। এই পর্যন্ত দুর্গা পূজার যতটা পোস্ট দেখেছি, প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুণ লেগেছে আমার কাছে। যাইহোক মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টির দুর্গা পূজা কমিটি তো দারুণ আয়োজন করেছে। তাদের থিমটা ও চমৎকার "অজানা কে জানা"। তারা মন্ডপের মধ্যে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন ধরনের চিত্র চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। এমন আয়োজন দেখতে তো প্রচুর ভিড় হওয়াটা স্বাভাবিক। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম সম্পূর্ণ পোস্টটি। যাইহোক বরাবরের মতো আজকেও চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শহরে জন্মানো প্রজন্ম অজানাকে কিছুটা জানতে পারলো। কি বলেন ভাই?
অবশ্যই এই আয়োজনের মাধ্যমে শহরে জন্মগ্রহণ করা মানুষজন,বিশেষ করে ইয়াং জেনারেশন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। যাইহোক ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।