অন্ধকারের আশ্চর্য: পর্ব ৭
নমস্কার বন্ধুরা,
অন্ধকারের আশ্চর্য: পর্ব ৬ এর পর...
শীতের রাতের নিস্তব্ধতা ফাটিয়ে দেওয়া সেই আওয়াজে দুজনে রীতিমতো ভয় পেয়ে মাঠের মধ্যে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো। আওয়াজ থেমে গেলে দুজনে দাঁড়িয়ে হাটবার চেষ্টা করলো কিন্তু বুঝতে পারলো তাদের পায়ে হাঁটার মতো শক্তি টুকুও নেই। অন্ধকারে দুজন দুজনের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে। দুজনের মনে একটাই প্রশ্ন, কিসের আওয়াজ?
কিছুটা সময় মাঠেই চুপচাপ বসে থাকার পর সুকেশ প্রাথমিক ভাবে কিছুটা ভয় কাটিয়ে উঠে থিতু হয়ে সুদীপ্তকে বললো, হয়তো কোনো বড়ো মাছ জলে নড়াচড়া করছে তাতেই এমন আওয়াজ। তারপর বুকে অল্প সাহস নিয়ে দুজনে ফের খাড়ির পানে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলো। আওয়াজের কারণটা তাদের জানা আবশ্যিক, সেটা জানতে না পারলে তারা শান্তি পাবে না। খাড়িতে টর্চ মেরে কিছুই দেখতে পাওয়া গেলো না। জলে শুধু অল্প স্রোত। খাড়ির দিকে দুটো টর্চের আলো ধরে দুজনে তাকিয়ে আছে এমন সময় আবার দড়াম করে আওয়াজটা হলো তবে মনে হলো এখন আওয়াজটা বেশ কিছুটা দূর থেকে এলো।
দুজনের মুখে কোনো প্রকার রা নেই। ঘটনার আকস্মিকতায় দুজনেই ভয় সিঁটিয়ে গেছে। সুদীপ্ত ভুতে বিশ্বাস করেনা তবে মাঠের মাঝে কনকনে শীতে এমন অলৌকিক জিনিসপত্র কানে এলে কার না ভয় করবে। কিছু পরে সুকেশ ফের বলে উঠলো,
- এখানে দাঁড়িয়ে থাকাটা ঠিক হবে না চলো পা চালিয়ে বাড়ি ফিরে চলে যাই। সকালে উঠে বাকিটা দেখা যাবে।
দুজন গট গট করে গ্রামের উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করে দিলো। কুয়াশার মধ্যে জোরে হাঁটতে গিয়ে সুদীপ্তর ডান পায়ের জুতোটা ছিড়ে গেলো কিন্তু সেদিকে খেয়াল করার করবার সময় নেই। সুদীপ্ত যে ছেঁড়া জুতো খানি হাতে তুলবে সেটার মতন সাহস তার নেই তাই এক পায়ের জুতো মাঠে ছেড়েই হাঁটতে থাকলো। পেছন থেকে তখন মাঝে মধ্যে সেই দড়াম করে আওয়াজটা আসছে।
গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছতেই আওয়াজের তীব্রতা অনেকটা কমে গেল ঠিকই কিন্তু আওয়াজটা পুরোপুরি থামেনি। ক্ষীণ ভাবে হলেও আওয়াজটা অনবরত এসেই চলেছে। তবে দুজনে যেন ঠিক করে নিয়েছিল পেছনে যাই হয়ে যাক না কেন তারা ফিরেও তাকাবে না।
কোনো প্রকারে হনহনিয়ে হেঁটে গ্রামের রাস্তার মোড়ে ল্যাম্প পোস্টের আলো পেয়ে দুজনে অবশেষে হাফ ছেড়ে বাঁচলো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাপরে বাপ। কি ভয়ঙ্কর গল্পরে বাপ। আমি হলেও এমন আওয়াজ পেলে বুক ফেটে মরেই যেতাম। তারা যে কি করে এতো বিকট আওয়াজ সহ্য করলো। তবুও রক্ষে যে শেষ অবদি গ্রামের রাস্তার মোড়ে পৌছাতে পেরেছে। এবার দেখা যাক আগামী পর্বে আরও কি আকর্ষণ রয়েছে। ধন্যবাদ দাদা এতো গা ঝিমঝিম শব্দের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
তাহলে শীতে এমন মাঠে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।