আহিরীটোলা ঘাটে কিছুক্ষন

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

GridArt_20221125_221629600_copy_1228x818.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,

কলকাতা এসে আহিরীটোলা ঘাটে যাইনি তা কোনো বার হয়না। আগে আমি মাঝে মধ্যে সময় পেলেই আহিরীটোলা ঘাটে চলে যেতাম। বেশি সময়টা একা একাই। আসলে ঘাটে গেলে আমার মধ্যে একটা অদ্ভুত প্রশান্তির কাজ করে। আর তাছাড়া আহিরীটোলা ঘাটের সাথে আমার কিছু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। সেটাও একটা কারণ বারবার ছুটে যাওয়ার। সাথে ভালো লাগাটা উপরি।

রবিবারের বিকেলে বিশেষ কাজকর্ম নেই তাই ঠিক করলাম দুপুর দুপুর করে আহিরীটোলা ঘাটের দিকে যাবো। সঙ্গী কেউ নেই তাই একা চলে গেলাম। দুপুর বেলায় বাড়ি থেকে বেরোলেও ঘাটে পৌঁছতে সেই বিকেল হয়ে গেলো। পড়ন্ত বিকেলের রোদ গায়ে লাগিয়ে ঘাটের এক কোণায় বসলাম। গঙ্গায় সব সময় জোয়ার ভাঁটা লেগেই আছে। আমি যখন পৌঁছলাম তখন গঙ্গায় ভাঁটা চলছে।

PXL_20221113_162720666_copy_1187x890.jpeg

বিকেলের ঘাট

গঙ্গার ঘাটে বসে সময় যে কিভাবে কেটে যায় যেন বুঝতেই পারি না। ঘাটে এক ঘন্টাও যেন দশ মিনিটের সমান। আমার সময়ের খেয়াল হলো, গঙ্গার জল দেখে। বিকেল চারটের সময় ঘাটে বসেছি তার পর যখন ঘড়ি দেখলাম ততক্ষনে এক ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। যখন গিয়ে পৌঁছেছি তখন সূর্য পশ্চিমে অস্ত যাবে যাবে করছে আর যখন সময়ের খেয়াল হলো তখন সূর্য প্রায় অস্তমিত। আসলে সূর্যের গেরুয়া আভা গঙ্গার জলকে লাল করে দেওয়ার পরেই আমার সময়ের খেয়াল হলো।

PXL_20221113_171359611_copy_1209x907.jpeg

সন্ধ্যার ঘাট

কলকাতার আবহাওয়া গরম হওয়ার সুবাদে গঙ্গার ঘাটে বিশেষ হাওয়া গায়ে লাগে না সেই সুযোগ নিয়ে আমি হাফ জামা গায়ে দিয়ে এসেছিলাম। সন্ধ্যা হতেই যখন অল্প গলা শিরশির করা শুরু করলো তখন বাধ্য হয়ে ঘাট থেকে উঠেই পড়লাম। ঘাট থেকে উঠে সোজা গেলাম বাবা ভূতনাথের ধামে। রবিবারের দিন হলেও ধামে ভক্ত সমাগম ভালোই ছিল।

PXL_20221113_202020632_copy_1209x907.jpeg

ভূতনাথ ধাম

বাবা ভূতনাথের আশীর্বাদ নিয়ে চললাম চা খেতে। বলা যায় চা খেতে যাওয়ার জন্য বাধ্য হলাম। আবহাওয়া গরম হওয়ার কারণে ভেবেছিলাম গঙ্গার হাওয়া গায়ে লাগবেনা কিন্তু কখন যে হাওয়া লেগে গেলো বুঝতে পারেনি। ভূতনাথ ধামের একটু দূরেই একটা বেশ পুরনো চায়ের দোকান আছে সেখানে চা হাতে দাঁড়িয়ে পড়লাম।

PXL_20221113_172722017_copy_936x669.jpeg

PXL_20221113_172730390_copy_835x597.jpeg

চা

চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার সাথে সাথে গলায় বেশ আরাম হলো আর মনে হল চায়ের সাথে টা না হলে জমে না তাই দোকানের খাস্তা নিমকিও নিয়ে নিলাম। তাছাড়া দুপুরের খাওয়ার পরে সন্ধ্যেবেলায় একটু খিদে পেয়ে গিয়েছিলো। চা-নিমকি সাবরে খুব সুন্দর এক সন্ধ্যা কাটিয়ে ফের রওনা দিলাম ঘরের উদ্দেশ্যে।




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Sort:  
 2 years ago 

কলকাতা আহিরীটোলা ঘাট দেখতে অসাধারণ লাগছে দাদা।কিসের টানে এই আহেরীটোলা ঘাটে বারবার ছুটে যান সেই বিষয়টা একদিন শেয়ার করলে ভালো লাগবে হা হা হা।চায়ের কালার টা দেখে বুঝা যাচ্ছে খুব জমিয়ে খাওয়া যাবে দাদা।

 2 years ago 

নদীর পাড়ে গেলে চমৎকার সময় কাটে। আপনি আহিরীটোলা ঘাটে গিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। চা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। চায়ের কাপ দেখতে অনেক সুন্দর। দাদা আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

 2 years ago 

অবসর সময়ে ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালোই লাগে। কলকাতার আরোহীটোলা গঙ্গা নদীর ঘাট টি দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। বাবা ভূতনাথের আশির্বাদ নিয়ে, চা তো ভালোই পান‌ করলেন। সুন্দর পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

নামটার মধ্যেই একটা ব্যাপার আছে,জায়গাটাও বেশ সুন্দর।আসলেই ভালো লাগার মতো😊।
ছবিগুলো সুন্দর ছিল।এমন জায়গা দেখলে আফসোস হয়,জীবনে অনেক কিছু দেখা বাকি-জানা বাকি।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

আমার এক বান্ধবীর বাড়ি শালকিয়াতে ছিল। সে যখন ইউনিভার্সিটিতে আসতো সে আহিরীটোলা থেকেই আসতো। ওর কাছে আমি আহিরীটোলার কাউন্টার থেকে নেওয়া ট্রেনের টিকিট দেখেছিলাম।যেটা সেই আগেকার দিনে যে কাগজবোর্ড কেটে,ছোট ছোট টিকিট বানাত সেরকম টিকিট।আপনার এই পোস্টটা দেখে সেই কথাগুলো মনে পড়ে গেল। আর ঘাটের সৌন্দর্য সত্যিই অসাধারণ।ও আমাকে একদিন বলেছিল সন্ধ্যেবেলা আসিস কখনো। দেখবি কত ভালো লাগে।কিন্তু আমার বাড়ি থেকে বেশ দূর।যাইহোক আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখে নিলাম।

 2 years ago 
অহিরীটোলা ঘাটের দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ। বিশেষ করে সন্ধ্যার ঘাটের ছবিটি অসাধারণ লাগছে দেখতে। কি সুন্দর আকাশ। এরকম জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলেও মন ভরবে না মনে হচ্ছে। আপনার চা এর ছবি দেখে আর নিমকি খাস্তার কথা শুনে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। বাকি ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।
 2 years ago 

দাদা,পোস্ট টা সবেমাত্র পড়ে শেষের দিকে আসলাম আর তখনই দিলেন তো মাথাটা ঘুরিয়ে। আমি আবার চা পাগল মানুষ। বাড়ির সবাই চা খোর বলেই ডাকে। আর আপনার পোস্টে হাতে রাখা চায়ের পেয়ালাটা মনে হয় আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। চায়ের কালারটা দেখেই তো লোভ লেগে যাচ্ছে, চায়ের সাথে আবার টা, আহা!! বড্ড মিস করছি। দাদা,আহিরীটোলা ঘাটে কাটানো সময়টুকুর মধ্যে আপনি খুব চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন তা দেখে বেশ ভালো লাগছে। বিশেষ করে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় সূর্যের গেরুয়া আভা গঙ্গার জলকে লাল করে দেওয়ার দৃশ্যটি খুবই মনমুগ্ধকর লাগছে। আহিরীটোলা ঘাটে কাটানো সময়টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।

 2 years ago 

তোমার মতো আমারও এমনটা হয়,গঙ্গার ঘাটে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটালে মনে অদ্ভুত এক প্রশান্তি কাজ করে।কিভাবে যেনো সময় কেটে যায়,বোঝাই দায়।
তবে আহিড়ীটোলা ঘাট আমারও বেশ প্রিয় একটা জায়গা।তুমি যে দোকান থেকে চা খেয়েছো, তার গায়ে লাগানো একটা লিট্টির দোকান আছে,অসাধারণ স্বাধ😁।যদি কোনোদিন টেস্ট না করে থাকো তবে একদিন ট্রাই করে দেখো,আশা করি ভালো লাগবে 😬।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 68014.74
ETH 3533.72
USDT 1.00
SBD 2.81