কেনাকাটা চৈত্র সেলে // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার,
বসন্তের শেষে গরমের দাবদাহ শুরু হতেই বোঝা যায় বাংলা নববর্ষ আগত। আর নববর্ষ মানেই বাঙালির কাছে চৈত্র সেলের শুরু। সারাবছর ধরে অনেকেই সেলে জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য অপেক্ষা করে। আমিও বাদ যাই কেন? ৭০ টাকায় হাফ প্যান্টের লোভে চৈত্র সেলের শেষ তারিখে কিছু জামাকাপড় কিনতে গিয়েছিলাম হাতিবাগানে।
সেদিন ৭০ টাকায় হ্যাফ প্যান্ট শুনে বারবার মনে হচ্ছিলো কয়েকটা হাফ প্যান্ট কিনে রাখাই যায়, হয়তো মাস ছয়েক প্যান্ট নিয়ে আর কোনো চিন্তা থাকবে না। হাতিবাগানে প্যান্ট কেনার উদ্দেশ্যে নিয়েই যাওয়া তবে সঙ্গী ছিলো আমার আগ্রজ, দিদি। আসলে বলা যায় দিদিই কেনাকাটা করতে যাচ্ছিলো আমি শুধু সঙ্গ দিলাম 😆। দুই ভাই বোন মিলে ভর দুপুর বেলায় উত্তর কলকাতার হাতিবাগানের চলে গেলাম। জামা কাপড় থেকে শুরু করে মেয়েদের সমস্ত ধরনেরই প্রসাধনী সবই হাতিবাগানে পাওয়া যায়।
ভর দুপুর বেলায় বাস থেকে যখন নামলাম তখন হাতিবাগান তুলনামূলক ফাঁকাই ছিলো। বাস স্টপেজে নেমে কয়েক মাস আগের স্মৃতি মনে পড়লো। কয়েক মাস আগে কলকাতা পুলিশ আমাকে ঠিক এই জায়গাটি থেকেই ভালোবেসে তুলে হাজতে নিয়ে গিয়েছিলো 😂। যদিও তারা আটকে রাখতে পারেনি কিন্তু সেদিনটায় কথা ভেবে মজা পেলাম।
আজকের কেনাকাটা গুলো মূলত দিদিরই ছিলো। দিদি নতুন কিছু সেলাই শিখছে তাই মাঝে মধ্যে জামাকাপড় কিনতেই থাকে। আর সেলাই শেখার জন্য সেলের কাপড়ের থেকে ভালো আর কিছু হয় না।
বাস থেকে নামতেই শুরু করা গেলো কেনাকাটা। পছন্দসই জিনিসের খোঁজে চললো এ দোকান থেকে সে দোকান যাওয়া। পছন্দ হলেও দাম করতে করতে আমরা কখন ১ কিলোমিটার হেঁটে হাতিবাগান থেকে শ্যামবাজার পৌঁছে গেলেন খেয়ালই করিনি। প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তায় নানা দোকান ঘুরে দিদির জিনিস পছন্দ করতে করতেই কেটে গেলো অথচ আমি যে কাজের জন্য এসেছিলাম মানে আমার কয়েকটি হাফ প্যান্ট কেনার জন্য সেগুলোই খোঁজার সময় হলো না আসলে বলা ভালো সময় হলো না। আমরা বাড়ি থেকে যখন বেরোই তখন আমি ধারণা করেছিলাম হয়তো দিদির দুটো জামা খুব তাড়াতাড়িই কেনা হয়ে যাবে কিন্তু দু দুটো ঘন্টা সেদিকেই চলে গেলো আমার ভাগের সময়টুকুও। দুপুর ৩:৩০ থেকে বেলা বিকেল ৫:৩০ বাজলো শুধু দুটো কাপড় কিনতে। সন্ধ্যের আগেই বাড়ি ফিরতে হতো তাই দিদির কেনাকাটা হতেই ফের বাড়ির পথে রওনা দিলাম, নতুন শিক্ষা নিয়ে। শিক্ষা হলো যে দিদির জামা কাপড় কেনার সময় আমাকে দূরেই থাকতে হবে, সাথে গেলেই বিপদ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ওহ আচ্ছা! এই কথা তাহলে। আসলে পিঠাপিঠি ভাইবোন থাকলে এমনটাই হয়। আর সেলে কেনাকাটা করার মজাই আলাদা 😜
নিজের জন্য কিছু দেখবার সময়টাও পেলাম না 😭
আপনার আপনি দিদির সঙ্গে কেনাকাটা করতে গিয়ে বেশ ভালই বিপাকে পড়েছিলেন মনে হচ্ছে। আসলে মেয়ে মানুষ এমনই হয় কেনাকাটা করতে তারা একটু সময় নিয়ে ফেলেন। তারা সব সময় সিদ্ধান্ত নিতে একটু বেশি সময় ব্যয় করেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা না। পছন্দ করে দরাদরি করতে অনেকটা সময় লাগলো 😁
দাদা আপনাকে ভালোবাসে তোলে নিয়েছিলো।কারন একটু যত্ন করতো মনে হয়।গেস্ট বলে কথা,😀😀।যাই হোক ভালো ছিলো চৈত্র সেলে কেনাকাটা করেছেন।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।
আদর করার সুযোগ পায়নি আমাকে কিছুক্ষণ বসিয়ে ছেড়ে দেয় 🤣
দাদদ,এই সুযোগ টা দিলেও পারতেন।তারা বেশ ধন্য হয়ে যেতো।😀😀।কথাই আছে আমাদের দেশে মাছের রাজা ইলিশ, আর দেশের রাজা পুলিশ বলে কথা,😄😄
হতাশ হওয়ার কিছু নাই দিদি যে ড্রেস কিনে বাসায় আসতে পারছে এটায় সফল।কপাল ভালো যে আপনার আরেকদিন যাওয়া লাগে নায়।ধন্যবাদ কেনাকাটার গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আরেকদিন হলে যাওয়ার সুযোগ পেতাম না! হাঃ হাঃ
আপনার আগের একটা পোস্টে চৈত্র সেল সম্পর্কে শুনেছিলাম। এটা আমাদের দেশে দেওয়া হয় না।
আমার যতদুর মনে পড়ে দাদা আপনি গত পোস্টে ঐ ৭০ টাকার হাফ প্যান্ট নিয়ে মজা করেছিলেন হি হি। গরমে হ্যাফ প্যান্ট পড়া ছাড়া আর উপায় দেখছি না।
৭০ টাকার হাফ প্যান্টের খোঁজেই যাওয়া তবে প্যান্ট দেখার সুযোগ ছিলো না। রাতে হ্যাং আউট তাড়াতাড়ি ফেরার তাড়া ছিলো। হাঃ হাঃ
দিদিদের নিয়ে এই সমস্যা হয়। আমারও হতো । আমাকে নিয়ে যেতে চাইলে আমি পলাইতাম। হাফ প্যান্ট কিনতেই পারলেন না। আসলে সেদিনই কেনা উচিত ছিল। ট্রাম লাইন দেখে খুবি ভাল লাগলো। কিন্তু একটা বিষয় চৈত্র সেল মানে তো কিছুটা কম দামে কেনা যায়। জানিনা কতটা কম। তবে আমাদের এখানে চৈত্র সেলে খুব সুন্দর ভাবে দাম বাড়িয়ে দেয়। যাই হোক আপনার অভিজ্ঞতা পড়তে পড়তে না হেসে পারলাম না। । ভাল থাকবেন দাদা ।আর হাফ প্যান্ট কিনতে পারলে জানাবেন কিন্তু হা হা হা । ধন্যবাদ।
দাম বাড়িয়ে কমানো হয় আরকি। হাঃ হাঃ। তাছাড়া পুরোনো কাপড় না পচিয়ে অনেকে বেশ কম দামে বেঁচে দেয়।
কেনা আর হলো না। 😭
আমার তো এটা ভেবে আফসোস হচ্ছে যে আপনার শিক্ষাটা বেশ পরেই হয়েছে। কারণ এই শিক্ষাটা তো আপনার আরও কয়েক বছর আগেই হওয়া উচিত ছিল। আর ঠিকই তো, মেয়েদের কাপড় কিনতে একটু দেরি হয় ই। দোষটা কিন্তু একেবারে আপনার ই।🤪🤪😁😁
আগেও তো গিয়েছিলাম তবে এইরকম সমস্যার সম্মুখীন হইনি। দাম দরাদরি করতেই বেশি সময়টা লাগলো 😭।
দোষ আমারই ছিলো। আর নয়।
দাদা ঠিকই বলেছেন ,মেয়েদের জামা কাপড় কিনতে অনেক সময় লাগে কারণ দেখে শুনে নিতে হবে তো। তবে ভাই বোন মিলে কিন্তু ভালো সময় পার করেছেন। তবে দাদা আপনি যে বললেন আপনাকে এখান থেকে পুলিশ নিয়ে গেলো সেটা কেন ছিল। আরেকটি পোস্ট এর মাদ্ধমে জানতে চায়।
অনেকদিন আগে কথা, পোস্ট করেছিলাম তখন। মাস্ক মুখে ছিলোনা তাই উঠিয়ে নিয়ে গেলো 🤣।
আমার কখনো চৈত্র সেলে কেনাকাটা করতে যাওয়া হয় নি।তবে আমি শুনেছি সেখানে নানা ধরনের জিনিস খুবই কমদামে সস্তায় পাওয়া যায়।তবে আশা করি কোনো একবছরে অবশ্যই যাব চৈত্র সেলে।
এটা কি কারণে হয়েছিল দাদা আমি জানি না।তবে প্যান্ট না কিনে বাড়ি ফেরার কথা জেনে খারাপ লাগলো।ধন্যবাদ দাদা।
অনেকটা সস্তায় পাওয়া যায়। অবশ্যই যাবে। নতুন অভিজ্ঞতা হবে বোন।
মাস্ক মুখে ছিলোনা তাই হাজতে গেলাম 🤣
ও আচ্ছা।😢