২-রা ভাদ্র, ১৪২৮ // বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
২-রা ভাদ্র, ১৪২৮
নমস্কার,
A graphic illustration conveys a stronger message than words, as in The book jacket is a big selling point—one picture is worth a thousand words. - Fred R. Barnard
একটি ছবি হাজারো শব্দের প্রতিরূপ। ফ্রেড বার্নার্ডের এই বিখ্যাত উক্তিটি পৃথিবীতে খুব কম মানুষই আছেন যারা শোনেননি।
নিলোফার দেমিরের ডেথ অফ এলান কুর্দি কিংবা কেভিন কার্টারের ১৯৯৪ সালে পুলিতজার পুরষ্কার প্রাপ্ত দা ভালচার এন্ড দা লিটিল গার্ল যেকোনো মানুষকে ভেতর থেকে নাড়িয়ে দেবে। ছবির ক্ষমতাটা ঠিক এখানেই। কোনো শব্দের ব্যবহার ছাড়াই পরিস্থিতি ফুটিয়ে তুলতে স্বক্ষম।
পটভূমি
বিশ্ব আলোকচিত্র দিবসের শুরু হয় 'ডাগুরোটাইপ' প্রক্রিয়া আবিষ্কারের পর। আলোকচিত্র তুলবার এই প্রক্রিয়াটি ১৮৩৭ সালে ফরাসি নাগরিক লুই ডাগুরে এবং জোসেফ নাইসফোর নিপসে উদ্ভাবন করেছিলেন। তাঁর দু বছর পরে, ১৮৩৯ সালের ৯ ই জানুয়ারি, ফরাসি একাডেমি অফ সায়েন্সস আনুষ্ঠানিকভাবে ডাগুরোটাইপকে পদ্ধতিটিকে মান্যতা দেন। ফরাসি সরকার ওই যন্ত্রের স্বত্ত্ব কিনে এটিকে বিশ্বের কাছে বিনামূল্যে উপলব্ধ করেন। তারপর থেকে প্রতিবছর ১৯ শে আগস্ট তারিখকে বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
আমি আজ ইংরেজির ১৯ শে আগস্ট তারিখে বিশ্ব আলোকচিত্র দিবসে আমার বাংলা ব্লগের দাদা, ভাই, বোন এবং দিদিদের সাথে আমার তোলা আগস্ট মাসের সেরা ছয়টি ছবি তুলে ধরতে চাই।
প্রথম ছবিটি একটি নাম না জানা একটি ফুলের। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ধর্মতলা যেতে হলে, বউবাজারের মাঝ দিয়ে বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিট ধরতে হয়। কয়েকদিন আগে ওই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবার পথে এই ফুলটি আমার নজর আসে। অদ্ভুত ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই কংক্রিটের রাজ্যে। তাই এটার নাম দিয়েছি কংক্রিটের জীবন।
বাড়ি থেকে যেদিন না খেয়ে যাই, সেদিন ক্লায়েন্ট অফিসের কাছেই দুপুরের খাবারটা সেরে নিই। নামহীন এই দোকানটি একজন দ্বিতীয় প্রজন্মের তামিল মানুষ চালান। তাঁর মুখে শুনেছি বাবা কাজের সূত্রে কলকাতা এসেছিলেন তারপর আর ফিরে যাননি। দোকান দেন ইডলি, ধোসার। কমদামে নির্ভেজাল খাবার। একদিন খাবার শেষ করেই ছবি তুলি ওনার কর্মব্যস্ততার। এটাই আমার দ্বিতীয় ছবি। সিটি লাইফ।
তৃতীয় যে ছবিটি আমি তুলে ধরবো তা একটা রেল লাইনের। কাজের সূত্রে বেরিয়ে আটকে পড়েছিলাম নৈহাটি স্টেশনে। প্রায় ঘণ্টাখানেক ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল সেদিন। স্টেশনটা ঘুরে ফিরে দেখার সময় এই ছবিটা তুলি। নাম দিই পাথওয়ে টু হেভেন।
আমার জীবনে সবচাইতে বৃষ্টিপাত হয়তো এই বছরেই দেখছি। প্রতিদিনই হয়ে চলেছে। কবে যে শেষ সকাল বেলায় সূর্য্য দেখেছি তা খেয়াল নেই। সেদিন কি কারনে ভোরবেলায় ঘুমটা ভেঙে যায়। জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখি সূর্য্য মেঘের মধ্যে দিয়ে উঁকি মারছে। এটাই আমার চতুর্থ পছন্দ। মেঘ রোদ্দুরের খেলা।
কাজে সূত্রে যেতে হয়েছিল কসবার আক্রোপলিস মলের কাছে। সকাল বেলায় বাড়ি থেকে যখন বেরিয়েছিলাম বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট ভেজা ছিলো। যার সাথে দেখা হওয়ার কথা সে একটু দেরী করায় মলের কাছের একটা গাছের তলায় বসে আছি, কিছুটা সময় পরে সমস্ত মেঘ কেটে নীল আকাশ ফুটে বেরিয়ে এলো। এটা আমার পঞ্চম পছন্দ। রিফলেকশন অফ দা নেচার।
ষষ্ঠ ছবি হিসেবে যেটাকে তুলে ধরছি তা একটি রঙিন কেন্নোর। হলুদ দাগযুক্ত এই কেন্নোটিকে আলমন্ড-গন্ধযুক্ত কেন্নো বলা হয়ে থাকতে, এটি একটি বিষাক্ত কেন্নো। প্রতিরক্ষক হিসাবে এরা বিষাক্ত হাইড্রোজেন সায়ানাইড নিষ্কাশন করে। দা মিলিপিড।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা আমার বাংলা ব্লগের সমস্ত আলোকচিত্রীদের প্রতি উৎসর্গ করলাম।
আপনি বেশ ভালো ছবি তুলেন। বিশেষ করে তৃতীয় ও ষষ্ঠ ছবিদুটি এক কথায় অসাধারণ হয়েছে।
সব মিলিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন
ধন্যবাদ দিদি। আপনার ভালো লেগেছে এটাই আমার পাওনা 🙏🏾।
খুব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ফটোগ্রাফি। দারুন লেগেছে আমার কাছে। শুভেচ্ছা রইলো
ধন্যবাদ ভাই! ❤️
বাহ অসাধারণ হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি আপনার জন্য শুভকামনা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সুন্দর থাকবেন ধন্যবাদ♥
ধন্যবাদ দিদি আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। আপনিও সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন 🙏🏾😇
ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।তবে ফুলটি দেখে মনে পড়ে গেল ,ছোটবেলায় ওই ফুল গাছের ছোট ছোট পেকে যাওয়া কালো ফল জড়ো করে পুকুরের জলে দিতাম।আর সাথে সাথে পটপট আওয়াজে শব্দ করে ফেটে দানাগুলি জলের ভিতর ছড়িয়ে যেত।কখনো বা মুখের ভিতর ও দিতাম ফলগুলো ফাটানোর জন্য।এভাবে আমরা বাজি ফাটাতাম এই গাছের ফলগুলো দিয়ে।ধন্যবাদ দাদা।
তাই নাকি! এই ফুলের নাম তোমার জানা আছে দিদি? আমাকে একটু বলো।
অসাধারণ আপনার ফটোগ্রাফি এবং অসাধারণ আপনার লেখনি। সব দিকে দিয়ে বলা যায় লা জবাব। শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই ❤️। পাঠকের ভালো লেগেছে এতেই আমার সন্তুষ্টি
বাহ চমৎকার ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন প্রত্যেকটা ছবি অসাধারণ হয়েছে তবে তিন নম্বর ছবিটি আমার বেশি ভাল লেগেছে আপনার জন্য শুভকামনা রইল এভাবেই এগিয়ে যান পাশে আছি আমরা সবাই।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 😇🙏🏾। United we stand, divided we fall. দাদা তাঁর শেষ পোস্টে এটা লিখেছেন। আমরা যারা বাংলা ভাষা ভাষী মানুষদের এভাবেই এক হয়ে থাকতে হবে।
ইনশাহআল্লাহ, সব সময় এক সাথে থাকবো।
❤️
♥
আপনার আলোকচিত্রগুলো সত্যিই চমৎকার হয়েছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সেই সাথে শুভকামনা♥
ধন্যবাদ দিদি 😇🙏🏾।
আপনার ক্যামেরা বন্দী প্রতিটি ছবির অভিজত্য আছে। খুব ভালো লাগলো । এরকম ভাবেই মাঝে মধ্যে শেয়ার করতে থাকুন। আপনাদের মত গুণী মানুষ দের থেকে আমরাও কিছু শিখতে পারি। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ। আমি চেষ্টা করবো আগামী সময়ে এই নিয়ে কাজ করার। আমি মোটেই গুণী নই তবে আমার মতো করে চেষ্টা করছি। পাঠকদের যদি একটু ভালো রাখা যায়। তুমিও সুস্থ থেকো। 😇🙏🏾
আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া 🥀
ধন্যবাদ ভাই ❤️