পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : মুদিয়ালি ক্লাব
নমস্কার বন্ধুরা,
বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পুজো হয় হাজার হাজার শিল্পীর হাত ধরে। অগণিত মানুষের পরিশ্রম দিয়ে গড়ে ওঠে মন্ডপ। পুজোর বিশেষ কয়েকটা দিন বাঙালির জীবনে উজ্জ্বল করে দেওয়ার পেছনে থাকে বহু মানুষের হাত। মণ্ডপ, প্রতিমা, মন্ডপের আলোক সজ্জা সবকিছুতেই অনেক মানুষ তাদের সারাবছর নিয়োজিত করে থাকেন। মন্ডপের নানা কাজে জড়িয়ে অসংখ্য শিল্পী। শিল্পীদের সমাহারেই পুজোর কয়েকটা দিন হয়ে উঠে আলোকজ্জ্বল।
ত্রিকোণ পার্ক পুজো কমিটির দুর্গা পুজো দেখবার পরে রাস্তার বিপরীত দিকে অল্প কিছুটা হাঁটতেই পেয়ে গেলাম মুদিয়ালি ক্লাব। দক্ষিণ কলকাতার পুজো গুলির মধ্যে সুপরিচিত মুদিয়ালি ক্লাবের পুজো এবারে ৮৯ তম বছরে পড়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের দুর্গা পুজোয় সেই সমস্ত শিল্পী এবং কুশলীদের নিয়ে যাদের সৌজন্যে সম্পুর্ন পুজো নির্বিঘ্নে সংঘটিত হয়, কদিনের জন্য রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি। সেই শিল্পীদের কর্মকে সম্মান জানিয়ে মুদিয়ালি ক্লাবের এবারের পুজোর ভাবনা "সমাহারে সমারোহ"।
মুদিয়ালী ক্লাবের পরিসর যথেষ্ট ছোট হওয়ার জন্য তারা অল্প জায়গাতেই পুজো মণ্ডপটি বানিয়ে থাকে। হাতে পরিসর অত্যন্ত কম থাকলেও তারা অল্প জায়গাতেই খুব সুন্দরভাবে তাদের ভাবনা ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়। এ বছরে তাদের পুজো মণ্ডপের পুরো কাজই হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ধাতু দিয়ে। মূলত তামা এবং পিতলের সাহায্যে পুরো মন্ডপ তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপের বাইরেটা যেমন পেতলের নানা মাপের বাসন দিয়ে বানানো তেমনি প্যান্ডেলের ভেতরের কারুকার্য তামা এবং পিতল দিয়ে করা। চতুর্থীর সামান্য ভীড় ঠেলে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম পুজো মন্ডপের সামনে। কাছে গিয়ে বুঝতে পারলাম মন্ডপের উপর দিকটাতে যে মুখ মন্ডল বানানো যা পিতলের ছোটো ছোটো ঘটি দিয়ে তৈরি।
মন্ডপের ভিতরের কাজ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের লোক শিল্পের আদলে এবং সেই গুলো বানানো হয়েছে ধাতু দিয়েই। যেগুলো মণ্ডপের আলোকসজ্জায় আরো বেশি সুন্দর ফুটে উঠেছে।
মণ্ডপের মধ্যমনি রূপে মা দুর্গা বিরাজ করছেন। মণ্ডপের কাজে ধাতুর হলেও মায়ের প্রতিমাতে অন্যান্য বছরের মতোই সাবেকি ছোঁয়া রয়েছে। মায়ের অলংকার পিতল দিয়ে করা।
আমার মনে হয় কলকাতার মতো বিশ্বের কোথাও এতো জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করা হয় না পূজার সময়। মুদিয়ালি ক্লাবের আয়োজন সীমিত পরিসরে হলেও দেখতে দারুণ লাগছে। আসলেই শিল্পীরা এতো দক্ষতার সাথে সবকিছু তৈরি করে, যা দেখে চোখ ফেরানো যায় না। মন্ডপ,প্রতিমা এবং আলোকসজ্জা সবকিছুই এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও! খুব সুন্দর করেছে তো দাদা এই "মুদিয়ালি ক্লাবের" পুজো প্যান্ডেল টি। মন্ডপের ভিতরে ধাতু দিয়ে করা কাজ অনেক সুন্দর লাগছে । এছাড়া বাইরের অংশেও অনেক সুন্দর কাজ করেছে মণ্ডপ তৈরিকারী শিল্পীরা। এইবার কলকাতার পুজো না দেখে সত্যিই অনেক কিছু মিস করে ফেলেছি । তোমাদের সবার শেয়ার করা ফোটোগুলো দেখেই এইবারের কলকাতার পুজো দেখা সম্পন্ন করলাম দাদা।