রেসিপি : রসুন দিয়ে বুড়ো পটল (😁) বাটা
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই সুস্থ। আজ আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। আজকের রেসিপিটি হলো রসুন দিয়ে বুড়ো পটল বাটা।
পটল দিয়ে এবছর অনেক পদ রান্না করেছি সামনে হয়তো আরো পদ রান্না করবো। আসলে শীতে যেমন টমেটো খুবই কমন সবজি তেমনি গরমে হলো পটল। গরমেড প্রায় প্রত্যেক তরকারিতেই পটল উপস্থিত থাকে কিন্তু সবজি বুড়ো হলে কি ভালো লাগে? তাই ফ্রিজে যখন বুড়ো পটল দেখতে পেলাম আমি তখন চিন্তায় পড়ে গেলাম।
পটল ফেলে দেওয়া ছাড়া আর উপায় নাই। তাই পটল গুলো ফ্রিজ থেকে বের করে ফেলে দিতে উদ্যত হলাম। মা আমাকে দেখে রে রে করে আসলো। তারপর বললো মাসির বাড়ি থেকে একটা পদ শিখে এসেছে, পটল বাটা। আমিও রেসিপি শুনে উৎসাহ পেলাম। আহা! রসুন দিয়ে বাটা। শুরু করে দিলাম রান্না। যদিও পটল গুলো মা কেটে দিলো। চলুন তাহলে মূল রান্নায় যাওয়া যাক।
- পটল
- কালো জিরা
- রসুন
- শুকনো লঙ্কা
- হলুদ গুঁড়ো
- নুন
- তেল
ধাপ ১
- প্রথমে কড়াই অল্প তাতিয়ে নেবো। কড়াই তাঁতিয়ে নেওয়ার পর শুকনো ভাবে কালো জিরে ভেজে নেবো।
ধাপ ২
- কালো জিরা ভাজার পর সেগুলো একটা পাত্রে তুলে রাখবো।তারপর কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে কয়েক কোয়া রসুন ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ৩
- রসুন ভেজে নেওয়ার পর কয়েকটা শুকনো লঙ্কা কড়াইতে দিয়ে নাড়াচাড়া করে ছোটো ছোটো করে কেটে রাখা পটল গুলো কড়াইতে দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ৪
- পটল অল্প ভেজে নিয়ে এক চিমটি নুন দিয়ে ভাজতে থাকবো।
ধাপ ৫
- তারপর পটল ভালোমতো ভেজে নেবো।
ধাপ ৬
- ভালোমতো ভেজে নেওয়ার পর পটল গুলো বেটে নেবো।
ধাপ ৭
- তারপর পটল বাটা কড়াইতে দিয়ে হাফ চামচ হলুদ দিয়ে ভাজতে থাকবো।
ধাপ ৮
- ভাজতে ভাজতে পটল শুকিয়ে গেলে রসুন দিয়ে পটল বাটা তৈরী।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সব মা গুলোই এমন।কিছু ফেলে দিবো বললে যেনো জ্বর চলে আসে।তবে দারুণ রেসিপি কিন্তু।
রসুন দিয়ে খুব সুন্দর করে বুড়ো পটল বাটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। দেখে জিভে জল চলে আসলো। খুব সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন আপনি দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রসুন দিয়ে পটল বাটা রেসিপি টা বেশ অদ্ভুত লাগল। এই প্রথম শুনলাম। রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন দাদা। আসলে নতুন কিছু দেখলে বেশ ভালো লাগে আগ্রহ জাগে। পটল বাটা রেসিপি টা তো এই প্রথম দেখলাম। যাইহোক দারুণ ছিল ফেলে দেওয়ার থেকে ভালো একটা গতি হলো পটলগুলোর হি হি।।
মা মাঝে মাঝেই বানায় এই রেসিপিটা। গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক মজা লাগে৷ ধন্যবাদ রেসিপি টি শেয়ারের জন্য।
ইউনিক ধরনের একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। রসুন দিয়ে আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনো পটল বাটা খাওয়া হয়নি তবে রেসিপিটি আমার কাছে এতটা বেশি ভালো লেগেছে বাসায় একদিন চেষ্টা করবো আপনার মত করে তৈরি করার। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রসুন দিয়ে পটল ভর্তা দেখেই তো লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে এ ধরনের খাবার আমারও খুব ফেভারিট গরম গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে
একদম ঠিক বলেছেন দাদা শীতের সময় টমেটোর রেসিপি বেশি দেখা যায় আর গরমের সময় পটলের তৈরি রেসিপি একটু বেশি চোখে পড়ে। রসুন দিয়ে বুড়ো পটল বাটা রেসিপিটা আমার কাছে একদম নতুন মনে হয়েছে তাছাড়া এই রেসিপির নাম আগে কখনো শুনিনি। একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ভর্তা পছন্দ করে না , এমন মানুষ পাওয়া যাবে না । আপনার রেসিপি খুব ই লোভনীয় লাগছে । ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ।
রসুন দিয়ে পটল বাটা কখনো খাইনি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হলো খেতে অনেক মজা হবে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
দারুন তো।বুড়ো পটল নামটায় বেশ অবাক লাগলো।যাই হোক আমাদের ও পটল ভর্তা তৈরি করে খেতে বেশ দারুন লাগে।যাক আন্টি জন্য আর ফেলা হলো না,দারুন পটল ভর্তা হয়ে গেলো।ভালো ছিলো। ধন্যবাদ