বরযাত্রী ও পেটপুজো // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার,
গায়ে হলুদ পর্বের শেষে খাওয়া দাওয়া মিটিয়ে আমি আরেক দিদির বাড়ি চলে আসি। আসলে অল্প ঘুম না দিতে পারলে রাতে বিয়েতে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হতো না।
সন্ধ্যা অবধি ঘুমিয়ে ফের বিয়ের দিকে রওনা দিলাম। পৌঁছে দেখি সবে বর/মামাকে সাজানো শুরু হয়েছে, পাঞ্জাবি আর ধুতি গায়ে চড়িয়ে আঁটোসাঁটো করা চলছে। কিছুক্ষনের মধ্যেই বরকে সাজিয়ে ফেলতেই মেয়ের বাড়ি যাওয়ার পালা চলে এলো।
ফুল দিয়ে সাজানো গাড়ি ফ্ল্যাটের ঠিক নীচেই দাঁড়িয়ে ছিলো। মামা ধুতি, পাঞ্জাবির সাথে মাথায় টোপর পড়ে নীচে নেমে গাড়িতে উঠে পড়তেই বরপক্ষের কনের বাড়ির উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করলো।
কনে বাড়ি মাত্র দু কিলোমিটার দূরে তবুও বাড়িটা যেহেতু গলির ভেতরে তাই গাড়ি চেপে বেশ ঘুরে ঘুরেই যেতে হলো। গাড়ি কনেপক্ষের বাড়ির সামনে দাঁড়াতেই মেয়েপক্ষ হবু জামাইকে বরণ করে ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লো। আসলে নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের দিন হবু জামাই বিয়ে করতে আসলে বাড়ির বড়রা আশীর্বাদ ও মিষ্টিমুখ করিয়ে আগে বাড়িতে নিয়ে যান। সেই নিয়ম মেনেই মেয়েপক্ষের বাড়ির বড়রা মামাকে বেশ আদর যত্ন করে আশীর্বাদ ও মিষ্টিমুখ করিয়ে ঘরে নিয়ে গেলো।
আসলে ঘরে নিয়ে যাওয়ার পেছনেও একটা কারণ আছে তা হলো বিয়ে করার সময় বরকে মেয়েবাড়ির দেওয়া ধুতি-পাঞ্জাবি পড়তে হবে। মামা লজ্জা পাবে তাই আমরাও মামার সাথে ঘরে গিয়ে খানিকক্ষণ আড্ডা দিয়ে নতুন ধুতি-পাঞ্জাবি পরিয়ে বিবাহ মন্ডপের দিকে হাঁটা দিলাম। ঘরে বসেই আমার মনটা উসখুস করছিলো কতক্ষণে খাওয়ার দিকে যাওয়া যায় যা বিয়েতে আসবার আমার অন্যতম কারণ 😆।
বিয়ের মন্ডপে ঢুকতেই দেখলাম খাওয়ার প্যান্ডেল থেকে লোকজন বেরিয়ে আসছে। বিয়ে শুরুর আগেই খাবার পর্বটা সেরে ফেললে ভালো হয় তাই আমি সময় নষ্ট না করে ভাগ্নে-ভাগ্নিদের খাওয়ার জন্য রাজি করিয়ে নিলাম।
খাওয়ার জন্য বসতেই খাবার প্লেট আর খাবার মেনু পেয়ে গেলাম। খাবার মেনুটা বেশ অভিনব লাগলো আমার। সাধারণত মেনু কাগজের কার্ডে ছাপা হয় তবে এটা ছাপা ছিলো ছোটো একটা ব্যাগে। আর ব্যাগটির ভেতরে ছিলো জলের বোতল।
সাদা ভাত, ডাল, পনিরের তরকারি ও স্যালাড প্রাথমিক খাওয়া শেষ করে মূল আকর্ষণে চলে গেলাম খাসির মাংস 😆।
খাসির মাংস মুখে নিতেই আমার মনটা ভেঙে গেলো। খাসির মাংসটা যতটা নরম হবে আশা করেছিলাম তার তুলনায় অনেকটাই শক্ত ছিলো। ভেবেছিলাম আট দশ পিস মাংস খাবো কিন্তু চার পিসেই থেমে যেতে হলো।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাহ বর আর কনের বাড়ি দেখছি পাশাপাশি।তবে দাদা আপনার বিয়ের দাওয়াত টা কবে পাচ্ছি😍।
আর ভালই ভুঁড়ি ভোজ করেছেন দেখছি।হাহা যদিও বিয়ের বাড়ি মানেই খাওয়া দাওয়া 🤭।আর আমার কাছেও খাবার মেনু টা একটু ইউনিক লেগেছে।
খুবই ইউনিক ছিলো।
Saludos Steemian, @kingporos, Tu post ha sido recompensado por @alejos7ven del Cotina Team.
Si deseas apoyar a la comunidad considera delegar Steem Power a @cotina o Votar por nuestro Witness
Gracias mate 🤗
বিয়ে বাড়ি মানেই ভুরিভোজ।আপনার বিয়ে বাড়িটা দারুণ আনন্দে কেটেছে বুঝতে পারছি।মেনুগুলো সুন্দর ছিল।তবে আমার কাছে কালকন্দ এই আইটেমটি নতুন মনে হয়েছে।তবে দাদা আপনি যে শক্ত খাসির মাংস বেশি খেয়ে দাঁত ভাঙেননি এটা ভালো করেছেন।হি হি
কালাকাদ ছানা দিয়ে তৈরী করে। উত্তরবঙ্গে খুবই জনপ্রিয়।
আপনাদের বিয়ের অনুষ্ঠানটা আমার খুবই ভালো লাগে। এইযে বরকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টা কিছুটা আনন্দদায়ক। যাইহোক খুব ভাল লেগেছে আপনার এই বিয়ে বিষয়ক পোস্ট পড়তে পেরে। হয়তো নতুন কিছু ভালোভাবে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ দাদা আপনাকেও জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।
আমিও বিয়েতে অনেক কিছু নতুন দেখলাম।
দাদা বিয়ের অনুষ্ঠান টা খুব সুন্দর ছিল। বিশেষ করে খাবারের অভিনব মেনু দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এছাড়া আপনি বিয়েটি ও বেশ উপভোগ করেছে। হয়তোবা একটু না ঘুমালে আপনি রাতের বিয়েতে আনন্দ উপভোগ ভালোভাবে করতে পারতেন না। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঘুম পূর্ণ না হয়েও বিশেষ অসুবিধা হয়নি।
আসলে দাদা বরযাত্রী তে খাওয়া-দাওয়ার একটি অন্যরকম মজা পাওয়া যায়। আর আপনি আমাদের মাঝে খাবারের যে মেনুটি শেয়ার করেছেন তা দেখে তো আমার এখনই ইচ্ছা করছে খাবারগুলো খেতে। খাবারের মেনু গুলো দেখে আমার খিদের পরিমাণটা অনেক বৃদ্ধি পেয়ে গেল।
তাই জন্যই তো শেয়ার করা। হিঃ হিঃ