পায়ে পায়ে কলকাতা: পর্ব ১৬
নমস্কার বন্ধুরা,
গান্ধার স্থাপত্য শিল্প সূত্রপাত নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক রয়েছে, বিশেষ করে এর কার্য্যানুক্রম নিয়ে। সাধারণ ভাবে ধরে নেওয়া হয় খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে গান্ধার শিল্প কুশান রাজবংশের আমলে আত্মপ্রকাশ করে। এবং কনিষ্কের পৃষ্ঠপোষকতায় এটি সমৃদ্ধ লাভ করে। অনেকে আবার বলেন যে এটা কুশান রাজ বংশের আগে খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় অব্দে শুরু হয়। বিতর্ক চলতেই থাকবে কিন্তু এই গান্ধার শিল্পের সৌন্দর্যতা যেন যত এগিয়ে চলেছি তত বেড়েই চলেছে। কারণ এরপরে যে মূর্তিগুলো পরপর দেখতে থাকলাম সেগুলির মধ্যে গ্রিক স্থাপত্য কলার এক অদ্ভুত মিল পাওয়া যায়। বিশেষ করে দন্ডায়মান বোধি স্বত্বের মূর্তি এবং মৈত্রেয় মূর্তির মধ্যে।
প্রথম যে মূর্তিটি দেখলাম সেটি সত্যিই দন্ডায়মান এবং দাঁড়িয়ে থাকার জন্যই মূর্তির নাম দন্ডায়মান বোধি সত্ত্ব। আনুমান করা হয়েছে দ্বিতীয় খ্রিস্টাব্দে গান্ধারের তৈরি করা হয়েছে। লরিয়াল টাঙ্গাই অঞ্চল থেকে এই মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।
তারপরের যে মূর্তিটি দেখলাম সেটি ছিল মৈত্রেয়র। মূর্তিটি দেখলেই এর মধ্যে গ্রিক শিল্প কলার গান্ধার শিল্পকলার উপরে প্রভাবটা বেশি করে বোঝা যায়। গ্রিক শিল্পকলা সুন্দর ভাবে প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছে। যেখানে মৈত্রেয়র পোশাকের ধরন থেকে শুরু করে মাথার চুলের মধ্যেও গ্রীক ভাস্কর্য এর এক অদ্ভুত ছাপ রয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের আরেকটি মূর্তির মধ্যেও একই রকম ভাবে গ্রিক শিল্পের নিদর্শন দেখা যায়। যেখানে গৌতম বুদ্ধের বসবার অংশটিতেও পদ্মের আকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের মূর্তিটি দেখার পর পাশাপাশি অনেক রূপে গৌতম বুদ্ধের মূর্তি রাখা ছিল যেগুলো আলাদা করে বলবার কিছু নেই। কারণ সবার মধ্যেই গ্রীক শিল্পকলার প্রাধুর্য বেশি দেখা গেছে। যদিও এগুলো গান্ধার শিল্পশৈলীর অংশই বটে।

চন্দ্রভাগার চাঁদ বইতে শিবেই সান্তারার থেকে নামটা শুনেছিলাম বোধি সত্ত্ব। কিন্তু মূর্তিটা আজ প্রথম দেখলাম। বেশ সুন্দর তো। পাশাপাশি গৌতম বুদ্ধ এবং অন্য মূর্তিগুলিও বেশ চমৎকার। সত্যি বলেছেন দাদা গান্ধার স্থাপত্য নিয়ে তর্কাতর্কি চলতে থাকুক কিন্তু তাদের এই জিনিস গুলো এককথায় অসাধারণ। আপনার এই পায়ে পায়ে কলকাতা পর্বটা অনেক পছন্দের আমার কাছে।।
গৌতম বুদ্ধের আরেক নাম।
হ্যা দাদা। যতসম্ভব বরাহো দেব গৌতম বুদ্ধেরই আরেক টা নাম।
বরাহ হলো অবতার। ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতারের একটা।
ও আচ্ছা। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।।