গণতন্ত্রের উৎসব
নমস্কার বন্ধুরা,
ভোট আমাদের দেশে গণতন্ত্রের উৎসব হিসেবে পালিত হয়। যা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর ফিরে আসে। ভারতে মূলত তিন ধরনের ভোট হয়, লোকসভা ভোট, বিধানসভা ভোট ও পঞ্চায়েত ভোট। প্রতি পাঁচ বছর ভোট সংগঠিত হয় বলেই ভারত পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ গণতন্ত্র। এপ্রিলের উনিশ তারিখ থেকে ভারতে শুরু হয়েছে লোকসভা ভোট আজই তার দ্বিতীয় দফায় আমি আমার কর্তব্য পালন করলাম। লোকসভা ভোট দ্বারা নির্ধারিত হবে দেশের আগামী পথচলা এবং দেশ কতটা শক্তিশালী হবে সেটার রূপরেখা। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। যাতে সব ধরনের মানুষ যোগদান করে তাদের মূল্যবান ভোট প্রদানের মাধ্যমে ভারত তথা নিজেদের ভবিষ্যৎতের গড়ে তুলতে সাহায্য করেন।
ইদানিং বেলা বাড়ার সাথে সাথে খুব গরম বাড়ছে তাই ভেবেছিলাম সক্কাল সক্কাল গিয়ে ভোট দিয়ে চলে আসবো। এই তাগিদে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে সোজা ভোটের বুথে চলে গেলাম। বুথে পৌঁছে দেখি বিশাল লম্বা লাইন। লাইনে দাঁড়িয়ে কুড়ি পঁচিশ মিনিট এমনিই কেটে গেলো। বুঝতে পারছিলাম সবাই গরমের দাপট থেকে বাঁচতে সকালবেলাতেই ভোট দিতে চলে এসেছে। কি আর করা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে লাইন বিশেষ নড়াচড়া করতে না দেখে এক প্রকার নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরে আসলাম। শরীর খুব একটা ভালো না তার উপরে বেশিক্ষণ লাইনে দাড়ানো উচিত হবে না।
বাড়ি এসে ঠিক করলাম দুপুরে ভোট দিতে যাবো। দুপুরে বেরোনোর কারণ সকালে যেমন ভোটের ভিড় হয়েছে তেমনিই বিকেল নাগাদ আবার মানুষজনের ভিড় হবে। দুপুরবেলা খেয়েদেয়ে বেরিয়ে পড়লাম ভোট দেওয়ার উদ্দেশ্যে। বাইকে চেপে যেইনা পাকা রাস্তায় উঠেছি তেমনি গরম হলকা হাওয়া এসে লাগা শুরু করল। সাথে সাথে চোখ মুখ পুরো জ্বলে যাওয়ার অবস্থা। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ভোটের বুথে পৌঁছতে স্বস্তি পেলাম। ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে ভোটের লাইন থেকে মহানন্দ। সামনে দেখি মাত্র কয়েকজন লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।
লাইন দাঁড়ানোর মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ভোটের বুথে ঢুকে পড়লাম। বুথের ভেতরে দুই দলের এজেন্ট, তিন জন প্রিসাইডিং অফিসার বসেছিলেন। একজন প্রিসাইডিং অফিসার বাম হাতের তর্জনীতে নীল কালি দাগ দিতেই আমি ইভিএম মেশিনে আমার পছন্দের প্রার্থীকে ভোটটা দিয়ে দিলাম। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতেই পাশে ভি ভি প্যাট মেশিনে চিহ্ন ভেসে উঠলো। লাইনে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে ভোট দেওয়া পর্যন্ত মিনিট পনেরোর ভেতরে পুরো ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলো।
আমি আমার কর্তব্য পালন করলাম। দেশের ভবিষ্যৎ গড়ায় স্বল্প প্রতিদান। আপনারা যারা ভারতের বাসিন্দা তাদের অনুরোধ করবো সকালে যান কিংবা দুপুরবেলায় হাতে একটা ছাতা নিয়ে যান। নিজের মূল্যবান ভোট দিয়ে আসুন।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
দাদা আপনি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন।এই গরমের দিনে একটু তাড়াতাড়ি ভোট দেয়াই উত্তম কাজ। কেননা একটু বেলা হলেই প্রচুর মানুষের ভিড় হয়ে থাকে।আর তখন ভোট দেয়া অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। আমি এখন পর্যন্ত কোন ধরনের ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। আপনার ভোট দেয়ার অনুভূতি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালোই লাগলো দাদা।
সকালে আর দিতে পারলাম কই ভাই। অনেক ভীড় ছিলো।
আমাদের বন্ধু দেশ ভারতকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র বলা হয় কারণ তাদের ভোটিং পদ্ধতি। গরমের তাপদাহের কারণে সকালের দিক সবাই ভোট দিতে যাওয়ার কারণেই হয়তো লাইন এতটা লম্বা হয়েছিল। কারণ সবাই তো গরম থেকে বর্তমান সময়ে বাঁচতে চাচ্ছে। তবে আপনি বুদ্ধি খাটিয়ে দুপুরে দিক ভোট দিতে যাওয়াই বেস্ট করেছেন। দেশের উন্নয়নে আপনার মত সকলেরই উচিত তাদের ভোটাধিকার প্রদান করা যোগ্য ব্যক্তিকে। আপনার ভোটাধিকার প্রদানের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সকালে গিয়ে ঘুরে আসতে হয়েছে ভাই। সবাই বুদ্ধি করে সকালে ভোট দিতে গিয়েছিল।
আপনার ভোট দেওয়ার অনুভূতি জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভোট জনগণের অধিকার, আর এই ভোট দেওয়ার মধ্যে অন্যরকম একটা ভালো লাগার কাজ করে। আপনি সকাল সকালই ভোট দিয়েছেন, গরমের মধ্যে সকালবেলা দেওয়াটাই উত্তম হয়েছে। আপনার অনুভূতি জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো দাদা।
আমি সকালে ভোট দিতে পরিনি ভাই। অনেক ভীড় ছিলো তখন
এইতো মাস চারেক আগে আমাদের দেশেও হয়ে গেল সংসদ নির্বাচন। এটা ছিল আমার প্রথম ভোট। কিন্তু আমার বাড়ি থেকে ঐদিন বেরই হতে দেয়নি। আপনার ভোট দেওয়ার পোস্ট টা পড়ে বেশ ভালো লাগল। আপনি আপনার ভোট টা দায়িত্ব পালন করলেন। প্রতিটা নাগরিকের উচিত সঠিক যোগ্য প্রার্থীকে ভোট প্রধান করা। তবে আপনাদের এই নির্বাচন টা এতো ধাপে হয়ে থাক এটা বেশ আশ্চর্যের। আমাদের দেশে সংসদ নির্বাচন তো একদিনেই হয়।
বেরোতে পারলেন না কেন ভাই?
আমাদের দেশে সারাক্ষণ কোথাও না কোথাও ভোট চলছে। এইবার বদলাবে মনে হয়।
আসলে দাদা আমার পরিবারের লোক সবসময় আমাকে রাজনীতির মতো বাজে জিনিস থেকে দূরে রাখতে চাই। আর আমাদের এখানে নির্বাচনের সময় কেন্দ্রগুলো দখল হয়ে যায় বলতে পারেন। তাদের পছন্দের প্রার্থী কে ভোট না দিলে চলে মারধর। এজন্যই বের হতে দেয়নি আমাকে।
দাদা আপনার মতো সকলেই ভেবে রেখেছিল সকাল সকাল ভোট দিবে। কারণ এমনিতেই যা গরম পরেছে, এতে করে সকালের দিকেই গরম একটু কম থাকে। যাইহোক দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত সকালে ভোট দিতে না পেরে, অবশেষে দুপুরে গিয়ে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিলেন। ভোট দিতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আগামী মাসের ৮ তারিখ আমরাও উপজেলা নির্বাচনের ভোট দিবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
গরমের জন্যই এমনটা। দুপুরে বেশ ফাঁকা। লাইন অল্প ছিলো।
আপনিও দুপুরে ভোট দিতে যাবেন ভাই। ফাঁকা পাবেন।
হ্যাঁ দাদা আগামী পরশুদিন আমাদের এখানে উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই ভাবছি দুপুরের দিকে গিয়ে নিরিবিলি পরিবেশে ভোট দিয়ে আসবো।