হালিশহর বাঁধা ঘাটে আমরা (At Halishahar Ghat) by @kingporos
নমস্কার বন্ধুরা,
প্রায় এক সপ্তাহ পর একসাথে ঘুরতে বেড়িয়েছিলাম। করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে বেরোনো প্রায় উঠেই গিয়েছিল। তবুও আজ সাহস করে মুখে মাস্ক জড়িয়ে আর পকেটে স্যানিটাইজার গুঁজে যাওয়া হয়েছিল হালিশহর বাঁধা ঘাটে। দুপুরে বিধাননগর স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে সোজা পৌঁছে গেলাম কাঁচরাপাড়ায়। সেখান থেকে বাসে করে ১৫ মিনিটের রাস্তা। যদিও এই ১৫ মিনিটের রাস্তাই লেগে গেলো ৩০ মিনিট।
দ্বিতীয় লকডাউন শিথিল হয়েছে বেশ কয়েকদিন, তবুও কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। যানবাহনের অপ্রতুলতা এর প্রধান কারণ। সাথে অবশ্যই বিভিন্ন ঘোরার জায়গা বন্ধ থাকাও আরেকটা কারন। তাই কাছে পিঠে জায়গাতেই আনাগোনা করছি।
আজকের গন্তব্য ছিল হালিশহরের বাঁধা ঘাটে। রাণী রাসমণির স্মৃতি বিজড়িত এই ঘাট সত্যিই সুন্দর। কয়েকবছর আগে সরকারি আনুকূল্যে ব্যবস্থা হয়েছে পাকা পোক্ত একটা ঘাটের। আর ঘাটের সামনেই বয়ে চলেছে হুগলী নদী। আর গঙ্গার ঠিক ওপারটাই হল ব্যান্ডেল।
বেশ কিছুটা সময় এইখানে বসে কাটালাম। ঘাটে এসে অনেকেই গঙ্গা জল পাত্রে ভরে নিয়ে গেলেন। অনেক অনুষ্ঠানে এর দরকার হয় গঙ্গাজল। সাথে ছিলো নানান বয়সী লোকের আনাগোনা। আর আড্ডা।
প্রায় ঘন্টা দুয়েক একসাথে গল্প করে ফেরার রাস্তা ধরলাম।
বাইরে বেরোবো অথচ কিছুই খাবোনা। সেটা তো একপ্রকার ক্ষমার অযোগ্য। মহাপাপ। তাই কাঁচরাপাড়া স্টেশনের কাছেই এক কাকুর চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে দুকাপ চা খেয়েই নিলাম। ফের কলকাতা ফেরা।
খুব সাধারণ হলেও এই দিনগুলো স্মৃতি হয়ে থাকুক। চিরকাল। যতদিন বেঁচে আছি।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মূহুর্ত ও ভ্রমণ কাহিনী আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য। নিরাপদে থাকুন সুস্থ থাকুন।
আপনিও নিরাপদে থাকুন দাদা 🙏🏾
খুব সুন্দর একটা দিন কাটিয়েছেন নিঃসন্দেহে।
ফটোগ্রাফি দেখেই মনে হচ্ছে পরিবেশটা খুব দারুন এবং বেশ সুন্দর জায়গা। করোনা জীবনের অনেক কিছুই পাল্টে দিয়েছে, কিন্তু তবুও চেস্টা করতে হবে জীবনে ঠিক রাখার । ধন্যবাদ