পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : দমদম পার্ক যুবকবৃন্দ
নমস্কার বন্ধুরা,
পঞ্চমীর রাতে চোরবাগান সার্বজনীন অবধি পরিক্রমা করতেই বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল পরদিন ষষ্ঠীতে আবার বেরোব তাই ঘরে ফিরে যাওয়াই ঠিক মনে করলাম। তবে ফিরতি পথে দমদমের পুজো গুলো দেখে উত্তর কলকাতার পরিক্রমা কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখলাম। বেশ কিছুটা রাস্তা বাসে করে পৌঁছে গেলাম সোজা দমদম পার্কে। তারপর হাঁটতে হাঁটতে চললাম দমদমের পুজো মন্ডপ গুলো এক এক করে ঘুরে ফেলার জন্য। দমদম পার্কের রাস্তা ধরে কিছুটা এগোতেই যে মন্ডপটা হাতে পড়লো সেটি ছিলো "দমদম পার্ক যুবকবৃন্দ"। এবারে তাদের পুজোর থিম "সৃষ্টির ভারসাম্য"।
৫৭ তম বছরে পদার্পণ করা দমদম পার্কের মাতৃ বন্দনায় সৃষ্টির পাশাপাশি আমাদের জীবনের ভারসাম্যের যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে সেটা ফুটিয়ে তুলেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে নানান কারণে উথাল পাথাল লেগে থাকে। কখনো আমরা খুব মসৃণ ভাবে আমাদের জীবন যাপন করতে থাকি আবার কখনো আমাদের জীবনের পথ কণ্টক পূর্ণ হয়ে ওঠে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে কণ্টকের পথ ধরেই আমাদের বাকি জীবনটা চলতে হবে। ফের এক সময় আসবে যখন আমরা এই অমসৃণ রাস্তা পেরিয়ে মসৃণ রাস্তায় ফিরে আসবো। এভাবেই জীবন ভারসাম্য বজায় রাখে। সৃষ্টির সাথে জীবনের এই ভারসাম্যের সম্পর্কটা ফুটে উঠেছে দমদম পার্ক যুবকবৃন্দের ভাবনাতে।
দমদম পার্ক বাসস্ট্যান্ডের মুখের কিছুটা পথ হাঁটতেই দমদম পার্ক যুবকদের পুজো মন্ডপটা রয়েছে। মন্ডপ মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মণ্ডপের আকৃতি মাতৃগর্ভের আকারে বানানো, যেখান থেকে আমাদের সৃষ্টি হয়। মণ্ডপে জায়গা পেয়েছে বালানসিং পাথর যা ভারসাম্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। সৃষ্টির সাথে ভারসাম্যের যে অটুট সম্পর্ক সেটা মহাকাব্য রামায়ণের আকারে বোঝানো হয়েছে মণ্ডপের সজ্জাতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ভগবান শ্রীরাম জীবন আমাদের কাছে "সৃষ্টির সাথে ভারসাম্যের" প্রকৃষ্ট উদাহরণ। প্রভু শ্রী রাম জন্মেছিলেন রাজা দশরথের ঘরে। তার ভাগ্য সারাটা জীবন রাজা জীবনে বেঁচে থাকা কিন্তু তাকে জীবনের একটা বড় সময় বনবাসে কাটাতে হয়েছে। পরে যদিও তিনি ফের অযোধ্যার রাজত্ব ফিরে পেয়েছিলেন। শিল্পী বুঝিয়েছেন জীবন সবসময় মসৃণ হয় না।
মণ্ডপের মাঝে বিরাজিত মা দুর্গা নিজে, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। আবার তিনিই আমাদের জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছেন।
দাদা পুজো পরিক্রমার এ পর্বে আপনি তো দেখছি দমদম পার্ক এর পুজো কে তুলে ধরেছেন। তবে দম দম পার্কের পুজোর থিম কিন্তু আমার কাছে দারুন লেগেছে। কি সুন্দর থিম "সৃষ্টির ভারসাম্য"। আপনি কিন্তু দারুন বর্ণনা দিয়ে আপনার আজকের পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ দাদা এমন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনার আজকের ব্লগটি থেকে আমি একটি দারুন শিক্ষা পেলাম,আসলেই আমাদের জীবন কখনোই এক গতিতে চলেনা,বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে আমাদের জীবন পরিচালিত হয়।ঠিক তারই একটি উদাহরণের বাহক হিসেবে তুলে ধরেছেন"দমদম পার্ক যুবকবৃন্দ"।সব মিলিয়ে আপনার আজকের পোস্ট আমার কাছে আজকে অনেক ভালো লেগেছে।
দমদম পার্ক যুবকবৃন্দ দূর্গা পূজা উপলক্ষে চমৎকার আয়োজন করেছে দাদা। তাদের থিমটাও দারুণ লেগেছে "সৃষ্টির ভারসাম্য"। আসলেই জীবন সবসময় মসৃণ হয় না। কারণ বিভিন্ন কারণে অনেক সময় অমসৃণ পথেও চলতে হয়। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য ধারণ করতে হয়। যাইহোক সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম আপনার এই পোস্টটি। এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
পুজোর থিম "সৃষ্টির ভারসাম্য" কি সুন্দর থিমের নামটি।প্যান্ডেলটি কিছুটা পাথরের আকারে সজ্জিত আর জীবনের কঠিন সময় পার করেই এগিয়ে যেতে হবে ভাবনাটি দারুণ বাস্তব।দাদা,পূজার সময় হেটে হেটে পূজা দেখার মজাই আলাদা।দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।