জলের মারসিবল বসানোর সরঞ্জাম কিনতে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

GridArt_20221026_234651552_copy_1024x576.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,

খুব ছোটো বেলা থেকে বাড়িতে খাবার জলের সমস্যা দেখে আসছি, তবুও এতোদিন কুয়োর জল দিয়েই কাজ চলে যেতো। ইদানিং দু বছর হলো কুয়োর বয়স হয়ে যাওয়ার কারনে সেটার জল আর খাওয়া হয় না। পানীয় জলের ভরসা বলতে পাশের একটা টিউবওয়েল, যেটা বেশ কিছুটা দূরেই। দিন দিন যেমন খাওয়ার জলের চাহিদা বেড়ে চলেছে তেমনি টিউবওয়েল থেকে জল নিয়ে আসাও বেশ কষ্টকর হয়ে চলছে তাই জলের জন্য মার্শিবল বসানোর চিন্তা বেশ কিছুদিন ধরেই করা হচ্ছিলো। অবশেষে সেই মার্শিবল বসানোর তোড়জোড় শুরু করে দেওয়া গেলো।

সরঞ্জাম কিনতে যাওয়া হবে, যাওয়া হবে করে দুদিন পরে বেরোনো গেলো। আসল কথা হলো কালী পুজোর দিন থেকে অবহাওয়া বেগতিক দেখে মাল পত্র কিনতে যাওয়ার সাহস করা হয়নি। আজ সকাল বেলায় যখন ঝলমলে রোদ দেখা গেলো তখনই যাওয়া টা স্থির হলো। দুখানা টোটো নিয়ে মার্শিবলের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে বেরিয়ে পড়া হলো।

PXL_20221026_115137086_copy_1008x756.jpg

আমাদের কাছে পিঠে মার্শিবল বসানোর জন্য যে সব পাইপ এবং মেশিন কেনা হয় সেটির ডিলার প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে তাই টোটোতে যাওয়া ঠিক মনে করা হলো। টোটো তে বসে যাওয়াও যাবে আবার ফেরার সময় মাল পত্র নিয়ে ফিরে আসাও যাবে।

ঘুরে ঘুরে ১৪ কিমি যাওয়ার পরিবর্তে ভিতর দিয়ে শর্টকাট রাস্তা ধরা হলো। তবুও পৌঁছতে ৪৫ মিনিট লেগেই গেলো। সকাল ১১ নাগাদ বেরিয়ে পৌঁনে বারোটার দিকে পৌঁছালাম। দোকানে পৌঁছে আমরা বেশ অবাক হয়ে গেলাম। শুনশান বসতি হীন ফাঁকা জায়গায় দোকানটি রয়েছে। সে বিশাল মাপের বাড়ির সাথে লাগোয়া দোকান এবং গোডাউন। বাড়ির উল্টোদিকে আরো একখানি গোডাউন এবং কিছুদূরে আরেকটি নতুন গোডাউন তৈরি হচ্ছে।

PXL_20221026_124957352_copy_1008x756.jpg

শীতের দিন বেলা কম তাই দেরী না করে আমাদের প্রয়োজনীয় মারসিবল পাইপ, ফিল্টার পাইপ এবং মারসিবল এর মুখের নল কিনে তারপর সেই সমস্ত মাল ভালো হবে টোটো বোঝাই করতে শুরু করা হলো। আসলে পাইপ গুলো বেশ ভারী সেজন্য টোটোতে তুলতে বেশ খানিকটা পরিশ্রম করতে হলো। যদিও আমি প্রথমে হাতে হাতে পাইপ বোঝাই করছিলাম কিন্তু সে কাজ করতে গিয়ে নাকে ধুলো লেগে এলার্জিতে কাবু হয়ে গেলাম তাই উপায় না পেয়ে দোকানে গিয়ে বসলাম।

মালপত্র গোছাতে গোছাতে দুপুর দুটো বেজে গেলো তারপর আমরাও টোটো নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম।

PXL_20221026_134903555_copy_1008x756.jpg

PXL_20221026_140524818_copy_1008x756.jpg

দোকান থেকে রওনা হওয়ার সময় ইচ্ছে ছিলো কোথাও না দাড়ানোর। পথে এক জায়গায় জিলিপি দেখে সেই ইচ্ছে ভঙ্গ হলো। জিলিপি দেখে কি থাকা যায়? দাড়িয়ে পড়লাম। অল্প জিলিপি কিনে নিয়ে আমরা ফের রাস্তা ধরলাম।

PXL_20221026_143243553_copy_1008x756.jpg

জিলিপি খাওয়ার জন্য আর দাড়ানো হয়নি। টোটো তে বসেই সাবড়ে দেওয়া গেলো। শুধু খাওয়ার পরে হাত ধুতেই যা একটু বেগ পেতে হলো।




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Sort:  
 2 years ago 

জলের মার্সিবল সরঞ্জাম দেখেই বুঝে গেছি আপনি এখনো সেই জলের ভোগান্তিতেই ভুগছেন। তবে অনেকদিন দাদা আপনার কোন খোঁজ খবর পাচ্ছি না। কেমন আছেন আপনার শরীরের কি অবস্থা। এক সময় পানির এতটাই কষ্ট করেছি, পানি টানা আসলেই অনেক কষ্ট কর একটা ব্যাপার। তবুও দীর্ঘদিন পর পানির সমাধান পেতে যাচ্ছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগছে। তবে দাদা ইচ্ছে করছে জিলাপিতে এক কামড় দেই তবে সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের সাথে আপনার মনের অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।

 2 years ago 

জলের সমস্যা সত্যিই অনেকের কাছেই খুব বড় সমস্যা। দেখে ভালো লাগল যে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন।

 2 years ago 

এই যুগে তো কুয়া তেমন দেখাই যায় না। তারপরও আপনারা এতদিন কুয়ার পানি দিয়ে যাবতীয় কাজ সেরেছেন। পানির কষ্ট আসলেই সহ্য করা যায় না। তাছাড়া পানি খারাপ হলে অনেক ধরনের খারাপ অসুখ হতে পারে। খুব ভালো কাজ করেছেন মার্সিবল লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে। টোটো গুলো মনে হচ্ছে বেশ শক্তিশালী। এতোটুকু একটু টোটো তে এতগুলো পাইপ ভর্তি করে নিয়েছেন। আর যে জিলাপির ছবি দিয়েছেন এই জিলাপি দেখে সিদ্ধান্ত তো ভঙ্গ করতেই হবে। রসে একেবারে টইটুম্বুর মনে হচ্ছে।

 2 years ago 

হাহাহা দাদা জলের মারসিবল পাইপের সাথে জিলাপি দেখেই হাসি চলে আসলো আমার ,হাহাহা যাই হোক সবাই তাহলে কম বেশি জিলাপি ভক্ত ,আমি আবার তেমন খাইনা, তবে এটা জেনে ভালো লাগলো পানির কষ্ট এতদিনে লাঘব হবে , আর অবশ্যই দাদা ধুলা থেকে দূরে থাকবেন বা মুখ বেঁধে রাখবেন , আমার ও কিন্তু একই সমস্যা।

 2 years ago 

আসলেই দাদা পানির সমস্যা হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমস্যা। এখন তো কুয়া এবং চাপকল তেমন একটা দেখা যায় না। সাবমারসিবল মটর দিয়ে পানি খুব তাড়াতাড়ি উঠে এবং বিদ্যুৎ বিলও কম আসে। যাই হোক দাদা আপনি পানির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে সবকিছু শেয়ার করার জন্য।

তাহলে শেষ পর্যন্ত জিলাপির লোভ তোমার ইচ্ছা ভঙ্গ করে দিল। হা হা হা... কিন্তু আমি একটা বিষয়ে খুব অবাক হচ্ছি, বাড়িতে একটা টিউবয়েল নেই। কুয়োর জল খায় আমাদের পশ্চিমবঙ্গে এরকম বাড়ি তো খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর আমার জানামতে। যাই হোক শেষ পর্যন্ত তোমার সমস্যার সমাধান হয়েছে এটাই অনেক। ভালো লাগলো পুরো পোস্টটা পড়ে। আসলে এ ধরনের পোস্টগুলো আমার বেশি ভালো লাগে পড়তে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.034
BTC 64116.01
ETH 2758.41
USDT 1.00
SBD 2.65