রাধাগোবিন্দ মন্দিরের রথযাত্রায়
নমস্কার বন্ধুরা,
করোনার দৌরাত্ম্যে বিগত দু'বছরে প্রশাসন রথযাত্রা করতে দেয়নি। ২০২২ সালে অবস্থার অনেকটা পরিবর্তন হওয়াতে এবছর রথ টানার পাশাপাশি রথের মেলা নিয়েও ছিলো অন্য রকমের উত্তেজনা। কলকাতায় রথযাত্রা নিয়ে আলাদা ধরনের উন্মাদনা দেখেছি, মূলত ছোটবাচ্চারা বাবা-মায়ের হাত ধরে ছোট ছোট তিন তলা রথ হাতে করে টেনে বেড়ায়। দেখতে খুব ভালো লাগে তবে আমি এবার সেসব দেখতে পেলাম না তাই নিজেই গেছিলাম রথের মেলায়। কাছেই রথ যাত্রা নিয়ে বিশাল মেলার আয়োজন হয় সেখানে যাওয়ার জন্য বিকেল বিকেল বেরিয়ে পড়লাম।
মূলত যে জায়গাটি থেকে রথযাত্রা শুরু হওয়ার কথা তার প্রায় দেড় কিলোমিটার আগেই আমাদেরকে গাড়ি থেকে নামতে হলো। প্রশাসন মেলার দেড় কিলোমিটার আগেই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে যাতে বেশি পরিমাণে ট্রাফিক ঢুকে জ্যাম না করে দেয়। বেশ উৎসাহ নিয়েই মেলার কাছাকাছি পৌঁছে গেলাম অথচ প্রচন্ড ভিড়ের যে আশা করেছিলাম সেরকম কিছুই নেই।
চিন্তা করছিলাম প্রশাসন আমাদেরকে হয়রানি করানোর জন্যই হয়তো এমনটা করলো। কিন্তু মন্দিরের আরো কাছে পৌঁছেতেই দেখি পুরো আলাদা চিত্র। জনসমুদ্র। মন্দিরের আশেপাশে মানুষের ঢেউ যেন আছড়ে পড়ছে। তিল ধারনের জায়গা নেই। মেলার মধ্যে দিয়ে মন্দিরের কাছে যাওয়ার খুব চেষ্টা হলো কিন্তু তা আর হলোনা। রথের দড়ি ধরার জন্য রাস্তার ঠিক পাশে দাঁড়িয়ে পড়লাম। যথারীতি প্রচন্ড গরম রীতিমতো ঘেমে নিয়ে স্নান করে ফেলছি তবুও এক আলাদা উত্তেজনা কাজ করছিলো। বছর পাঁচেক পরে রথের দড়িতে হাত দেওয়ার সৌভাগ্য হবে।
পরপর তিনখানা রথ। প্রথমে এলো সুভদ্রার রথ যেটিতে হাত দিতে পারার সুযোগই হলো না। রীতিমতো মারামারি হলো। সেসব দেখে আমি একটু কোনায় সরে গেলাম। যদিও খানিকক্ষনের মধ্যেই বলরাম ও জগন্নাথ দেবের রথ কাছে এলো, আর নিশ্চিন্তেই রথের দড়িতে হাত দিয়ে টানলাম।
রথ টানা শেষ হতেই আর মেলায় আর বেশিক্ষণ থাকলাম না কারণ আর কিছুক্ষণ পর ভিড়টা এতটাই বেড়ে যাবে যে মেলা থেকে বেরোনো দায় হবে। সেই ভেবে ধীরেসুস্থে বেরিয়ে গেলাম। তাছাড়া কাছাকাছি গিয়ে আরেকটা রথের মেলা আছে সেটাতেও তো যেতে হবে। সেই মেলায় গল্প পরের পর্বে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনি কি রথ টানবেন গাড়ি দেড় কিলোমিটার আগে নেমে গিয়ে হেঁটে হেঁটে রথের কাছে আসতে তো আপনার শরীরে এনার্জি শেষ। তবে এবার রথের মেলার দেখে এবং কি জগন্নাথের পূজার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানলাম। আমাদের সাথে আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
হেঁটে আসাটা কিছুই মনে হলো না। উল্টে যেন এনার্জি বেড়ে গেলো।
এ মেলাটি আমাদের এদিকে হচ্ছে না, তবে অনেক মজার একটি মেলা এবং অনেকেই মেলাতে আনন্দ উপভোগ করেছে এবং কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনিও খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন এই মেলার।
মেলা হচ্ছে না কেন?
জানিনা দাদা তবে আমাদের এদিকে কোন মেলাই হচ্ছে না এখন। মেলা হলো তো অবশ্যই ঘুরে আসতাম। ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
রথ মেলা দৃশ্যগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমাদের এদিকেও মেলা হচ্ছে। এই মেলাতে আপনি খুবই সুন্দর সময় পার করেছেন এবং রথ টানা শেষ, আপনি বেরিয়ে পড়লেন। অন্য আরও একটি মেলা দিকে, আশা করছি সেই মেলার গল্প পরের পর্বে শুনবো।
মেলায় যেতে পারিনি। রথের কাছেই ছিলাম সারাক্ষন।
সাংঘাতিক ভিড় হয়েছে দেখছি। এবার তো আমার কপালে রথের দড়ি ধরার সুযোগই হয়নি। উল্টো রথের অপেক্ষায় আছি। আমাদের এদিকে এত বড় পরিসরে হয়তো রথযাত্রা হয় না । ছোট পরিসরে যেটুকুই আয়োজন করা হয় চেষ্টা করি সবাই মিলে আনন্দ করে উদযাপন করতে। তবে দাদা আপনাদের ওই দিকের উৎসব পার্বণ গুলো দেখলে সত্যি মন ভালো হয়ে যায়।
জয় জগন্নাথ 🙏
জনসমুদ্র বললেও হয়তো ভুল হবে। গিজগিজ করছে লোকজন। রথ টানতে পারলেই পূণ্য
মহামারীর কারণে গত দুই বছর এই রথের মেলা হয়নি। তাই এবারের রথের মেলায় একটু ভিড় হয়েছে এটা বুঝতেই পারছি। দাদা আপনি রথের মেলায় অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটা বুঝা যাচ্ছে। এরপর যেই রথের মেলায় গিয়েছেন সেই রথের মেলায় কাটানো মুহূর্ত এবং গল্প পড়ার অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
আমিও অনেকদিন পরে রথ টানতে গেলাম বেশ ভালো লাগলো।
খুব ভালো লাগলো দাদাভাই আপনার পোস্টটি। আমার কখনো রথযাত্রা দেখা হয়নি। তবে আমি রথমেলায় গিয়েছি বেশ কয়েকবার। তবে আপনার পোস্টটি পড়ে রথযাত্রার সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা হলো। ধন্যবাদ দাদাভাই সুন্দর এই পোস্টটির জন্য। ভালো থাকবেন এবং অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
তাহলে মেলা আপনার বাড়ির কাছে পিঠেও হয়। ঘুরে আসুন গিয়ে।
দাদা আপনি ভালো আছেন তো। অনেকদিন পর আপনার পোস্ট পেলাম। আহা এ যে জনসমুদ্র। রথ মেলা সম্পর্কে পূর্বে আমার তেমন কেউ ছিলনা। তবে এবার বিভিন্ন পোস্ট পড়ে রথমেলা সম্পর্কে জানতে পারলাম। পাশাপাশি জগন্নাথ পূজা সম্পর্কেও জানলাম। আপনার সুন্দর সময় গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে।
মেলা ঘুরে আসার পর কয়েকদিন শরীর খারাপ ছিলো। আপাতত ঠিক আছি। আপনি কেমন আছেন?
জি ভাই আমি ভালো আছি তবে আপনি ভালো আছেন জেনে ভালো লাগলো।