রেসিপি : নিরামিষ স্কোয়াশের তরকারি // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ। আজ আপনাদের সাথে আরো একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম, নিরামিষ স্কোয়াশের তরকারি। অনেকেই হয়তো স্কোয়াশ নামটা প্রথম শুনছেন বা দেখছেন। আসলে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলের এই সবজি সমতলে খুব কম দেখা যায়। পিসেমশাইরা কদিন আগেই আমার গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আসার পথে কয়েক কিলো স্কোয়াশ নিয়ে এসেছে, আজ সেটা নিয়েই কিছু করার ইচ্ছে জাগলো। ব্যাস রান্না করে ফেললাম। যাক আর কথা বাড়াবো না, সোজা মূল রান্নার দিকে চলে যাবো।
- স্কোয়াশ
- লাল আলু
- পাঁচ ফোড়ন
- হলুদ গুঁড়ো
- তেল
- নুন
- ঘী
ধাপ ১
- প্রথমে প্রথমে কড়াই চাপিয়ে তাতে অল্প তেল দিয়ে গরম করে নেবো। তেল গরম হয়ে পাঁচ ফোড়ন দিয়ে দেবো।
ধাপ ২
- ফোড়ন ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে ছোটো ছোটো চৌকো করে কেটে রাখা স্কোয়াশ আর আলু দিয়ে স্বাদমতো নুন ও পরিমান মতো হলুদ দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ৩
- স্কোয়াশ ও আলু অল্প ভেজে নিয়ে একটা পাত্র দিয়ে কড়াইটা ঢেকে দেবো।
ধাপ ৪
- সবজি গুলো ভালোমতো ভেজে নিলাম।
ধাপ ৫
- স্কোয়াশ ও আলু ভালোমতো ভেজে নিয়ে দু কাপ জল দিয়ে দেবো।
ধাপ ৬
- মিনিট কুড়ি ফুটিয়ে নেওয়ার পর স্কোয়াশ ও আলু দুটোই সিদ্ধ হয়ে গেছে।
ধাপ ৭
- জল আরো খানিকটা শুকিয়ে গেলে ১ চামচ ঘী দিয়ে দিলাম।
ধাপ ৮
- জল পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার পর ঘী সবজির সাথে মিশে গেলেই আমাদের নিরামিষ স্কোয়াশ ও আলুর তরকারি তৈরী।
||আমার বাংলা ব্লগ পেজ & ডিসকর্ড||
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
|| JOIN OUR DISCORD SERVER ||
স্কোয়াশ বেশ কয়েকবার দোকানে দেখেছি। কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। কেমন লাগে খেতে সেই ভয়ে কিনিনি। আপনার আজকের স্কোয়াশের
তরকারি দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার স্কোয়াশ এর তরকারি দেখে মনে হচ্ছে যে একবারে কিনে খেয়ে দেখতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে, আপনার জন্য স্কোয়াশ খাওয়ার সাহস করতে পারছি।
অনেকটা পেঁপের মতো খেতে দিদি। তবে স্কোয়াশের চোকলা ভালোভাবে ছুলতে হবে নইলে ছিবড়ে ছিবড়ে লাগবে। অবশ্যই কিনে খেয়ে দেখবেন। অল্প ঘী দেওয়া আবশ্যিক।
এই স্কোয়াশ আসলেই আমি আজ প্রথম দেখলাম আর প্রথম শুনলাম।দেখতে অনেকটাই বড় পেয়ারার মতো লাগছে।স্বাদ ও নিশ্চয় দারুণ।
লম্বা পেয়ারা গুলোর মতো দেখতে ঠিকই তবে পেঁপের মতো স্বাদ। খিক খিক 😁
তাহলে এর নাম হওয়া উচিত পেয়ারাপেঁপে।😁
তাহলেও খারাপ হয় না 🤪
স্কোয়াশ মনে হচ্ছে এই প্রথম নাম শুনলাম। কখনো খাওয়া হয়নি।মনে হচ্ছে দেখতে পেয়ারার মত।রান্নাটাও বেশ সহজ।খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজা হবে ভালে ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে দাদা ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
লম্বা পেয়ারার মতো বলতে পারেন তবে খেতে কিন্তু পেঁপের মতো। রান্নাটা সহজই তবে স্কোয়াশ খুব সাবধানে কাটতে হয় নইলে ছিবড়ে ছিবড়ে লাগে।
দাদা আপনি আজকে নিরামিষ স্কোয়াশের তরকারি রান্না করেছেন। দারুন হয়েছে দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
শেষে ঘী দিয়ে স্বাদ দ্বিগুন করে দিলাম। হিঃ হিঃ। ধন্যবাদ লিমন ভাই 🤗।
স্কোয়াশ এই সবজিটি প্রথম শুনলাম। এই সবজিটি আমাদের বাংলাদেশে কি নামে পরিচিত তা আমার জানা নেই। হয়তোবা পাহাড়ি অঞ্চলে সবজিটি রয়েছে । স্বাদ কেমন তা এখনো জানিনা। আপনার মাধ্যমে নতুন একটি সবজি ও রেসিপি সম্বন্ধে জানতে পারলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ পরশ ভাই
স্কোয়াশের কথা কলকাতার দিকেই অনেকে জানে না। আসলে উত্তরবঙ্গের উপর দিকের সবজি তো তাই।
বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে পাবেন হয়তো।
খুব চমৎকার নিরামিষ স্কোয়াশের তরকারি রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নিরামিষ স্কোয়াশের রেসিপি টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বেশ কিছুদিন আগে আমি ইন্ডিয়া গিয়েছিলাম সেসময় স্কোয়াশের তরকারি খেয়েছিলাম। আমার কাছে খেতে খুব ভালো লেগে। আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার তাহলে অভিজ্ঞতা আছেই, নতুন ভাবে পরিচিতি হতে হলোনা। ভালোই খেতে হয়েছিলো দাদা ধন্যবাদ 🤗
স্কোয়াশ ও আলু দিয়ে খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার তৈরি করার রেসিপি টা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন আপনি এতে করে যে কারো বুঝতে অনেক অসুবিধা হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সহজে বোঝাতে পারলাম তাঁতেই আমার ব্লগের সার্থকতা। ধন্যবাদ আশিকুর ভাই 🤗
স্কোয়াশ ও আলু দিয়ে অনেক মজাদার একটি নিরামিষ আপনি তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে খাবারটি ভালোই লাগবে। স্কোয়াশ এখন আমাদের এদিকেও পাওয়া যায় আমি বাজারে দেখেছি কিন্তু কখনো কিনে খাই নি ।আপনাদের এই ধরনের নিরামিষ গুলো আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে অনেক মজাদার হয় ।আপনি খুব সুন্দর করে নিরামিষ তরকারি রান্না করেছেন দেখতে অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ দিদি। আপনাদের ওখানে যখন স্কোয়াশ পাওয়া যায় তাহলে একদিন করেই ফেলুন, ভালোই লাগবে।
দাদা মাঝে মাঝে নিরামিষ খাবার গুলোও আমিষের চাইতে কোন অংশে কম সুস্বাদু লাগেনা। আপনি ঠিকই বলেছেন স্কোয়াশ সবজিটি এই প্রথম দেখলাম। আমাদের এপার বাংলায় এই সবজিটি পাওয়া যায় না। তাই খেতে কেমন লাগে জানা নেই। নতুন নতুন খাবার খেতে আসলে বেশ ভালই লাগে। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন ফিরদৌস দা। আমার তো মনে হয় নিরামিষ ঠিকমতো রান্না করলে আমিষ টেক্কা পাবে না।
আমাদের দেশেও সব জায়গায় মেলে না। আপনাদের ওখানেও পাওয়া যায় তবে সব জায়গায় না।
রান্না টা দেখে মনে হচ্ছে দাদা এটা খেতে খুবই মজার। তবে আমি এই স্কোয়াশ কখনো খাইনি নাম শুনিনি। তবে আপনি খুবই সহজ পদ্ধতিতে আমাদের মাঝে এটা রান্না করার পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকেই জানেনা বা দেখেনি। কলকাতার দিকের মানুষরাই দেখলে অবাক হয়ে যায় 😁