কবিতা : ‘জীবন সংগ্রাম’ - তনুজা সরকার | আবৃত্তিতে : নির্মাল্য
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলে সুস্থ। আজ আপনাদের কাছে আরো একটি নতুন কবিতা আবৃত্তি নিয়ে হাজির হয়েছি।
আজ আপনাদের সামনে আমাদের সকলের প্রিয় তনুজা দির আরেকটি কবিতা আবৃত্তি রূপে তুলে ধরছি। আবৃত্তি সিরিজের এটি আমার অষ্টম উপস্থাপনা। আমার আজকের পরিবেশন, জীবন সমুদ্র। তনুজা দির প্রতি লেখাতেই জীবনধর্মী বাস্তবতা লুকিয়ে থাকে, জীবন সংগ্রামে কবিতাটিতেও তার বিপরীত হয়নি। আজকের কবিতায় লেখিকা আমাদের জীবনের সংকীর্ণতা গুলো কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথাই বোঝাতে চেয়েছেন। যেটা কবিতাটির অভিমত পর্যায়ে গিয়ে আরো আলোচনা করা হবে। তাহলে দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
একবার ছুঁয়ে দেখো ম্যাজিক হয়ে যাবে
জীবন অনেক বড় তুমি যতটা ভাবো
তার থেকে অনেক বড়।
সেই বড় জীবনে তুমি অনেক ছোট হয়ে আছো
একবার অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসো।
দেখো দুচোখ ভরে বুক ভরে নাও নিঃশ্বাস
আমার সারা অন্তর জুড়ে আলো আর আলো
তুমি বড় হও তুমি বড় জীবনকে নিয়ে
আরো এগিয়ে যাও।
একদিন শেষ রাতে পূর্ণিমা চাঁদ কে সাথে নিয়ে
আমি বেরিয়ে পড়েছি একাকী,
পথ চলেছি অজানা উদ্দেশ্যে।
ভোর হলে আমি পৌঁছে যাবো অচিন নগরে।
আমাকে কেউ চিনবে না,
সবাই জিজ্ঞাসু চোখে আমার দিকে তাকাবে।
উত্তর তাদের কারও কাম্য নয়,
আমার উত্তর দেবার দায় আছে,
তুমি আর অন্ধকারে নিজেকে আটকে রেখো না।
আলোর মিছিলে তোমাকে বড় দরকার।
জীবন সমুদ্রের মাঝে।
তুমি পৌছে দাও তাদের নিজ নিজ ও তীরে।
তোমাকে আরো বেশি দরকার,
আমার এই রাস্তায় এই অচিন নগরে।
আমার একটা হাত চাই,
যে হাতটা ধরে আমি একটু সাহস পাব।।
জীবন সমুদ্র কবিতায় কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে, সমুদ্রের ন্যায় বড় ও উত্তাল এই জীবনে আমাদের ঢেউ কাটিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। আমরা প্রায় সকলেই নিজেদের ধরা বাধার জায়গা গুলোতে আটকে থাকি আর কবি সে থেকেই বেরিয়ে আসতে বলছেন। যারা জীবনের ঢেউ সামলাতে না পেরে জীবনটাকে অনেকটা বড় ভাবছে তাদের কল্পনার থেকেও জীবনটা আরো অনেক বেশি বড়। সমুদ্রের ঢেউ যেমন থেমে যায় তেমনি আমাদের জীবনের সংকীর্ণ সময় গুলোও কেটে যাবে তাই যেন আমরা থেমে না যাই।
অন্ধকার কাটিয়ে আলোর দুনিয়ায় আমাদেরকে বেরিয়ে পড়তে হবে। উদ্দেশ্যহীনভাবে হলেও আমাদেরকে চলতে হবে, নতুন আলোর পথে।
লেখিকা আরো বলেছেন আমরা যেন জীবনের অন্ধকার সময়ে নিজেকে আটকে না রেখে সামনে এগিয়ে যাই। অন্ধকারে আটকে থাকা প্রিয় মানুষগুলোর লেখিকার একই ভাবে আবহান যে তারাও যেন অন্ধকারে কাটিয়ে এগিয়ে আসে কারণ সংগ্রামের দিনগুলিতে প্রিয় মানুষ গুলোর বেশি প্রয়োজন। জীবনের অন্ধকার সময়গুলো ও সংকীর্ণতা গুলোকে কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে কাছের মানুষগুলোর বড়ই প্রয়োজন।
কবির সার্থকতা এখানেই যে কবি শুধু জীবন সংগ্রাম গুলোকে একা জয় করতে বলেনি, তিনি সাথে কাছের মানুষগুলোকে চেয়েছেন। কারণ কাছের মানুষ গুলোই সাহস জোগাবে, জীবনে সংগ্রামে।
সত্যিই কবিতাটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এবং দাদা আপনি ব্যাক্তিগত মতামতে খুবই সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন কবিতাটির।
দাদা নমস্কার
দাদা কি বলবো নতুন করে কিছু বলার নাই ৷কথায় বলে না মনের কথা গুলো কাউকে বলে বোঝাতে পারা যায় না ৷খুব সুন্দর করে লিখেছেন দাদা ৷বোঝার অনেক কথা ৷
ধন্যবাদ দাদা নমস্কার
সত্যি বলতে দাদা অসাধারণ ছিল। আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনে একটু অবাক হলাম আবার বেশ ভালোও লাগছে। যেমন সুন্দর কবিতা তেমন সুন্দর আবৃত্তি। অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
লড়াই দাদার অসাধারণ একটি কবিতা। আপনার কন্ঠে দাদার কবিতাটি আবৃত্তি শুনে অনেক ভালো লাগলো ।আপনি বরাবর দাদা আর তনুজা দিদি ও blacks দাদার কবিতাগুলো অনেক সুন্দর ভাবে আবৃত্তি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। আমিও কবিতা আবৃত্তি করতে অনেক ভালবাসি তাই আপনার এই কাজগুলো আমার অনেক ভালো লাগে।
দাদা আপনার কন্ঠে "জীবন সংগ্রাম" কবিতাটির আবৃত্তি শুনে সত্যি আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনার মিষ্টি কন্ঠে কবিতাটি অতি চমৎকার ভাবে উচ্চারিত হয়েছে। অনেক সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
দাদা কবিতার টি পড়তে কিন্তু আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আর কবিতাটি যে উনার লেখা তো আমার জানা ছিল না। আর আপনার কবিতা পাঠ আমার বেশ ভালো লাগলো। আরো ভালো লাগলো এটা চিনে যে এটা আপনার অষ্টম কবিতা আবৃতি।
ভাইয়া আপনার কন্ঠে এই কবিতা আবৃতি শুনে খুবই ভালো লাগলো। এছাড়াও আপনি এই কবিতা সম্পর্কে নিজস্ব মতামত এবং কবিতার গভীরতা আপনার লেখার মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনি খুবই চমৎকারভাবে কবিতা আবৃত্তি করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
খুব সুন্দর করেছ দাদা, বৌদি এক একটা কবিতা এত সুন্দর লেখে, আমিও চলতি পথে গুন গুন করে গান গাওয়ার মত আওড়ে উঠি কবিতার কিছু লাইন। খুব ভালো আবৃত্তি করছো। এগিয়ে যাও এভাবেই।