গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান
নমস্কার বন্ধুরা,
গৃহপ্রবেশের জিনিসপত্র গুছিয়ে চলে আসবার পর রাত ১২:৩০ মিনিটে আনুষ্ঠানিক ভাবে গৃহপ্রবেশের নিমন্ত্রণটা পেয়ে মনে একটু হাসলাম। অবশেষে নিমন্ত্রণ পেলাম, নইলে তো 'বিন বুলায়ে মেহমান হয়ে থাকতে হতো' 😁। সকালে আশীষের ফ্ল্যাটে যাওয়া তাই জেগে না থেকে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকাল সকাল ফোনের সুরেলা আওয়াজে ঘুমটা ভেঙে গেলো। আশীষের ফোন, যেতে হবে তার বাড়ি। বেরোতে যাবো ঠিক তখনই হঠাৎ পিসের গ্রামের বাড়ি থেকে বিশেষ কাজের জন্য যাওয়ার খবর এলো। আশীষের ফ্ল্যাটে যাওয়া পিছিয়ে গেলো আমি পিসের সাথে বেরোলাম পিসের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে।
কাজ সেরে ফের কলকাতা ফিরতে দুপুর পৌনে দুটো বেজে গেলো। হাতে আর সময় নেই। ওদিকে আশীষের বাড়ি থেকে বারবার ফোন আসছে। তিনটে প্রশ্ন কোথায় আছি, কতদূরে আছি আর কখন যাচ্ছি। আমি বেশ লজ্জায় পড়ে গেলাম, যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমার কলকাতা আসা সেটি হলো আশীষের ফ্ল্যাটের গৃহপ্রবেশে অংশগ্রহণ করা আর সেখানেই পৌঁছতে পারিনি। তড়িঘড়ি স্নান সেরে আশীষের ফ্ল্যাটের দিকে বেরিয়ে পড়লাম।
আশীষের ফ্ল্যাট পিসির ঘর থেকে খুব কাছেই। তাই ঘর থেকে বেরিয়েই টুক করে পৌঁছেও গেলাম। আর পৌঁছে দেখি গৃহ প্রবেশের প্রস্তুতি প্রায় অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। বাইরে সবাই দাঁড়িয়ে পাশাপাশি মন্ত্রোচ্চারণ চলছে আর কিছুক্ষনের মধ্যে ঘরেও ঢুকে যাবে। কিছুক্ষণ পর সমস্ত রীতি নিয়ম মেনে নতুন বাড়িতে প্রবেশ করা হলো।
ফ্ল্যাটের ঢোকার পর শুরু হলো মূল পুজো। অনেকটা সময় ও অনেক রীতিনীতি মেনে গৃহ প্রবেশের পুজো হয়। যেহেতু অনেকটা সময় লাগে তাই পালাপালা করে অনেক কেই পুজোতে বসতে হয়। পুজোর জন্য আগে থেকেই বেশ কয়েকজন নির্জলা উপবাসী ছিলো তাই বেশ সহজে পালা পালা করে সবাই পুজোতে অংশগ্রহণ করছিলো।
যেহেতু আমি সকাল বেলায় ঘর থেকে বেরিয়েছিলাম তাই আমিও একপ্রকার নির্জলা উপবাসীই ছিলাম। কিন্তু অনেক দৌড় ঝাঁপ করে আমার শরীর আর পারছিলো না তাই অল্প খেয়ে তবেই পুজোর কাছে বসলাম।
তিন ঘণ্টা পুজোর নানান রীতি নীতি দেখে অবশেষে বেরিয়ে গেলাম। কারণ ওদিকে আবার ভাইঝির জন্মদিনেও যেতে হবে তবে আশীষকে বলে গেলাম, রাতে আবার দেখা করে যাবো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা শেষ পর্যন্ত যে গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরেছেন এটাই বা কম কিসের। ভালোই তো হয়েছে অনিচ্ছাসত্ত্বে হলেও পূজার দিনে উপবাস করেছেন। তিন ঘন্টা পূজোর নানান রীতিনীতি শেষ করে আমার ভাইঝির জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছেন। অনেক ধকল গেছে আপনার পরেও সবকিছু সামলে নিতে পেরেছেন।
উপবাস করা শরীরের জন্য খুবই ভালো।
হ্যাঁ দাদা আমরাও রমজান মাসে সেটা ভালোই বুঝতে পারি।
দাদা গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরেছেন এটা জেনে আমার খুবই ভালো। পুজোর বিভিন্ন হাড়িতে নীতিগুলো জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো আমার। ভাই যে জন্মদিন অনুষ্ঠানে নিশ্চয়ই অনেক আনন্দ করেছেন। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সত্যিই তাই! অনেক ভালো লেগেছে।
অনেক ব্যস্ত ছিলেন দেখছি। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা শুধু ছোটাছুটি করেছেন। বন্ধু আশিষের বাড়ি যাওয়ার আগে পিসের সঙ্গে অন্য কোথাও সেখান থেকে আশিষের বাড়ি আবার ভাইজির জন্মদিন।
হ্যাঁ। সকাল বেলায় হুট করে বেরিয়ে যেতে হলো তাই জন্য আরো চাপ বেড়ে গেলো।
একদিনে কতো সিডিউল রাখেন আপনি!ভাবা যায়না।
দুটো ছিলো। সেটা থেকে বেড়ে তিনটে হলো।
বেশ পরিশ্রম হয়েছে এই জায়গা নিয়ে, আগেও একটা পোষ্টে দেখেছি। যাক, এতদিনে কাজ শেষ, গৃহ প্রবেশ হয়ে গেলো।তোমার বন্ধুর জন্য অনেক শুভ কামনা। ভালো থেকো দাদা।
গৃহ প্রবেশের জন্য অনেক প্রস্তুতি নিতে হলো।
আপনার শরীর আর পারছিলনা অল্প খেয়ে পুজোর কাছে বসেছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো দাদা। আপনি প্রায় তিন ঘণ্টা পুজোর রীতি নীতি দেখার পর বেরিয়ে গেলেন। আপনার ভাইঝির জন্মদিনে হয়তো অনেক মজা করেছেন দাদা ।ধন্যবাদ দাদা গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সেখানেও খুবই মজা করলাম।
গৃহপ্রবেশের জন্য খুব সুন্দর ভাবে পূজা পাঠ হয়েছে। সমস্ত কিছু থেকে বেশ ভালো লাগলো, আপনার লেখাটিও বেশ ভালো হয়েছে। ভালো থাকুন নতুন গৃহে। শুভ কামনা করি।
পুজো ভালোই হয়েছে, রাত ৯:৩০ পর্যন্ত চলেছে।
বাহ,গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দাদা।আমি যখন উপবাস থাকি আমিও আপনার মত নির্জলা করি।খুবই ভালো লাগলো পূজার সাজসজ্জা দেখে।আপনার বন্ধুর মঙ্গল হোক।ভালো থাকবেন দাদা।
নির্জলা উপবাস ১৪-১৫ দিনে একবার করে শুরু করবো ভাবছি।
উপবাস করা শরীরের জন্য ভালো দাদা।