দিদির জন্মদিন // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার,
বৌভাত সমাপ্ত হতেই বিবাহ অনুষ্ঠানের ইতি। মাঝের তিনটে দিন কিভাবে যে কেটে গেলো বুঝতেও পারিনি। ঢালা বিছানা পেতে সবাই মিলে একসাথে থাকা, গল্প করা, খাওয়া দাওয়া করা। অনুষ্ঠান গুলোতে শুধুমাত্র এসবের জন্যই আসা যায়। তিনটে দিন খুব মজা করে অবশেষে কলকাতা ফেরার পালা। আবহাওয়া ও টিকিটের নিশ্চিত হওয়া দ্বিধা থাকায় আমি আগে থেকেই দুটো আলাদা আলাদা ট্রেনের টিকিট কাটি, একটা সকাল ৮ টার অন্যটা রাত ১১ টার।
ঘুম থেকে উঠে জামাই বাবু কানে কানে জানালো আজকে দিদির জন্মদিন তাই আমি রাতে যাওয়ার সিন্ধান্ত নিতে দেরী করলাম না। দিদির অজান্তে জামাইবাবু আমি আর ভাগ্নে মিলে রাতে জন্মদিন পালনের স্থির করলাম।
আমি নিজেও সকালের ট্রেনে যাওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলাম না কারণটা মাত্রাতিরিক্ত গরম। দিন বাড়ার সাথে সাথে গরম বাড়বে আর সারাদিন ট্রেনে আটকে থাকবো। তাই ধীরে সুস্থে উঠে রাতের যাওয়াটা স্থির করলাম।
সন্ধ্যা হতেই চুপিসারে জন্মদিনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হলো। আমি আর ভাগ্নে চলে গেলাম কেক কিনতে। কেক কেনার পর দিদিকে উপহার কি দেবো তা নিয়ে ধন্দে পড়লাম। আসলে বয়সে বড় মানুষকে কিই বা গিফট দিই সেটা ঠিক করতে পারছিলাম না। অনেক ভাবনাচিন্তা করে শেষমেষ আমুলের চকলেট দেওয়া স্থির করলাম।
কেক আর চকলেটটা নিয়ে এসে চুপিসারে রান্না ঘরে ঢুকিয়ে বাড়ির বাকিদের জন্মদিনের কথা জানানো হলো। আর দিদিকে বিয়ে বাড়ি যাওয়া হবে বলে ভালো শাড়ি পড়তে বলা হলো।
দিদি শাড়ি বদলাতে গেলেই আমরা ধীরে ধীরে কেকটা সাজিয়ে নিলাম। আর কেকের পাশে জামাইবাবুর হাতে বানানো গুড়ের পায়েস ঠাঁই হলো।
দিদি ঘর থেকে কাপড় পরে বেরোতেই আমরা সবাই শুভ জন্মদিন বলে চিৎকার করে উঠলাম। দিদি আশ্চর্য! তারপর দিদিকে বসিয়ে কেক কাটা হলো সবাই মিলে আশীর্বাদ করলো। আর জামাইবাবুর হাতের পায়েসটা তুলে দেওয়া হলো।
হইচই করে দিদির জন্মদিন পালন করা হলো। খুব মজা করলাম। বিয়ে শেষ হয়ে যাওয়ায় মন যেটুকু খারাপ হয়েছিলো সেটা কেটে গেলো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
প্রথমেই আপনার দিদির জন্মদিনে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আপনার দিদির জন্মদিনের রইল অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা। আশা করি পরবর্তী জীবন আপনাদের পরিবারের সকলের অনেক সুখের এবং সমৃদ্ধি হবে। ধন্যবাদ এমন একটি বিশেষ মুহূর্ত আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার দিদির জন্মদিন উপলক্ষে প্রথমে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আসলে বিয়ে বাড়িতে সবাই মিলে একসাথে ঢালাও বিছানা পেরে থাকার মজাই আলাদা। এই মজা কখনো অন্য কোথাও পাওয়া যায় না
বিয়ে বাড়িতে ব্যস্ত সময় কাটানোর পরে সাধারণত ক্লান্তি আসে। আপনারও তাই এসেছিল হয়ত। আপনার দিদির জন্মদিন উপলক্ষে আপনি দারুন একটি সময় কাটিয়েছেন। জন্মদিনের মতোই প্রতিদিন আপনার দিদির জীবনে আসুক সেই কামনা করছে। বিয়ে শেষে আপনার মন খারাপ হইলেও এবং জন্মদিন উপলক্ষে তা বেশ উৎফুল্ল হয়েছে বলে আশা করছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার দিদিকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। নানান ব্যস্ততার মাঝেও খুব সুন্দর একটা জন্মদিন উদযাপন করেছেন। আমাদের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ওয়াও আসলে দাদা এটা আপনার দিদির জন্য একটা স্পেশাল সারপ্রাইজ ছিল। কে না অবাক হবে এত সুন্দর একটা আচমকা সারপ্রাইজ ফেলে। তবে জন্মদিনটা যদিও ঘনঘটা করে হয়নি, তবে আনন্দটা তার চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে বুঝতেই পারছি। আমিও অনেক সময় বিভিন্ন দাওয়াত পেলে সারপ্রাইজ নিয়ে দিবে ধন্দে পড়ে যাই। আর আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, আপনার জন্য রইল ভালোবাসা অভিরাম।
প্রথমেই দিদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। এভাবেই কোন প্রোগ্রামে ঢালা বিছানাতে সবাই ঘুমাতে মজাই আলাদা।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ দাদা।
প্রথমে আপনার দিদির জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই এই দিনটি দিদির জীবনে বার বার ফিরে আসুক এবং পরিবারের সকলকে নিয়ে খুবই আনন্দময় দিন কাটাক এই দোয়া করি, আসলে রাতের বেলা ট্রেন জার্নি করতে আমার খুব ভালো লাগে দাদা। আপনার দিদির সাথে খুবই সুন্দর সময় পার করেছেন, খুবই ভালো লাগলো। আপনাদের জন্য রইল শুভকামনা।
দিনে গরমের জন্য ট্রেন জার্নিটা আমারও পছন্দ না। রাতের ট্রেনে গিয়ে বেশ ভালো করেছেন দাদা। এবং এটাই একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আসলেই বড়দের জন্য যে কী গিফট কিনব এটা নিয়ে অনেক সময় আমি নিজেও দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে পড়ে যায়। যাইহোক দারুণভাবে পালন করলেন দিদির জন্মদিন টা। এবং পায়েস টা বেশ লোভনীয় লাগছে।।
প্রথমেই আপনার দিদিকে জানাই জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। চুপিসারে জামাইবাবু, ভাগ্নে মিলে দিদির জন্মদিন পালন করার আইডিয়াটা বেশ ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই আপনার দিদি এরকম জন্মদিনের সারপ্রাইজ পেয়ে বেশ আনন্দের ছিল। খুব সুন্দর ভাবে পুরো মুহূর্তটি কাটালেন। আমার কাছে মুহূর্তটা বেশ ভালই লেগেছে। এরকম মুহূর্ত কাটাতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে।
এই ধরনের সারপ্রাইজ বার্থডে পার্টি আয়োজনে শামিল হতে পারলে ভালই লাগে। আপনার দিদি তো মনে হয় চমকে গিয়েছে। হঠাৎ করে কথা নেই বার্তা নেই সকলে একসাথে উইশ করা শুরু করলেন। বেশ মজার ছিলো ব্যাপারটা। দিনের বেলায় জার্নি এড়িয়ে খুবই বুদ্ধিমানের মতো কাজ করেছেন। রাতের জার্নিটা অনেক আরামদায়ক হয়। চমৎকার করে গুছিয়ে লিখেছেন। পোস্টটা পড়ে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনজনের এমন সারপ্রাইজ জন্মদিন উদযাপন করতে ভালোই লাগে তাই না।আমার কাছে অন্তত নিজের জন্মদিনের চাইতে অন্যের জন্মদিনে কিছু করতে পারাতেই বেশি ভালো লাগে। আমার পক্ষ থেকে দিদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেবেন। ধন্যবাদ দাদা