রেসিপি : কুচো চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপির ঘন্ট
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন ও মজাদার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকের রেসিপিটি হলো, কুচো চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপির ঘন্ট।
কুঁচো চিংড়ি পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কম দেখতে পাওয়া যায়। আসলে যেকোনো সবজির সাথে যদি চিংড়ি দেওয়া তাহলে সবজির স্বাদ কয়েক গুন বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। সেটা আরো একবার প্রমান পেলাম।
প্রতিবার সারা শীত জুড়েই বাড়িতে নানা সবজির ঘন্ট রান্না চলতে থাকে। বারবার শুধুমাত্র ঘন্ট খেয়ে মুখে একঘেয়েমি চলে আসে। তার উপরে শীত শেষে বাঁধাকপির স্বাদ অনেকটা কমে যায়। তাই নিরামিষ বাঁধাকপির ঘন্ট রান্না হবে শুনে চিংড়ি দেওয়ার কথা মাথায় এলো। সোজা বাজারে ছুটে গিয়ে নিয়ে আসলাম কুঁচো চিংড়ি। তারপর বেশ অনেকটা সময় জুড়ে সেগুলো পরিষ্কার করে রান্না করা হলো কুঁচো চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপির ঘন্ট। আশা করছি আপনাদের ভালোই লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।
- বাঁধাকপি
- আলু
- কুচো চিংড়ি
- পাঁচ ফোড়ন
- তেজপাতা
- হলুদ গুঁড়ো
- জিরে গুঁড়ো
- লঙ্কা গুঁড়ো
- তেল
- নুন
ধাপ ১
- প্রথমে উনুনে কড়াই চাপিয়ে তাতে বেশ কিছুটা সাদা তেল দিয়ে গরম হতে দেবো। তেল কিছুটা গরম হয়ে গেলে পাঁচ ফোড়ন দিয়ে দেবো।
ধাপ ২
- ফোড়ন দেওয়া হয়ে গেলে নুন ও হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখা কুচো চিংড়ি গুলো কড়াইতে দিয়ে ভাজতে শুরু করে দিলাম।
ধাপ ৩
- কুচো চিংড়ি গুলো ভালো করে ভেজে নিলাম। যাতে আঁশটে গন্ধ না থাকে।
ধাপ ৪
- কুচো চিংড়ি ভাজা শেষ হতেই কেটে রাখা বাঁধাকপি কড়াইতে দিয়ে স্বাদমতো নুন ও পরিমান অনুসারে হলুদ দিলাম। তারপর সবকিছু ভালো ভাবে নাড়াচাড়া করে একটা পাত্র দিয়ে কড়াই ঢেকে দিলাম।
ধাপ ৫
- কিছুক্ষন পর ঢাকনা তুললে দেখা যাবে বাঁধাকপি জল ছেড়ে দিয়েছে। তারপর তেজপাতা দিয়ে সবকিছু নাড়াচাড়া করতে থাকবো।
ধাপ ৬
- নাড়াচাড়া করতে করতে বাঁধাকপির জল শুকিয়ে গেলে জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মশলা কষিয়ে নেবো। তারপর দুই কাপ জল কড়াইতে দিয়ে ফোটাতে শুরু করবো।
ধাপ ৭
- মাঝারি আঁচে জল ফোটাতে থাকবো।
ধাপ ৮
- আরো কিছুক্ষন ফুটিয়ে পুরোপুরি জল শুকোতেই আমাদের কুচো চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপির ঘন্ট তৈরী।
ঘণ্ট মানেই আমার কাছে অনেক মজাদার একটি রেসিপি। কারণ ঘন্ট তৈরি করতে গেলে কয়েকটি সবজির সমন্বয়ে করতে হয় আর আপনি এখানে কচু এবং বাঁধাকপি ব্যবহার করেছেন এবং এর মধ্যে দিয়েছেন চিংড়ি যা অতুলনীয় একটি স্বাদের একটি রেসিপি।এ ধরনের রেসিপি আমার খেতে অনেক ভালো লাগে।এত সুন্দর ও সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ছোট চিংড়ি মাছ দিয়ে বাঁধাকপির ঘন্ট রেসিপির প্রক্রিয়াটি দেখে এবং বর্ণনাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এ ধরনের রেসিপি গুলো খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। আপনার এই রেসিপি তৈরিতে প্রথমে কুচো চিংড়িগুলো ভেজে নেওয়াটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। অত্যন্ত সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব ভালো করেছেন দাদা কুচো চিংড়ি মাছ দিয়ে রেসেপি টি করেছেন ৷ আসলে এখন পাতা কপি আসলে কেমন করবে কারন এর সিজন শেষ বলা যায় ৷যা হোক তবুও ভালো লাগলো যে আপনি কুচো চিংড়ি দিয়ে রেসেপি টি করেছেন নিশ্চয়ই এর স্বাদ ছিল ৷
দাদা অনেক দিন আগে আপনার বাঁধাকপির ঘন্টর রেসিপিটি দেখে আবারও তৈরি করেছিলাম। এই ঘন্ট খুবই মজা হয়। এবার আবার নতুন করে তৈরি করতে হবে দেখছি। চিংড়ি দিয়ে খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজা হবে। তাছাড়া ঠিকি বলেছেন শীতের শেষে বাঁধাকপির স্বাদ তেমন একটা ভালো থাকে না। আরো কিছুদিন আগে রেসিপিটি শেয়ার করলে টাটকা বাধাকপি দিয়ে খেতে পারতাম। যাই হোক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
কুচো চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপির ঘন্ট অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। আসলে দাদা আপনার রেসিপিগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে শেয়ার করেন। যার মাধ্যমে রেসিপিগুলো সুন্দরভাবে ফুটে ওঠ।
চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপির ঘন্ট দেখে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে। এত সুস্বাদু রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সত্যি আপনার রেসিপি পরিবেশ আমার খুবই ভালো লাগে। দাদা আপনার রেসিপি ধাপগুলো দেখে শিখাও নিলাম।
কথাটা ঠিক বলেছেন দাদা। শীত শেষ হলে শীতের সবজি গুলোর মধ্যে আর স্বাদ ভালো পাওয়া যায় না। ফলে রেসিপি তে চিংড়ি যোগ করার ব্যাপার টা ভালো ছিল। চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপি ঘন্ট আমি আগেও খেয়েছি বেশ সুস্বাদু একটা খাবার। রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন দাদা। প্রতিটা ধাপ খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
অনেক সুন্দর রান্না করেছেন দেখছি। আপনার এই ছোট চিংড়ি মাছ, আর বাঁধাকপি দারুণভাবে রান্না করেছেন। খুবই ভালো লাগলো সবজির সমন্বয়ে এই রান্নার কার্যক্রম দেখে। এই জাতীয় রেসিপিগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। আশা করি খেতে বেশ ভালো লেগেছে দাদা।
বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা ৷ আসলে শীতের সময় বিভিন্ন সবজীর অনেক ঘন্ট খাওয়া হয় ৷ তবে আপনি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বাঁধাকপির ঘন্ট'র সাথে কুচো চিংড়ি মিশিয়ে রেসিপিটি আরো বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু করে তুলেছেন ৷ এই রেসিপি খেতে যে ভীষণ মজাদার হয়েছে তা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে ৷ ধন্যবাদ দাদা এমন মজাদার একটি রেসিপি সুন্দর ভাবে তুলে ধারার জন্য ৷
বাহ্! বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। ছোট চিংড়ি আমার ভীষণ পছন্দ। বিশেষ করে ছোট চিংড়ি মাছের ভর্তা খেতে দারুণ লাগে। তাছাড়া চিংড়ি মাছের যেকোনো রেসিপি আমার খুব পছন্দ। যাইহোক ছোট চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপির ঘন্ট রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। রেসিপির কালারটাও চমৎকার এসেছে। রেসিপিটা দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।