চশমার ভবলীলা সাঙ্গ // ১০% লাজুক 🦊-কে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার,

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই এমন একটা কান্ড ঘটবে সেটা সত্যিই ভাবি নি। আসল ঘটনাটা বলছি, ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে ব্যবহার করার চশমাটা সবে নাকে চড়িয়ে বাথরুমের দিকে পা বাড়িয়েছি। দু পা এগোতেই চশমার কাঁচগুলো আপনাআপনিই চোখ থেকে পাকা মেঝেতে গড়িয়ে পড়লো। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই এমন দুর্ঘটনা ঘনিয়ে আসবে সেটা খুবই অপ্রত্যাশিত ছিলো। যদিও চশমার ফ্রেমটা আমি প্রায় বছর দুয়েক থেকে ব্যবহার করছি কিন্তু নতুন কাঁচ গুলো গতবছরেই লাগানো। প্রতিনিয়ত বাড়িতে ব্যবহার করে ফ্রেমটা বেশ দুর্বল হয়েছিলো সেটা অস্বীকার করবার জায়গা নেই কিন্তু ওই যে পুরনো চশমার প্রতি আলাদা মায়া-মমতা জন্মে যায় সেটা থেকেই আমার মনটা খারাপ হয়ে গেলো।

সত্যি কথা বলতে চশমাটার প্রতি আমার নিজের মায়া-মমতা যতটা না ছিলো তার থেকে আমার নাকের ভালোবাসা ছিলো অনেক বেশি। আদপে সব ধরনের চশমা আমার নাকে মানানসই হয় না তাই যে চশমার উপরে একবার নির্ভরশীল হয়ে যাই সেটা ছাড়তে খুব কষ্ট হয়।

কাজে তো বেরোতেই হয় তাই মনটা খারাপ নিয়েই বাড়ি থেকে বেরোলাম, বাইরের সর্বক্ষণের সঙ্গীটিকে নাকে জড়িয়ে। সারাদিন নানা কাজে দৌড়াদৌড়ি শেষ করে গেলাম নতুন চশমা বানাতে। সোজা গেলাম কলকাতার বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিটে। বউবাজারের ও লালবাজারের মাঝে ৪০০-৫০০ মিটার রাস্তা জুড়ে প্রায় তিনশত চশমার দোকান। ছোট ছোট চশমার দোকান থেকে শুরু করে ব্র্যান্ডেড চশমা, সব কিছু সম্ভার এক জায়গায়। আমার নির্দিষ্ট একটি দোকান আছে আমি সোজা সেখানেই হাঁটা দিলাম। দোকানটির নাম বেশ সুন্দর, সরস্বতী অপটিক্যাল।

ভাঙা চশমাটা দোকানদার জ্যেঠুটির হাতে দিতেই উনি অবাক! উনি বলে উঠলেন, কদিন আগেই তো ঠিক করিয়ে নিয়ে গেলে ভেঙে ফেললে কি করে? আমি ঘটনা বলতে উনি হেসে কাঁচের মাপের বেশ কয়েকটা ফ্রেম বের করে দিলেন।

সব কটি ফ্রেম চোখে লাগিয়ে দেখে শুনে একটা ফ্রেম পছন্দ করেই ফেললাম। আবার সেই গোল ফ্রেম, ঠিক আমার মতো 😁। যদিও কাঁচ যেমন হবে ফ্রেম তেমনই হবে। মিনিট দশেক দাঁড়াতেই জ্যেঠু আমার নতুন চশমা বানিয়ে দিলেন, আমিও চশমাটা ব্যাগে পুরে জ্যেঠুর কাছ থেকে বিদায় নিলাম।





Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  

আসলেই পুরনো জিনিসের প্রতি সকলেরই কিছু মায়া-মমতা থাকে। পুরোনো জিনিস গুলো সাধারণ হয়ে গেলেও সেগুলো ফেলে দিতে ইচ্ছা করেনা। তখন সেগুলোর প্রতি আরও যত্ন বেড়ে যায়। যদি আপনার মায়া-মমতা যুক্ত চশমাটি ফ্রেম ভেঙ্গে গেল সত্যিই অনেক খারাপ। কিন্তু বাস্তবতা সবাই চিরদিন থাকে না। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

সবাই চিরদিন থাকেনা, কথাটা মারাত্মকভাবে সত্যি।

 2 years ago 

আসলেই একদম গোল প্রেম আপনার মতই হাহাহা। তবে সত্যিই আপনার লেখা পড়ে একটা সময় খুব খারাপ লাগছিল চশমাটা এভাবে অপ্রত্যাশিত ভাবে ভেঙে যাওয়া টা মোটেও উচিত ছিল না। আসলেই একটি পছন্দের জিনিস ভেঙে গেলে অনেক খারাপ লাগে। যাইহোক এখন যে চশমাটি নিয়েছেন সেটিও আশাকরি আপনার পছন্দের চশমা হয়ে উঠবে।

 2 years ago 

নাকে তুলতেই ভেঙে গেলো! প্রথমে খুব খারাপ লেগেছিলো, কিন্তু আরেকটা ফ্রেম থাকায় দুঃখটা কমে গেলো

 2 years ago 

আসলেই পুরোনো চশমার প্রতি অন্যরকম একটা মায়া কাজ করে।তাছাড়া নতুন চশমায় এডজাস্ট করতে বেশ সময় লাগে।যাই হোক দাদা আপনার নতুন চশমার ফ্রেমটা বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন, এডজাস্টমেন্ট ঠিক হতে ৫-৬ দিন লাগে সেই সময়টা বেশ বিরক্তিকর।

 2 years ago 

সত্যিই বলতে কি একটা জিনিস ব্যবহার করতে করতে এই জিনিসটা উপর কেমন জানি মায়া বসে যায়। যদিও তা পুরাতন হয়ে গেলও নতুন একটা দিয়ে ও ওই পুরাতন টার অভাব পূরণ করা সম্বভপর হয়না।যাইহোক আপনার নতুন চশমার ফ্রেমটা দেখতে অনেক সুন্দর ছিলো।

 2 years ago 

কাঁচ গুলো গোল ছিলো তাই গোল ফ্রেম নিতে হলো। পরের বার থেকে চারকোনা ফ্রেম বানাবো।

 2 years ago (edited)

কী অপূর্ব গোল আপনার খুব প্রিয়।যে কোন জীনিস হোক না কেন বেশী
দিন ধরে ব্যবহার করলে তার প্রতি মায়া হয় যেমন আপনার চশমা র প্রতি মায়া। আপনার এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এর জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

 2 years ago 

গোল ফ্রেম ভালোই লাগে তবে এবার বাধ্য হয়েই নিলাম। আগের চশমাটা নাকের সাথে ভালো সেট ছিলো তাই মায়া জড়িয়ে গিয়েছিলো

 2 years ago 

আপনার চশমা তো তাও আপনার হাতে ভাঙ্গে। নিজের চোখে অন্তত দেখেন ঘটনা কি ঘটলো।আর আমার গুলো তো নুয়াইরা বেশ সুন্দর ভাবে ভেঙ্গে রেখে দিয়ে যায়।

 2 years ago 

আমার হাতে নয় আমার নাকে 😁🤪।

বাচ্চাদের দেখলেই আমি খুব সাবধানে থাকি, চশমার উপরে বাচ্চাদের অদ্ভুত আকর্ষণ।

 2 years ago 

হুট হাট এভাবে চশমার গ্লাস গুলো পড়ে গেল বিষয়টা কেমন লাগলো। কোনো আঘাত ও পাইনি।
আসলে একটা জিনিস অনেক দিন ব্যবহার করলে তার প্রতি একটা মায়া পড়ে যায়। হোক সেটা পুরনো।
তবে সব শেষে এটা বলবো পুরান গেলে নতুন আসে।
নতুন কিছু হাতে আসা ও একটা ভালো কিছু।

 2 years ago 

বয়সজনিত কারণ হবে 🤣।

নতুন কিছু কিনলে প্রথম প্রথম দারুনই লাগে।

 2 years ago 

চশমার ভবলীলা সাঙ্গ দারুণ বলেছেন দাদা।সত্যিই একটি জিনিস বহুদিন ধরে ব্যবহার করলে তার প্রতি একটু মায়া জন্মে।আর হোক না সেটা সামান্য তবুও কিছু হলে খুবই মন খারাপ হয়ে যায়।মায়া বড়োই অদ্ভুত।তবুও ভালো আপনি নতুন চশমা বানিয়ে নিয়েছেন, ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

বানিয়ে নিতেই হবে, আমার ২৪ ঘন্টার সঙ্গী। আর কোনো উপায় নেই।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56477.82
ETH 2390.38
USDT 1.00
SBD 2.33