পায়ে পায়ে কলকাতা: পর্ব ২৫
নমস্কার বন্ধুরা,
ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন সময়ের মুদ্রার এক বিশাল সম্ভারের ঝলক দেখে নিয়ে বেরিয়ে আসা মাত্রই চোখে পড়ল বাংলা ও বিহারের মধ্যযুগীয় শিল্পকলার কিছু নিদর্শন। পাল রাজাদের রাজত্বকালে সপ্তম থেকে ১২০০ সালের মধ্যে বাংলা ও বিহারে শিল্পকলার বিকাশ ঘটে। এই শিল্প রীতির মূর্তিগুলো বিহারের রাজমহল পাহাড় থেকে সংগ্রহীত হয়েছে এবং মূর্তিগুলোর বিশেষত্ব হল সবই কালো পাথরের তৈরি। বিহারের নালন্দা বুদ্ধগয়া রাজগীর অবিভক্ত বঙ্গের দিনাজপুর রাজশাহীর বিভিন্ন জায়গা থেকেই মূর্তিগুলো প্রাপ্ত। প্রথম দিকের বুদ্ধমূর্তিগুলোতে গুপ্ত শিল্প রীতি প্রভাব স্পষ্ট রয়েছে যা পরবর্তী সময়ে মধ্যযুগ হতে হতে পুরোপুরি স্বকীয় শিল্প রীতিতে পূর্ণতা পায়।
সবচাইতে যে জিনিসটা বিশেষ নজর কাড়ে তা হল যে সমস্ত মধ্যযুগীয় বাংলা ও বিহারের মূর্তি রয়েছে তাতে দাতাদের নাম। তার পাশাপাশি সারনাথের মূর্তির সাথে মধ্যযুগীয় বাংলা বিহারের মূর্তির বিশেষ কিছু মিল রয়েছে। সেটা হল সারনাথের মতই বাংলা ও বিহারের মধ্যযুগীয় শিল্পকলায় মূর্তি গুলির মধ্যে বুদ্ধর জীবনের ঘটনাগুলি বর্ণনা রয়েছে। তাছাড়া বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন দেবদেবী মূর্তিও এখানে প্রদর্শিত আছে।
পাশাপাশি হিন্দু ধর্মের কিছু দেবদেবীর মূর্তি যেমন ভগবান শিব ও পার্বতী, ভগবান শ্রী বিষ্ণু, বরাহ অবতার বামন অবতারের কিছু মূর্তি এখানে দেখতে পাওয়া যায়।
প্রথমে যে মূর্তিগুলো চোখে পড়ে সেগুলো বৌদ্ধ গৌতম বুদ্ধের বিভিন্ন স্বরূপ মাত্র! বৌদ্ধ ধর্মের মূর্তি গুলির পাশেই ছিল ভগবান শ্রী বিষ্ণুর মূর্তিটি। যদিও মূর্তিটি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত তবে বোঝাই যাচ্ছে ভগবান শ্রীবিষ্ণু পদ্ম হাতে স্নিগ্ধ রূপ দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
মুদ্রার পর্ব শেষ এবার আরেকটা ঐতিহাসিক অধ্যায়। বাংলা এবং বিহারের এই নিদর্শন গুলো আমাকেও বেশ অবাক করেছে দাদা। এবং মূর্তিগুলো আমাকে বেশি অবাক করেছে কী সুন্দর কাজ। ঐসময়ের ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলো দারুণভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। অসাধারণ একটা পর্ব দেখলাম দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে।।