চলচিত্র রিভিউ : দা ডগ
নমস্কার,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমি ভালো আছি। আপনাদের সামনে আজ আমি আরো একটি সিনেমার রিভিউ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজ যে সিনেমাটি রিভিউ করছি সেটা হলো ২০২২ সালে রিলিজ হওয়া দা ডগ। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
জ্যাকসন ব্রিগস (চ্যানিং ট্যাটাম) শারীরিক অসুস্থতার জন্য আমেরিকান সেনার চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর নেয়। অবসর নেওয়ার পর পর ব্রিগস সাধারণ ফাস্ট ফুড চেইনে কাজ করতে বাধ্য হয়।
সেখানে খোঁজ আসে সেনায় তার বন্ধু রাইলি রডরিগেজ এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। রডরিগেজের স্মরণসভায় ব্রিগস গেলে সেখানে তার উপর রডরিগেজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় রডরিগেজের কুকুর লুলুকে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পড়ে। প্রাথমিকভাবে যেতে না চাইলেও, ব্রিগস সম্মত হয়ে যায় যখন তার প্রাক্তন কমান্ডার তাকে নতুন ভাবে সেনায় চাকরির জন্য সুপারিশ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। তখন লুলুকে নিয়ে ব্রিগস রডরিগেজের বাড়ির পথে রওনা দেয়।
যাওয়ার পথে ব্রিগস এক শুটিং রেঞ্জে থামে, সেই সুযোগে লুলু খাঁচা থেকে বেরিয়ে ব্রিগসের গাড়ির ভিতরের অংশটি ছিঁড়ে ফেলে। হতাশ হয়ে ব্রিগস তখন একটা হট ডগে ঘুমের ওষুধ লুকিয়ে লুলু কে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়।
পর দিন চলন্ত অবস্থাতেই লুলু গাড়ির পিছন থেকে নিজের কলার খুলে কাছের এক জঙ্গলের মধ্য ঢুকে পড়ে। লুলুর পেছন পেছন ব্রিগস জঙ্গলের মধ্যে চলে যায়। সেখানে এক খামারে লুকুকে ঢুকতে দেখে, পিছু পিছু ব্রিগসও খামারের ঢুকে যায়। সেখানে কেউ আচমকা ব্রিগসকে মেরে অজ্ঞান করে দেয়।
জ্ঞান ফিরলে ব্রিগস বুঝতে পারে সে একটা চেয়ারে বাধা অবস্থাতে রয়েছে। অনেক চেষ্টা করে সে চেয়ার থেকে পালাতে সক্ষম হয়। তারপর সন্তর্পনে একটা রড নিয়ে পাশের বাড়িতে ঢুকে যায় সেখানে ব্রিগস দেখতে পায় লুলুকে আদর করতে থাকা দুই স্বামী স্ত্রীর যুগল গাস ও তামারার। লুলুর সেনার কার্যকলাপের বই পড়তে পড়তে ব্রিগসের সাথে গাসের ভালো মিল হয়ে যায়। অন্যদিকে তামারা লুলুর পায়ের চিকিৎসা করে। চিকিৎসা শেষ হলে লুলুকে নিয়ে ব্রিগস চলে যায়, চলে যাওয়ার আগে তামারা ব্রিগসকে কিছু ভালো পরামর্শ দেয়।
পথে সান ফ্রান্সিসকোতে, ব্রিগস এক অন্ধ সৈনিক হওয়ার ভান করে বিনামূল্যের হোটেল রুম বুক করে। সেই হোটেলের লবিতে, লুলু এক মধ্যপ্রাচ্যের লোককে আক্রমণ করে বসে ফলে ব্রিগসকে পুলিশ ঘৃণামূলক অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করে নেয়। তারপর সেই লোকের কাছে ক্ষমা চাইলে, পুলিশ ব্রিগসকে ছেড়ে দেয়। লস অ্যাঞ্জেলেসে, ব্রিগস তার ছোটো মেয়েকে দেখতে যাওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু তার পূর্বের স্ত্রী নিকি তাকে অনুমতি দেয় না।
ব্রিগস সেখান থেকে পূর্ব সেনা নোয়ার সাথে দেখা করতে যায়, যে লুলুর ভাই নিউকে দত্তক নিয়েছে। নোয়া ব্রিগসকে লুলুকে বোঝার কথা বলে। তারপর ব্রিগসকে লুলুকে সামলাবার জন্য কিছু ট্রেনিং দেয়।
নোয়ার বাড়ি থেকে রডরিগেজের বাড়ি যাওয়ার পথে, রাস্তায় ব্রিগসের গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। সেই সময়ে ব্রিগস লুলুকে নিয়ে এক পরিত্যক্ত বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। পর দিন, ব্রিগস লুলুকে কাঁধে তুলে সময়মত রডরিগেজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পৌঁছায়। যেখানে রাইফেল স্যালুটের মাধ্যমে রডরিগেজের অন্তেষ্টি হয়।
অন্তেষ্টি শেষ হয়য়ার পর, ব্রিগস লুলুকে পালিয়ে যেতে উৎসাহ দেয় কিন্তু লুলু পালায় না। তারপর তারা রাতে এক হোটেলে ওঠে সেখানে ব্রিগসের খিঁচুনি আসলে, লুলু তখন ব্রিগসকে শান্ত করে। সকালে ব্রিগস লুলুকে সেনা ছাউনিতে রেখে দিয়ে আসে কিন্তু যখন সে তাকে আতঙ্কিত দেখে মন পরিবর্তন করে ফেলে। ব্রিগস ফিরে গিয়ে লুলুকে তুলে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
কয়েক মাস পর, সেনার উদ্দেশ্যে ব্রিগসের চিঠিতে জানা যায় ব্রিগস লুলুকে দত্তক নিয়েছে।
গল্পটি খুবই ভালো লেগেছে আমার। সেনার জীবন থেকে বেরিয়ে অনিশ্চয়তার জীবনে এক সেনার সাথে এক সেনা কুকুরের নতুন করে গড়ে ওঠা বন্ধুর সম্পর্ক।
চ্যানিং ট্যাটাম ও রিড ক্যারোলিনের প্রথম পরিচালনা হলেও কোথাও খামতি ছিলো না। তাছাড়া চ্যানিং ট্যাটাম নজরকাড়া অভিনয়ে সিনেমা অন্য মাত্রা জুগিয়েছে।
পরিচালনা | ৮ |
কাহিনী | ৯ |
অভিনয় | ৮ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |