মতুয়া সংঘের রথযাত্রায়
নমস্কার বন্ধুরা,
রাধাগোবিন্দ মন্দিরের রথের মেলা দেখে ফেরার পথে মতুয়া সংঘের রথের মেলায় গিয়েছিলাম। আসলে আমরা প্ল্যানটা সেরকমই ছিল কিন্তু বেশিরভাগ সময় প্ল্যান করলেই যে সেটার সঠিক এক্সিকিউশন হবে তা কিন্তু নয় তবে এক্ষেত্রে আমার প্ল্যানটা খুব সুন্দর ভাবেই ছকে বসেছিল। দুপুরে মাঝারি বৃষ্টির পর রথযাত্রায় যাওয়া প্রথমে এক প্রকার অনিশ্চয় ছিলো কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুটো রথযাত্রাতেই যেতে পারলাম। তখন একটা কথাই মনে পড়ল, ঠাকুর যদি চান তাহলে সবই সম্ভব।
রাধাগোবিন্দ মন্দিরের রথ বেরিয়ে যাওয়ার পর মেলার ভিড়টা একটু কম হলেও গাড়ি চলার রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ থাকায় বাড়ি ফেরা নিয়েই বেশ সংশয় ছিল আর মতুয়া সংঘের রথযাত্রায় দুরস্ত কিন্তু ওই তো ঠাকুর চাইলে সবকিছুই সম্ভব। পেয়ে গেলাম এক বাইক ওয়ালাকে যে আমাদের দিকে ফিরছিলো। বাইকে চড়ে বসলাম আর হিমেল হাওয়া গায়ে লাগিয়ে আরেক রথের মেলায় পৌঁছে গেলাম।
পৌঁছে দেখি সবে রথ টানা শুরু হয়েছে। লোকজন রথ টানছে। সামনে রথের বাজনা আর তার পিছনে দুটো রথ আসছে।
আমিও সুযোগ বুঝে রথের দড়িতে অল্প একটু হাত দিয়ে প্রণাম করে সোজা গেলাম খিচুড়ি প্রসাদ নেওয়ার জন্য।
ইচ্ছে ছিলো রাধাগোবিন্দ মন্দিরের খিচুড়ি প্রসাদ নেওয়ার কিন্তু ওদিকে খিচুড়ি প্রসাদ নিতে গেলে মতুয়া রথযাত্রায় আসা হতো না।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এই রথযাত্রা উৎসবের কথা অনেক শুনেছি তবে কখনো দেখিনি। আমাদের দিকে এই উপলক্ষ্যে সেরকম কোনো মেলাও হয় না। এবং শুনেছি এইসব অনুষ্টানের খিচুড়ি প্রসাদ নাকী অনেক সুস্বাদু হয়। আপনার পোস্ট টা দেখে সেরকম টাই মনে হচ্ছে।
ইদানিং আপনার বেশ কয়েকটি রথযাত্রার পোস্ট পড়েছি ও রথযাত্রার চমৎকার ফটোগ্রাফ উপভোগ করেছি। ছোটবেলায় মন্দিরের প্রাসাদ অনেক খেয়েছি । ভালো লাগলো আপনার শেয়ার প্রকৃত পোস্ট পড়ে।
ঠাকুর চাইলে আসলেই সব কিছু সম্ভব। জগন্নাথ দেব চেয়েছিলেন তাই এই রথটা মিস হয় নি আর। ভালোই ঘোরাঘুরি হয়েছে দেখি। আমাদের এদিকে অতটা জাগজমোক হয় না। তবু যেটুকু হয় সেটাই আমাদের জন্য জগন্নাথ দেবের অসীম কৃপা।
ঠিক বলেছেন দাদা,সবই ঠাকুরের লীলা।মতুয়ারা খুবই ঠাকুর ভক্ত হন।আর দাদা খিচুড়ি প্রসাদ এটা তো অমৃত ,আমি খুবই পছন্দ করি।দারুণ সময় কাটিয়েছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এখানে এমন কোন অনুষ্ঠান নেই যার জন্য এনজয় করতে পারে না এ জাতীয় উৎসবগুলো। খুবই ভালো লেগেছে আপনার আজকের এই পোস্ট দেখতে পেরে।
আমিও উল্টো রথে ঘুরে আসলাম। তবে তোমার মত দুই জায়গায় যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি আমার। একজায়গায় ঘুরে আসতে অনেক রাত হয়ে গেছিলো। তবে উল্টো রথের প্রসাদও আমার সৌভাগ্য হয়নি খাওয়ার যেটা আমি খুব এক্সপেক্ট করেছিলাম। ভগবান তোমার মঙ্গল করুক। ভালো থেকো তুমি দাদা।